জয় বাংলা ১৩ মে,২০০৯ দৈনিক করোতোয়া
...................................................................................................................................................................................................................... অবিশ্বাস্য আর অলৌকিকতায় ভরা এই কাহিনীর সৃষ্টি হয়েছে চাপাইনবাবগঞ্জের পৌর এলাকার কল্যানপুর মহল্লায়।
পৌর এলাকা সংলগ্ন বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের পিয়ারাপুর গ্রামের মৃত মাহতাবের ৫ বছর বয়সী শিশু মাসুদকে নিয়ে এই কাহিনীর জন্ম। ১৯৯৯ সালের ভরা বন্যায় মহানন্দা প্লাবিত। নদী তীরবর্তী বসত বাড়ির মানুষেরা এসময় হাউস মিটিয়ে মহানন্দায় গোসল করে থাকে,আনন্দে মাতে জল কেলীতে। পরিবারের সদস্যদের সাথে মাসুদও গিয়েছিল মহানন্দায় গোসলে।
তীরবর্তী অল্প পানিতে সে তখন আনন্দ উল্লাস করছিলো। কিছুক্ষন পর সবার অগোচরে মাসুদ উধাও হয়ে যায়। অনেক খুজেও তাকে আর পাওয়া যায়নি। এই কাহিনীর এইখানেই সমাপ্তি হতে পারত। কিন্তু দশ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মাসুদ ফিরে আবার ফিরে এলো নতুন কাহিনী হয়ে।
গত শুক্রবার (৮ মে,২০০৯) কল্যানপুরের মহানন্দা গোসলের সময় এলাকার ছেলে সুলতান ও সিজার দেখতে পায় তাদেরই সমবয়সী একটি ছেলে পানিতে ভাসছে। কৌতুহল বশত: কাছে গিয়ে ছেলেটিকে তারা উঠানোর চেষ্টা করতেই ছেলেটি অদ্ভুত সব আচরন শুরু করে। ভয় পেয়ে যায় তারা। এসময় নদীর ঘাটের আরো কতিপয় মানুষ মিলে ঘিরে ফেলে ছেলেটিকে। ৩ ঘন্টার চেষ্টার পর উঠিয়ে আনা হয় দিগম্বর ছেলেটিকে।
স্থানীয় একটি বাড়িতে তাকে নিয়ে আসার পর তার চালচলনের অস্বাভাবিকতা আরো বৃদ্ধি পায়। উদ্ধারকারী সুলতান জানিয়েছে লোকজন ও সবকিছু সে অবাক হয়ে দেখতে থাকে। আবার খাবার দেওয়া মাত্রই হুড়মুড়িয়ে পড়েছে,কিন্তু হাত দিয়ে না খেয়ে জিহব্বা দিয়ে চেটে খেয়েছে। সে ছিল বাকরুদ্ধ তবে গলা দিয়ে একধরনের আওয়াজ বের হয়েছে। মুহুর্তের মধ্যে এ খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে শত শত নারী পুরুষ তাকে এক নজর দেখতে ভিড় জমায় বাড়িটিতে।
এখবর এক সময় পৌছে যায় নদীর অপর পারের পেয়ারাপুরেও। ৯৯তে শিশু মাসুদকে হারানো মা শেফালীও ছুটে আসে ছেলেটিকে দেখতে। শেফালী এসে দাড়াতেই সবাইকে অবাক করে দিয়ে উদ্ধারকৃত বালকটি ঝাপিয়ে পরে তার বুকে। কারোরই বুঝতে কষ্ট হয়নি যে, শেফালীই তার মা।
এ এক অন্যরকম দৃশ্য,ভিন্ন এক মিলন কাহিনী।
মা তার হারানো ছেলের শরীরে বিশেষ কিছু চিহ্নের কথা বলেন,ছেলেটির শরীরে সে চিহ্নও খুঁজেও পাওয়া যায়। অবশেষে নবাবগঞ্জের পৌর সভার মেয়র অধ্যাপক আতাউর রহমান এবং বালিয়াডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই এর মাধ্যমে গতকাল মঙ্গলবার(১২ মে,২০০৯) বিকেলে স্থানীয় থানা চত্বরে বালকটিকে হস্তান্তর করা হয় তার মায়ের কাছে। পৌর মেয়র আতাউর রহমান বলেন, ধর্মীয়ভাবে আমরা জ্বীনের কথা জানি। আপাতদৃষ্টে মনে হয় এতদিন ছেলেটি জ্বীনের কবলে ছিলো। মাসুদের মা যে সময় মাসুদকে হারায় তখন সে ছিল দুরন্ত ও বাকপটু।
কিন্তু এখন সে বাকরদ্ধ। । ......................
__________________________________________________
এ যেন যেখানে হারানো সেখানেই ফিরে পাওয়া। শিশু থেকে বালক,মাঝখানের দশটি বছর নদীর কোন অজানা জগতে কেটেছে কি???
সেকি সত্যি জ্বীন জগতের অধিবাসী ছিল এতকাল-নাকি অন্য কোথাও???
এর সদুত্তর কি কেউ দিতে পারবেন???????????????????????????? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।