অসুস্থ নগরে একটু সুস্থতার খোঁজে ...........
নাহ, আবার ক্রিকেট নিয়ে লিখতে যাচ্ছি। যতোই না না করি ততোই যেন ক্রিকেট বিষয়ক লেখার লোভ সামলাতে পারি না। এবার একটা আশঙ্কা মনে দানা বাঁধছে, তাই এ লেখার অবতারনা।
বর্তমানে টেস্ট চলছে বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ডের। ফল কি হবে তা অনেকেই আন্দাজ করে ফেলেছি।
এ টেস্টের আগে রাকিবুল হাসান নামের এক তথাকথিত প্রতিভাবান (!!!) ব্যাটসম্যান মাত্র ২২ বছর বয়সে অবসরে গিয়ে কি নাটকটাই না করলো। তার অভিমান বোর্ডের উপর। তার প্রতিভার দাম না দিয়ে তাকে টি-২০ বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে, খেলানো হয়নি নিউজিল্যান্ডের সাথে টেস্টে। ইংল্যান্ডের সাথে ওয়ানডে দলেও সে ছিল উপেক্ষিত। এমন অনাদর তার সহ্য হয়নি।
সহ্য হবার কথাও নয়, কেননা সে হচ্ছে মহামান্য সিডন্সের প্রিয় শিষ্যদের একজন। সে আরেকটা খবর জেনে গিয়েছিল। যেটা শুনে আমিও হতবাক। ইংল্যান্ডের সাথে ওয়ানডে দলে তাকে রেখেছিল নির্বাচকরা। যখন বিসিবি সভাপতি লোটাস কামালের কাছে দল অনুমোদনের জন্য স্বাক্ষরের দরকার হয় তখন তিনি নামগুলো পড়েন।
রাকিবুলের নামটা কেটে দিয়ে স্বাক্ষর করেন। নির্বাচকরা না বুঝলেও লোটাস কামাল বুঝেছিলেন রাকিবুলের যে ফর্ম তাতে সেও আশরাফুলের মত কিছুদিন বাইরে থাকা উচিৎ। কামাল সাহেব আরেকজনের নামও কাটতে পারতেন, সে জুনায়েদ। শর্ট বলে তার টেকনিক কতটা দুর্বল তা যারা জুনায়েদের খেলা দেখেছেন তারা জানেন। যাই হোক যে প্রক্রিয়ায় রাকিবুলকে বাদ দেয়া হলো তা দৃষ্টিকটূ।
বোর্ড প্রথমেই নির্বাচকদের তা বলতে পারত। যদিও পত্রিকা মারফত জেনেছি বোর্ড এমন ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল (আশরাফুল ও রাকিবুল)। রফিকুল গং সেটা অর্ধেক শুনলেও পুরোটা শোনেনি। তাই লোটাস সাহেব নিজে রাকিবুলকে বাদ দিয়েছেন।
তাই বাচ্চা রাকিবুল একটা প্লান করলো।
সে তিনদিনের ম্যাচে জান দিয়ে খেলল। দেখিয়ে দিল ছক্কা সেও মারতে পারে। নির্বাচকরা তাকে দলে নিল। লোটাস সাহেব এবার আর না করেননি। পারফরম্যান্সই তার প্রমাণ।
এরপর রাকিবুল তার জেদ দেখালো। নিয়ে নিল অবসর, পরেরদিন বাসায় সাংবাদিকদের জানিয়ে দিল তার অভিমান। বাহ কি বিচিত্র আমাদের ক্রিকেটারদের মনোজগৎ। এমন হলে অনেক ক্রিকেটারই এখন খেলতো না, অবসর জীবন যাপন করতো।
আরেকটা কথা শুনলাম।
সেটা বলেছে সাকিব। শাহরিয়ার নাফিস পরীক্ষার জন্য একবার অস্ট্রেলিয়া ট্যুরে যায়নি। এবার মাশরাফি মায়ের অসুস্থতার কথা বলে দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়। এসবও নাকি প্রতারণা! কি হচ্ছে বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমে ?
বিসিবির উচিৎ বিষয়টা নিয়ে তদন্ত করা। কেন এমন পারস্পরিক অশ্রদ্ধার সৃষ্টি হবে ? সামনে বিশ্বকাপ, তার আগে দলে এমন বিভাজন ভালো ফল আনবেনা নিশ্চিৎ।
আর যে নির্বাচক কমিটি সিনিয়র হবার অপরাধে রফিক, সুমন, পাইলটদের বাদ দিতে পারে তাদের দিয়ে ভালো দল নির্বাচন আশা করা বোকামী। তাদেরও জবাবদিহীতার ব্যবস্থা করা দরকার। শুধুমাত্র তাদের ইগো সমস্যা দলে আসতে দিচ্ছে না অলক কাপালী, রাজিন সালেহ, তাপস বৈশ্যদের। অযোগ্যতা সত্ত্বেও দলে টিকে থাকে জুনায়েদ, রুবেলরা। আর প্রত্যেক ইনিংসে একাধিক সুযোগ নষ্ট করেও দলের কিপার মুশফিক রহিম, অথচ রনি তালুকদার কিংবা মিথুনকে তাদের চোখে পড়ে না।
বিসিবিও ধোয়া তূলসী পাতা নয়। কেন তারা জাতীয় লিগকে জমজমাট করতে পারে না ? কেন একজন নির্বাহীর নিয়োগ ঝুলে থাকে ? কেন বিসিবি সভাপতিকে দল নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে হয় ?
জানি এসব প্রশ্নের উত্তর পাবো না কখনো। তবুও না লিখে পারি না। ব্লগে লিখে যদি কিছু ক্ষোভ মিটে তাহলে ক্ষতি কি ?
মনে হচ্ছে জ্বীনের আছর পড়লো নাতো ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।