তুমি আমার জল-স্থলের মাদুর থেকে নামো.....তুমি বাংলা ছাড়ো !!! একটা অফটপিক বেছে নিলাম। আজকাল ব্লগে লেখার বিষয়ের অভাব হচ্ছে না। মহানবী (স-কে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ, ব্লগার দাঁড়িপাল্লা'র বিতর্কিত পোস্ট প্রভৃতি আরও অনেক কিছুই। কিন্তু, নাম নিয়ে লেখার সিদ্ধান্ত নিলাম যে কারণে তা হলbr />
প্রতিদিনের মত আজও সকালে বাসে করে কলেজ যাচ্ছিলাম। বলে রাখি, আমার বাড়ি খুলনায়।
যাওয়ার পথে "নৌবাহিনী কলেজের" একটু আগে বাস থামে "শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল"-এর সামনে। [৭৫'র ১৫ আগস্ট শহীদ বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আবু নাসের]। আর হেল্পাররা তারস্বরে চেঁচায়, "এএএএ নাসের নাসের....! নাসেরের কেউ আছেন?" একদল পোলাপান বলে ওঠে,"না না...! আমরা নাসেরের বাড়ির কেউ না ! তাইলে কি তোর বাসে উঠা লাগত?" অনেকেই মজা লুটে হাসতে থাকে।
আমাদের দেশে প্রত্যেক সরকারের মাঝেই একটা প্রবৃত্তি লক্ষ্য করা যায়। তারা ভাবেন নিজেদের লোকের নামে প্রতিষ্ঠাণ ও স্থাপনার নাম রাখাটা কৃতকার্যতা।
তাঁরা এটা ঘুণাক্ষরেও টের পান না যে সেই মানুষটার নামটাকে কতখানি নিচে নামালেন।
আবার, খুলনা জেলা স্টেডিয়ামের বর্তমান নাম "শহীদ আবু নাসের স্টেডিয়াম"। বিলবোর্ডে ঠিকানায় বড় করে নিচে লেখা,"খান-এ-সবুর রোড, খুলনা"। অনেকেই হয়তো জানেন দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় রাজাকার এই সবুর। কিন্তু, তার নামের এই ব্যস্ততম সড়কটার উপর কি কারো চোখ পড়েনা? নাইবা পড়ুক...! কিন্তু, ঠিক একজন শহীদের নামের নিচেই রাজাকারের নাম রাখাটা কতখানি বাঞ্চনীয়?
বিশ্বের বড় বড় দেশে রাস্তার নাম রাখা হয় প্রসিদ্ধ স্থানের নামে।
যেমন:- প্যারিসের একটা ব্যাস্ততম রাস্তার নাম টোকিও। সেদেশের মানুষেরা নিজের নগরীতে চলেই ভূগোল শেখে। জাতীয় বিখ্যাত মানুষদের হেয় করে ক্ষমতা প্রদর্শন কি খুবই জরুরি? যদি না হয় তবে এ বৃত্ত থেকে কবে বের হতে পারব আমরা? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।