যখন দেখি চাওয়া পাওয়া শূন্যতে মিলায় তখন আমি এই শহরে কষ্টে বেঁচে খাই মৃত্যুর পর আজ হুমায়ূন স্যারকে ঋণগ্রহিতা হয়ে থাকতে হচ্ছে। অথচ মৃত্যুর বছর খানেক আগে উচ্চশিক্ষার জন্য একজন অসহায় ছেলে স্যারের কাছে দখিন হাওয়া তে গিয়ে কমপক্ষে ৩ লাখ টাকা অনুদান পায়। যিনি এভাবে অন্যের বিপদে বার বার এগিয়ে এসেছেন আর গোপনে মুক্তহস্তে বিলিয়ে দিয়েছেন তাঁর লাশ পরিবহন খরচের ১৪ লাখ টাকা ২য় স্ত্রী শাওন কেন পরিশোধ না করে নুহাশ পল্লী নাটক করলেন আজও অজানা রয়ে গেল সেটা। মৃত্যুর ২ মাস পর স্যার ঋণের দায় থেকে মুক্তি পেলেন না! এটাই শাওনিও ভালবাসা,সবই লোক দেখানো; মানবিকতা বর্জিত।
দু’মাস পেরিয়ে গেলও জননন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ বাংলাদেশে আনার খরচ পরিশোধ করা হয়নি।
যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ টাকা। এ ব্যাপারে বিমানের টিকিটসহ মরদেহ আনার ব্যবস্থাপনার অর্থ পরিশোধের জন্য ২৬ আগস্ট নিউইয়র্ক থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি ফ্যাক্স পাঠানো হয়। একই সঙ্গে একটি ই-মেইলও পাঠানো হয়। যেখানে বলা হয়েছে, হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেয়ার জন্য দুটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। আর সে যোগাযোগ অনুযায়ী তারা সবকিছুর ব্যবস্থা করে।
এর পাশাপাশি দেশে আনার জন্য টিকিটেরও ব্যবস্থা করে দেয় তারা। বাংলাদেশের খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিকের জন্য তারা সে সময় বাকিতে তাদের কাজ সম্পন্ন করে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তারা তাদের ব্যয়ভার পরিশোধ করার জন্য অনুরোধ জানায়।
জানা গেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিউইয়র্কের কনস্যুলার জেনারেলের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সবকিছু সম্পন্ন করে। পরে তারা অব্যাহতভাবে ব্যয়ভার পরিশোধ করার জন্য তাগিদ দেয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মিশনের বাজেট থেকে খরচের অর্থ বরাদ্দ করার কথা বললেও এখন পর্যন্ত তা বরাদ্দ করা হয়নি। ফলে ১৯ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অর্থ বিভাগের কাছে বিমানের টিকিটসহ মরদেহ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ টাকা মঞ্জুরি চেয়ে চিঠি লিখেছে। চিঠিতে তারা হুমায়ূন আহমেদ, তার স্ত্রী, দুই সন্তান ও পরিবারের বন্ধু মাজহারুল ইসলামের বিমানের টিকিটও পরিশোধের কথা উল্লেখ করেছেন। ১৯ জুলাই নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।