আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাঙ্গামাটি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই রাজা ত্রিদিব রায়ের লাশ আসবে

আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি। রাঙ্গামাটির পরিস্থিতি সামলে ওঠার আগে চাকমা সার্কেলের সাবেক রাজা ত্রিদিব রায়ের লাশ পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে আসছে না। তার ছেলে ও বর্তমান রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়ের সাথে সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য জানিয়েছেন। গত রাতে নয়া দিগন্তকে রাজা দেবাশীষের ব্যক্তিগত সহকারী সুব্রত চাকমা জানান, লাশ আনার জন্য প্রয়োজনীয় সরকারি অনুমতি পাওয়া গেছে।

তবে ঠিক কবে তার লাশ আনা হবে, সেই দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। গত বৃহস্পতিবার রাজা দেবাশীষ বলেছিলেন, এক সপ্তাহর মধ্যে তার বাবার লাশ আনা হবে। তবে এখন এটি ঠিক রাখা সম্ভব হচ্ছে না কয়েক দিন ধরে পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে রাঙ্গামাটিতে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে। রাজ পরিবার সূত্র মতে, দেশে আনার পর রাঙ্গামাটি জেলার রাজবন বিহার প্রাঙ্গণে ত্রিদিব রায়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাঙ্গামাটি জেলা শহরের পাশেই রাজবন বিহার অবস্থিত।

এটি রাঙ্গামাটির সবচেয়ে বড় বৌদ্ধবিহার। এর চত্বরেই প্রতি বছর রাজপুণ্যাহ ও কঠিন চিবরদান অনুষ্ঠান হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের সরকারি বাসভবনেই মারা যান ত্রিদিব রায়। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এ নেতা পাকিস্তান চলে যান ১৯৭১ সালেই। এমনকি তিনি বাংলাদেশে আসতেন না।

৭৯ বছরে মারা যাওয়া ত্রিদিব রায় ৪২ বছর ধরে পাকিস্তানের ইসলামবাদ ও থাইল্যান্ডে মেয়ে চন্দ্রাবতী রায়ের কাছেই বসবাস করে আসছিলেন। ত্রিদিব রায় ১৯৫৩ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত চাকমা সার্কেলের রাজা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার অনুপস্থিতিতে ১৯৭৭ সালে ছেলে ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় রাজা হিসেবে দায়িত্ব নেন। বর্তমানে তিনি এ পদে রয়েছেন। রাজা ত্রিদিব রায় পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।

তিনি সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয় দেখাশোনা করতেন। তিনি শ্রীলঙ্কা ও আর্জেন্টিনায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও পালন করেন। পাকিস্তানের সংবাদপত্রে বলা হয়েছে, ত্রিদিব রায় বাংলাদেশের পক্ষ ত্যাগ করে ১৯৭১ সালে জুলফিকার আলী ভুট্টোর নেতৃত্ব মেনে পাকিস্তান চলে আসেন। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি পাকিস্তান বুদ্ধিষ্ট সোসাইটির প্রধান ছিলেন। ত্রিদিব রায় পণ্ডিত হিসেবে খ্যাত ছিলেন।

তিনি অনেক গ্রন্থ রচনা করেন। তার অন্যতম আলোচিত গ্রন্থ দ্য ডিপারটেড মেলোডি। এতে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম ও এর জাতিসত্তার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। একই সাথে তিনি এতে দেশ ভাগের প্রসঙ্গটিও নতুন করে আলোচনা করেন। তার মৃত্যুতে চাকমা জনগোষ্ঠী শোকাচ্ছন্ন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।