আর কতো রক্ত দেবে বাঙ্গালী । প্রথমেই বলে নিচ্ছি যে আমি ব্লগে নতুন এসেছি। ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। মন্তব্য করলে ধরে নিব আপনার ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি আমাকে আরো ভালো লিখতে সাহায্য করবে।
হিন্দু লোকসংখ্যায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর দেশ বাংলাদেশ।
বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। সারাদেশে প্রায় কয়েক হাজার পূজামন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। ষষ্ঠীতে পূজা শুরু হয় এবং দশমীতে তা শেষ হয়। ষষ্ঠী-দশমী ভক্তরা দুর্গা মায়ের পূজা অর্চনা করেন। নানা আচার অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দশমীতে দেবীকে বিদায় দেওয়া হয় বির্সজনের মাধ্যমে।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও একথা সত্যি যে, দুর্গাপূজার এতোসব আচার অনুষ্ঠানের বিপরীতে বর্তমানে কিছু অনাচার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে দশমীতে এই অনাচার বেশি দেখা যায়। মদ্যপান আর তার সাথে হর্ষোৎফুল্ল হওয়া এই না হলে যেন দশমী পূর্ণতা পায় না। দশমীতে ছেলে-বুড়ো সবাইকে একটু গলা ভিজাতে হয়। এ যেন দেবীকে খুশি করার একমাত্র পথ।
ইদানিং মেয়েরাও সেটাকে বাদ দেয় না। অবাক না হয়ে পারিনা যখন দেখি একটি যুবতি মেয়ে নেশা করে নাচানাচি করছে। এটাকে আপনি কী বলবেন ? আচার নাকি অনাচার ? এটা কি ধর্ম ? সংস্কৃত ধৃ-ধাতু থেকে ধর্ম শব্দটি এসেছে। ধৃ-ধাতু এর অর্থ ধারণ করা। অর্থাৎ মানুষ তার মঙ্গলরে জন্য যা ধারণ করে তাই ধর্ম।
এইসব অনাচার কি মানুষের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে ? নিশ্চয় না। ধর্মের নামে ধর্মকেই কুলষিত করা হচ্ছে কত সহজে।
অবশ্য ভিন্ন ধর্মের কিছু লোকও এই গলা ভিজানোর দলে যোগ দেন। সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু হিন্দু গলা ভিজানোর এই রেওয়াজ থেকে বেরুতে না পারলে হিন্দু ধর্মের বারটা (১২ টা) বাজতে আর বেশি দিন বাকি নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।