আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিরব ভালোবাসা

এক মেয়ে নিরবে ভালবাসতো এক ছেলেকে পারেনি মনের কথা কোনদিন বলতে তাকে। গম্ভীর মুখটাতে মেয়েটার রাগী চেহারায় ভালবাসেনা ইশারায় বোঝাতে চায়, ছেলেটার মন ভেঙ্গে চূড়ে যায় মনে মনে সেও তাকে ভালবাসে হায়। নিরব ভুমিকায় মেয়েটারও হয় কষ্ট ওদিকে ছেলেটা হতে থাকে নষ্ট, মানুষ এভাবেই ভালবাসাহীন পথভ্রষ্ট বুকে জমা রেখে কি লাভ ভালবাসা অবশিষ্ট। একদিন দুইদিন পুরো চারটে বছর এমনি কষ্ট মাখা গল্পের মোড়, হঠাত্ ছেলেটা পেলো মেয়েটার বিয়ের খবর কি করে যে ছেলেটার বাড়লো মনের জোর। কলেজে গিয়ে মেয়েটার হাত জোরে চেপে ধরলো “ভালবাসি ভালবাসি” ছেলেটা চিৎকার মেরে বললো, মেয়েটা সবার সামনে বিষয়টাকে রুক্ষ চোখে দেখলো ইচ্ছে করেই ভয়ে ছেলেটাকে চড় কষে মারলো।

ভার্সিটি থেকে ছেলেটাকে বহিষ্কার করা হলো অপরাধের তিব্র ক্ষোভে ছেলেটা বিদেশে পাড়ি জমালো, “দারিদ্র এটাই কি আমার অপরাধ” ছেলেটা ভাবলো সৎ পথে টাকার নেশায় জীবনটাকে তুচ্ছ করে দিলো। সাত বছর পর যখন ছেলেটা নিজের দেশে ফিরে এলো নিজের বাড়ি না গিয়ে মেয়েটার বাড়ির সামনে দাঁড়ালো, নিজেকে সামলাতে না পেরে অজস্র অশ্রু ঝরালো আজ সে গরিব থেকে ধনী তবু কি তাকে হারালো??? ছেলেটা জানে ভাবে হয়তো মেয়েটার বিয়ে হয়ে গেছে তুচ্ছ ফেলে দেওয়া জিনিস ভেবে তাকে ভুলে আছে, তবু মেয়েটার জন্য ছেলেটা আবার ফিরে এসেছে পুরনো কথা নতুন করে বলতে চাইছে। ছেলেটার ভাবনার আকাশে কিছু নেই মেয়েটি ছাড়া পুরনো অপবাদ ভালবাসার অপমান তাকে করে তাড়া। ছেলেটা ভাবে মেয়েটা তাকে বুঝলোনা ভালবাসলোনা এতো কষ্ট যেনো পৃথিবীতে আর কেউ পায়না। আজ ছেলেটা বলে “ভালবাসা তুমি মুক্ত তোমাকে উড়িয়ে দিচ্ছি” “আমি কষ্ট নিয়ে ভিরু কাপুরুষের মতো আবার পালাচ্ছি”।

ছেলেটি চায়নি কখনো মেয়েটার সাংসারিক জীবনে আসুক ক্ষতি তাই মেয়েটার সাথে না দেখা করেই ফিরে যেতে চায় রাতারাতি। এয়ারপোর্ট গেটে ছেলেটার এক বন্ধু মেয়েটার খবর জানায় “মেয়েটা এখন হাসপাতালে পড়ে আছে কোমায়”, তার মতো সেও আছে কঠিন মরন যন্ত্রণায় শুধু একটি নাম ছেলেটারই ছিল মেয়েটার ভালবাসায়। [.............. .সাত বছর আগে] ছেলেটা বিদেশ যাওয়ার পর মেয়েটার বিয়েরদিনে মুখে দেয় বিষ মেয়েটা পুরো বোতল এনে, আত্মহত্যা চিঠিতে লিখে ছেলেটা আছে তারমনে তাকে ছাড়া আর কারো হবেনা এ জীবনে। পরে মেয়েটাকে হাসপাতালে নিলে সে বেচে যায় বেঁচে থেকেও মেয়েটা হাঁটত মৃত্যু বারান্দায়, কারো সাথে কথা বলতোনা বলতো একা একায় চার দেয়ালে নিজকে গুটিয়ে রাখত সর্বদায়। এক সময় মেয়েটা নির্বাক স্থির কাঠ পুতুল হয়ে যায় খাওয়া দাওয়া চলাফেরা বিরত মনঃকষ্টের তাড়নায়, এভাবেই মেয়েটা ছেলেটা ছাড়া অসহায় নিরুপায় ছেলেটাকে ভাবতে ভাবতেই মেয়েটা কোমায় চলে যায়।

[পরিশিষ্ট...... ......] ছেলেটা এইসব কথা শুনে ছোটে হাসপাতালেরপানে নিথর দেহ দেখে মেয়েটার লুকায় ওয়ার্ডের কোনে, হাতে হাত রেখে মেয়েটার ছেলেটা মুখ লাগিয়ে কানে বলে “ভালবাসি ভালবাসি, আজ মারো আমায় প্রানে” “নিতে আমি রাজি মরন তোমার ভালবাসার প্রতিদানে” মেয়েটার গাল ভিজে যায় চোখের অশ্রু বর্ষণে......... ............  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।