ইরানের একজন পদস্থ সেনা কর্মকর্তা হুমকি দিয়ে বলেছেন, লেবাননের হিযবুল্লাহ ইসরাইলের গভীরে আরো শত শত ড্রোন পাঠাবে। ইরানের স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী- বাসিজের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মাদ রেজা নাকদি আজ (শুক্রবার) তেহরানে বলেছেন, "ইহুদীবাদীরা তাদের অবৈধ রাষ্ট্রের আকাশে আরো ২৫ মডেলের শত শত ড্রোন দেখতে পাবে। নতুন নতুন প্রযুক্তির এসব ড্রোন প্রতিহত করতে তাদের হিমশিম খেতে হবে। "
গত সপ্তাহে লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিযবুল্লাহ'র একটি পাইলটবিহীন বিমান বা ড্রোন কয়েকশ' কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ইসরাইলের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার প্রবেশ এবং অবৈধ রাষ্ট্রটির গুরুত্বপূর্ণ ছবি তোলার পর ইহুদিবাদী জঙ্গীবিমান এটিকে ধ্বংস করে ফেলে।
তবে ধ্বংস হওয়ার আগে ড্রোনটি থেকে তোলা ছবি হিযবুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ কক্ষে পৌঁছে যায়। সেইসঙ্গে এ বিষয়টি প্রমাণিত হয়, নিজের আকাশসীমা সুরক্ষিত রাখার যে দাবি ইসরাইল করে তা মোটেও ঠিক নয়, বরং ওই আকাশসীমা সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।
জেনারেল নাকদি বলেন, ইসরাইলের ভেতরে ড্রোন পাঠিয়ে হিযবুল্লাহ নিজের শক্তিমত্তার অতি সামান্য অংশ প্রকাশ করেছে। তেলআবিবকে কঠিন শিক্ষা দেয়ার সামর্থ্য হিযবুল্লাহর রয়েছে।
ইসরাইল হিযবুল্লাহর ড্রোনটি গুলি করে নামানোর কয়েকদিন পর গত শুক্রবার সংগঠনটির মহাসচিব সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ ঘোষণা করেন, ওই ড্রোনটি ছিল ইরানের তৈরি।
এ ছাড়া, ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমাদ ওয়াহিদি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেন, হিযবুল্লাহর ড্রোনটি তার দেশে তৈরি হয়েছে। #
সেই যুদ্ধে হিযবুল্লাহর কোনো বিমান শক্তি ছিল না। এখন হিযবুল্লাহর শুধু জঙ্গীবিমানই নেই, সেই সঙ্গে রয়েছে পাইলটবিহীন বিমান বা ড্রোন। গত সপ্তাহে এরকম এক ড্রোন ইসরাইলির গভীর অভ্যন্তরে ঢুকে গিয়েছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।