বলগ টি লেখার কোন দরকার ছিলনা... কিন্তু সরকারের উদাসীনতার কারণে ব্লগ টি লিখছি...। । ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ফলে যে বাংলাদেশের জন্ম তার সবচেয়ে সুন্দর জায়গা রাঙ্গামাটি......। অন্যান্য জায়গার মতো এখানে ও মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবন দিয়ে জয় ছিনিয়ে এনেছে...... তাই একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে সবসময় গর্ব করতাম......। কিন্তু বর্তমানে কিছু বিদেশি শক্তি ও দালালের কারণে সেই স্বাধীনতা রক্ষা করা আজ কঠিন হয়ে যাচ্ছে...।
তারা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য এ দেশের মাটিকে অপবিত্র করতে চাচ্ছে ...। । অর্থ সহয়তা দিয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংঘটন তৈরি করে রাঙ্গামাটির অবস্তা অসস্তিশীল করে রেখেছে... যেই বাঙ্গালিরা রক্ত দিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছে তারাই আজ অধিকার বঞ্চিত। । এখানে একদেশে দুইনীতি চলছে...... একই গুণাবলি থাকার পর ও কেউ কোটার কারণে অনেক উপরের পজিশন এ আবার কেউ নিচের পজিশন এ চাকরি করে...।
।
এইসব নিয়ে কখনই লিখতাম না। । কিন্তু বর্তমানে সরকারের একটি সিদ্ধান্তে আর না প্রতিবাদ করে পারছিনা...... যে মাটিতে মুক্তিযোদ্ধার রক্ত রয়েছে, যেখানে বীরস্রেষঠ মুন্সী আব্দুর রবের সমাধি রয়েছে, সেইখানে একজন রাজাকার ( ত্রিদিব রায় ) কিভাবে জায়গা পায় ????.. এই সরকার কিভাবে একটা রাজাকারের লাশ এ দেশে আনতে চায় ????... তাহলে কি সরকার এদেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে রাজাকার হিসেবে গড়ে উঠতে উৎসাহ দিতে চায় ?????...। ।
তাদের কে দেখাতে চায় যারা দেশের বিপদে বেঈমানি করে তারাই দেশে সম্মান পায়!!!!!!!
এর কি জবাব দিবো ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে,কী বা বলবো মুন্সী আব্দুর রবের পরিবারের কাছে ??????????
আমার পাহাড়ি বন্ধুদের বলবো আপনারা ও এর প্রতিবাদ করেন... কারণ যে দেশের সাথে বেঈমানি করে সে পুরা দেশের জাতির সাথে বেঈমানি করে... আর নিজের জন্মস্থানে কখনোই বেঈমানের জায়গা নাই......
তাই সরকারের কাছে অনুরোধ কোনোমতেই যেন এই রাজাকারের লাশ বাংলাদেশে আনা না হয়...। । দেশের মাটিতে একজন রাজাকারের কবর জাতি সহ্য করবেনা......। আর একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমি কোনোমতেই না.........। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।