ধুত্তোর ডাইনোসরের ডিম
[এটি একটি গল্প মাত্র। কারো বাস্তব জীবনের সাথে মিল খুঁজতে যাবেন না প্লিজ। আর এটি সম্পূর্ণ আমার মনগড়া গল্প। আমি কোন পর্ণস্টারের সাক্ষাৎকার নিয়ে এটা লিখতে বসিনি। ধন্যবাদ।
]
খুব ছোটবেলা থেকেই আমি বেশ ডানপিটে স্বভাবের ছিলাম, এটা অন্য সবাই বলার সাথে সাথে আমি নিজেও বুঝতাম। কেননা আমি কারো বিধি-নিষেধ তেমন একটা তোয়াক্কা করতাম না।
দিনের বেশীরভাগ সময়টা আমি বাড়ির বাইরে হৈ-হৈ টই-টই করে ঘুরে বেড়াতাম আর প্রতিবেশী ছেলেমেয়েদের সাথে খেলা করে বেড়াতাম। তবে আমার বেশী পছন্দ ছিল ছেলেদের সাথে খেলা করায়।
মা এ নিয়ে প্রায়ই বকাবকি করতেন।
বকাবকি করছেন আর বলছেন ‘মেয়েদের এত ডানপিটে হতে নেই। একটু শান্ত থাকতে হয়। ’ আবার মাঝে মাঝে রাগ হয়ে মা কে এটাও বলতে শুনেছি যে মা বলছেন, ‘এত ছোট বয়স থেকেই এত ছেলেবন্ধু, বড় হলে না জানি কি হবে!’
স্বাভাবিকভাবেই আমি মা’র সেই সব কথা খুব অল্পই বুঝতাম, নয়তো কিছুই বুঝতাম না। এ কারণে ওইসব কথা তেমন একটা গুরুত্ব দিতাম না। কেননা মা তো আর জানতেন না যে ছেলেদের সাথে খেলায় কত মজা! ওদের কি গতি, কি দুরন্ত ওরা! ব্যাথা পেলে মেয়েদের মত কাঁদে না, ছোটখাটো কোন কিছুতে নালিশ নেই।
একটু যখন বড় হলাম, তখন আমার আশেপাশের অনেককেই বলতে শুনেছি আমি বেশ সুন্দরী। এসব কথায় আমি তেমন একটা গুরুত্ব দিতাম না।
একদিনের ঘটনা।
আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এলেন এক আঙ্কেল-আন্টি আর সাথে তাদের পিচ্চি। যতক্ষণ উনারা ছিলেন, আমি পিচ্চির সাথে খাতির করে খুব খেলাধুলা করলাম।
আমি তখন ফিফথ স্ট্যান্ডার্ডে পড়ি। পিচ্চির সাথে তাই জমিয়ে নিতে আমার বেশী সময় লাগেনি। উনারা চলে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই আঙ্কেল আমাকে কোলে তুলে নিলেন। ফিফথ স্ট্যান্ডার্ডে পড়া তুলনায় আমি একটু বেশ লম্বাই ছিলাম। তাই এভাবে হঠাৎ করে কোলে নেওয়াতে আমি বেশ অবাকই হয়েছিলাম।
আরো অবাক হয়েছিলাম এইটা টের পেয়ে যে উনি আমাকে কোলে নেওয়ার সময় কৌশলে উনার বাম হাতটা আমার স্কার্টের নিচ দিয়ে নিয়ে সেই হাতে বসালেন আর ডান হাত নিয়ে আমার দুই পায়ের মাঝে হাত রাখলেন। এরপর কিভাবে জানি আমাকে একটু নড়িয়ে উনার বাম হাতটা আমার প্যান্টির মধ্যে দিয়ে দিলেন। অবাক হয়ে আঙ্কেলের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি উনি হেঁ হেঁ করে হাসছেন আর আমার মা-বাবাকে বলছেন, আপনাদের মেয়েটা এ বয়সেই দেখতে খুবই সুন্দরী হয়েছে। দেখলেই কোলে তুলে নিয়ে আদর করতে ইচ্ছে করে। এ কথা বলতে বলতেই উনি উনার হাত আমার প্যান্টির মধ্যে নিয়ে আমার ওইখানে হাত দিতে লাগলেন।
