আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিল্পের ভুবন

এম, এ, মান্নান বাংলাদেশের শিল্পকলার ইতিহাসে জয়নুল আবেদিন এক বিস্ময়কর প্রতিভার নাম। ছাত্র জীবনের শুরু থেকেই তিনি তার এই জাদুময় শৈল্পিক দক্ষতার পরিচয় দেন এবং ছাত্র জীবন শেষ হতে না হতেই সর্বভারতীয় পর্যায়ে শিল্পী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। অতঃপর দুর্ভিক্ষের চিত্রাঙ্কনের মধ্যদিয়ে তার এই খ্যাতি ভারতবর্ষ অতিক্রম করে ইউরোপকে স্পর্শ করে। কিন্তু তিনি ব্যক্তি জীবনের এই খ্যাতি নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট থাকতে পারেন নি হয়ে উঠতে পারেন নি একান্ত ভাবে স্বার্থপর। তিনি বলেন, ‘আমি নিজে শিল্পকর্ম করে যতটা আনন্দ পাই তার চেয়ে বেশি আনন্দ পাই শিল্পকে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে দেখলে...আমি তৃপ্তি পাই আরও অনেকে ছবি আঁকতে পারবে এমন একটি প্রতিষ্ঠান নির্মানের প্রচেষ্টায়”।

আর তারই অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল ঢাকা আর্ট কলেজ। কালের পরিক্রমায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউট এবং বর্তমানে চারুকলা অনুষদ। আর এখানে গত ১০/০৭/২০১২ তারিখে উদ্বোধন হয়ে গেল বছরের সবচেয়ে বড় একাডেমিক কার্যক্রম “বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী-২০১১”। বিভিন্ন মাধ্যম যেমন- লিথোগ্রাফ,উডকাট, ভাস্কর্য, সিরামিক, পেইন্টিং, কোলাজ প্রায় দুই শতাধিক শিল্পকর্ম নিয়ে আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে উঠে এসেছে সাম্প্রতিক নাগরিক জীবনের বিভিন্ন বিষয় সহ চিত্রাংকনের নতুন নতুন কৌশল, বিভিন্ন ডিজাইন, নতুন আঙ্গিকে করা ভাস্কর্যের বিভিন্ন মাত্রা, শিশুদের জন্যে করা বুক ইলাস্ট্রেশন, কম্পোজিশন সহ বিভিন্ন বিষয়। এ যেন ছবির এক নতুন ভূবন।

প্রতিবছর চারুকলা অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র ছাত্রীদের করা শত শত ছবি থেকে বাছাই করে মাত্র দুই থেকে তিনশত ছবি প্রদর্শনীর জন্য বাছাই করা হয়। আর এদের মধ্য হতে সেরা ৪০টির মত ছবিকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচন করা হয়। এবার যিনি ‘শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন স্বর্ন পদক’ পেয়েছেন তিনি হলেন ছাপচিত্র বিভাগের চতুর্থ বর্ষের তরুণ শিল্পী মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন জনি। তাঁর বহুরঙ্গা উডকাট মাধ্যমে করা “শিল্পীর স্টুডিও” নামক ছবিতে একজন শিল্পীর জীবন ও কর্ম যে তাঁর স্টুডিও কে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়- তাই ফুটে উঠে এসেছে। একজন শিল্পী যে সব জিনিস নিয়ে কাজ করেন যেমন তুলি, ব্রাশ, লিথোপাথর, রেক ইত্যাদি বাস্তব ভাবে তুলে ধরেছেন।

সিরামিক বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ পুরস্কার নির্বাচিত হওয়া শিল্পী শামসুল ইসলাম-এর ‘DEHUMANIZATION’ ছবিতে মানবতার অবমাননার বিষয়টি দেখিয়েছেন। দৃষ্টি নন্দন সব কচ্ছপ মাঝে মাঝে মধ্যখান দিয়ে হটাৎ ফেটে যাচ্ছে, সবমিলিয়ে রুপ নিয়েছে একটি গাছের। শিল্পী মারিয়া ফেরদৌসি পান্না এর ‘নিমতলা ট্রাজেডি’ সিরামিক মধ্যমে করা কম্পোজিশনে সমসাময়িক ঘটনার বাস্তবতা প্রকটভাবে ধরা পরেছে, আর রত্নেশ্বর সুত্রধর তাঁর পেইন্টিং-এ মাস্কিন ব্যবহার করে ছবিতে ইল্যুশন তৈরির নতুন কৌশল দেখিয়েছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনীতে সভাপতিত্ব করেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ.হ.ম.মতলুব আলী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন। চারুকলা অনুষদের সকল শিক্ষক সহ সুলতানা কামাল, শিল্পী আবুল বারাক আলভী,ছাত্র ছাত্রী, বিভিন্ন স্তরের কর্মচারী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রদর্শনী চলবে ১৫ই জুলাই পর্যন্ত জয়নুল গ্যালারিতে। চলেন না ঘুরে আসি শিল্পের ভুবন থেকে......... এইলেখাটা পুরান.....। মাইন কৈরেননা ....এই রকম লেখা আমি লেখার চেষ্টা করি কিন্তু কোথাও পাঠাবার লিঙ্কু পাইনা মানে পত্রিকায় পরিচিত কেও নাই প্লিজ হেল্পান......। । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.