অন্যমনে একদিন ভালোবাসা কড়া নেড়ে যাবে
অপেক্ষায় থেকো ।
পদশব্দে মনে হবে বাতাসের নিষ্টুর শাসানি
বহুদূরে শাণ দিচ্ছে ভয়ানক কৌতুকের থেকে ।
তোমার দুপাশে রাস্তা , সাজানো হর্ম্যের
অলিন্দ থমকে আছে , চারিদিকে আলোর চাতুরি
স্বপ্নের ভিতর কিংবা মৃত্যুর ভিতর কিংবা
জাগরণে , সূর্যের ভিতর
একাকী , নিঃসংগ , এই আত্মঘাতী শোকের ভিতর
থেকো , তবু অপেক্ষায় থেকো ।
[ অপেক্ষা / দিব্যেন্দু পালিত ]
এই কবিতাটি দিব্যেন্দু পালিত এর একটি শ্রেষ্ঠ কবিতা । কেন এটি শ্রেষ্ঠ ?
এর উত্তর দেয়া যাবে অনেক ভাবে ।
আর যারা ছবি আঁকেন - তারা তাদের আঁচড়ে কী বোধ রেখে যান ?
কয়েকটি রেখা , কিছু রঙ কী আলো রেখে যায় মননের জন্য ?
মধ্যযুগর শিল্পীরা ধারণ করেছিলেন বস্তুর বস্তুগত অবস্থান। নিজে দেখার পরিপ্রেক্ষিত । এর বিবর্তন ঘটেছে। আধুনিক যুগে যোগ হয়েছে অন্য অভিধা। আর এভাবেই বিকাশ ঘটে বস্তুর নিরাকরণ প্রক্রিয়ার।
বিকিরণ সত্তায় বস্তুকে , জ্যামিতিক আকারে বিভাজন করার দর্শন।
এর রেখা ধারণ করে এগিয়েছে কবিতা ও । কবি ও ।
ধরা যাক জয়নুলের ছবির কথাই ।
জয়নুল সমকালকে ধারণ করে কালো কালিতে এঁকেছেনদুর্ভিক্ষের স্কেচ।
তার আঁকায় দেখা যায় আকাশের দিকে মুখ করে অবশ হয়ে শুয়ে আছে মা। তার একটি হাত শূন্য থালার ভেতরে। মায়ের মুখে স্তন খুঁজছে একটি কঙ্কালসার শিশু।
শিল্পী বহুমাত্রিক ব্যঞ্জনায় তুলে ধরেছেন সমাজের মুখ।
কবি দিব্যেন্দু পালিত ও বলেছেন অপেক্ষায় থেকো হে প্রেম , হে প্রেমিকা !
শিল্পের দূরতম যাত্রী হয়ে ।
ছবি - ক্যাথারিনা নিকসিক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।