সমানে হাত চলছে আর সেই সাথে মুখে বলছেন, বড় হলে দেখবেন ডাকসাইটে সুন্দরী হবে, হেঁ হেঁ। হাত চালানোর গতি যখন একটু একটু করে বাড়ছিল তখনই আমি আমার অবাক হয়ে থাকা অবস্থা কাটিয়ে অসস্তিতে শরীর মোচড় দিতেই উনি হাত বের করে নিয়ে আমাকে উনার কোল থেকে নামিয়ে দিলেন।
সেদিন উনারা চলে যাবার পর আমি আমার ঘরে এসে বালিশে মুখ গুঁজে খুব কেঁদেছিলাম। কেন বা কি ফিলিংসের জন্য কেঁদেছিলাম জানি না, তবে খুব কান্না পাচ্ছিলো এতটুকু মনে আছে। তারপর কিছু পরে উঠে চোখ মুখ মুছে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বোঝার চেষ্টা করলাম আমি আসলে কেমন সুন্দরী।
আমার সৌন্দর্য আসলে কোথায়। মানুষ তো আমার মুখ দেখে বলে আমি সুন্দরী। মুখেই যদি সৌন্দর্য থাকবে তাহলে ওই আঙ্কেল আমার ঐখানে হাত দিয়ে কেন বললেন যে আমি এই বয়সেই অনেক সুন্দরী! কেউ একজন আরেকজনের ওখানে কখনো হাত দেয়! ছিঃ! আমার আবার কান্না পেল। কাঁদলামও বেশ কিছুক্ষণ।
পরদিন সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় ‘ক’ আর ‘খ’ এর সাথে দেখা হলে কেন জানি আমি ওদের সাথে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারছিলাম না।
‘ক’ আর ‘খ’ আমার খুব ভাল বন্ধু। আমার কোন বান্ধবী নেই। এরাই আমার বন্ধু জগতের মানুষ। আমরা তিনজনে একে অন্যের সাথে সব কিছু শেয়ার করি। আমাদের একটা গোপণ আস্তানা আছে।
কোন কারণে আমাদের লুকানোর দরকার পড়লে আমরা সেইখানে গিয়ে লুকাই। আমার এমন ধারার চুপচাপ আচরণ ‘ক’ আর ‘খ’ এর নজর এড়ালো না। রোজ যেই আমি অনেক হৈ-হল্লা করতে করতে স্কুলে যাই সেই আমি কিনা চুপচাপ!
সারাদিন স্কুলে চুপচাপ ছিলাম। থেকে থেকে গতদিনের ওই ঘটনাটা মনে পড়ছিল আর আবার কান্না পাচ্ছিলো। আমার এমন ধারা সারাদিন ধরে ওরা দুজন দেখেছে।
তখনও আমি ওদের কে কিছু বলিনি। তাই স্কুল শেষে ওরা আমাকে আচ্ছাসে পাকড়াও করে জানতে চাইলো আমার কি হয়েছে। কেন জানি আমার এইটাকে খুব লজ্জার একটা ব্যাপার বলে মনে হচ্ছিলো। তাই ওদেরকে বলতে পারছিলামও না। শেষে ওদের জোরাজোরিতে আমি ওদেরকে সব খুলে বলি।
বলেই আমি আবারো কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি। ওরা দু’জনও মনে হয় এমন ধারার কথা জীবনে প্রথম শুনেছিলো। ওরাও কিছুক্ষণ হা হয়ে থেকে প্রচন্ড রেগে গেল। পারলে তখনই সেই লোককে খুঁজে তাকে জবাই করে ফেলে।
সে বয়সে এই রকম একটা ঘটনা আমার জন্য অনেক বড় একটা ব্যাপার ছিল।
আমি জানি আমার ওই বয়স পার করতে থাকা বা পার করে আসা কম বেশী অনেক মেয়ে কেই কোন না কোন সময় এই ধরণের একটা পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে।
ফটো কার্টেসি: আর্টপিকস
পরের পর্ব
শেষ পর্ব ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।