আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘ইনোসেন্স অব মুসলিম’ ও জঙ্গিদের গর্ত থেকে হুক্কাহুয়া

এইমাত্র বিশাল বিক্ষোভ মিছিল সিলেটের বন-কলাপাড়ার রাস্তা প্রদক্ষিণ করলো। সবাই মুষ্টিবদ্ধ হাত উপরে তুলে মোহাম্মদের নামে স্লোগান দিচ্ছিল। সবার স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহন দেখে মনে হলো এদেরকে যদি জিহাদের ডাক দেয়া হয় তারা সাগ্রহে ঝাপিয়ে পড়বে। কয়েকদিন আগে শাহজালালের মাজার থেকেও হাজার হাজার মানুষের সংক্ষুব্ধ মিছিল বের হয়েছিল। তারাও মোহাম্মদকে অপমানের প্রতিবাদ করছিল।

এভাবে সারা দেশে, পৃথিবীর প্রতি প্রান্তে, খন্ড খন্ড, সম্মিলিত, বিশাল বিশাল মিছিল বের হচ্ছে, কোথাও শান্তিপূর্ণ কোথাওবা জঙ্গি মিছিল। আর মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে জ্বালাও-পোড়াও হচ্ছে। লিবিয়ায়তো রাষ্ট্রদূতই মারা গেলো। বেচারা! মুসলিমরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছে। করতেই পারে।

অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে এতে দেশে দেশে যে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে যে হ্যাপা পোহাতে হচ্ছে তাতো আর 'ইনোসেন্স অব মুসলিম' চলচ্চিত্র নির্মাতাদের আর তাদের পৃষ্ঠপোষক ইহুদীদের কিছু হচ্ছে না। এই সুযোগে দেশের গর্তে লুকানো জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবেনা তার নিশ্চয়তা কি? বাংলাদেশে জামায়াতের মূল হাতিয়ার শিবির যে রাজাকারদের বাঁচাতে মাঠে নামে নি সেই নিশ্চয়তাই বা কে দিবে? এতদিন তাদের হাতে কোন ইস্যু ছিল না যা দিয়ে সাধারণ মানুষের সহানুভূতি পাওয়া যেত। কিন্তু এখন তারা তা পেয়ে গেল। সরকারও বেকায়াদায় আছে, চাইলেই এখন কিছু করতে পারবে না।

মিছিলে কঠোরও হতে পারবে না, নিষিদ্ধও করতে পারবে না। বেশি তেড়িবেড়ি করলে সরকারের পতন বিচিত্র কিছু নয়! পুরো ব্যাপারটা আমার কাছে পূর্বপরিকল্পিত বলেই মনে হচ্ছে। ইহুদীরা যে এই পরিকল্পনার পেছনে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। লা রাইবা ফি। তারা চাচ্ছে ইরানে হামলা চালাতে।

কিন্তু আমেরিকার গ্রিন সিগনাল এখনো পায় নি। পুর্বপরিকল্পিতই যদি না হবে তবে ফ্রান্সের অখ্যাত এক পত্রিকা কেন মোহাম্মদের কার্টুন ছাপাবে? পশ্চিমারা মুখে অসাম্প্রদায়িকতার বুলি আওরায়, ধর্মের ব্যাপারে তাদের উদাসীনতা দেখায়, কিন্তু বাস্তবে কি আদৌ তা? আমার তা মনে হয়না। বাংলাদেশ সরকারকে খুব সতর্কতার সাথে পুরো ব্যাপারটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সহনীয়তা দেখাতে হবে। মিছিলে সাদা পোশাকের পুলিশ ঢুকিয়ে দিতে হবে।

সেদিন আমার এক ছাত্রকে শিবিরের এক সদস্য ফোনে মিছিলে যাওয়ার ব্যাপারে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল এবং সে গিয়েছিলও। কোমলমতি শিশুদের মিছিলে নিয়ে তাদেরকে একধরনের ব্রেইন-ওয়াশও করা হচ্ছে। অর্থাৎ পুরো ব্যাপারটা ইসলামের নামে জঙ্গিরা ব্যবহার করছে এবং করতে থাকবে। এবং সেই সুযোগ বারবার পশ্চিমারা করে দিচ্ছে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.