সাহাদাত উদরাজী www.udrajirannaghor.wordpress.com ব্যাংকক আড্ডা আপাতত শেষ করতে যাচ্ছি! রেসিপি ব্লগে আসলে ব্যাংককে থাকাবস্থায় কি কি খাওয়া দাওয়া করেছিলাম তার একটা হিসাব দিয়ে গেলাম, অন্য কিছু নিয়ে তেমন কথাই বলি নাই। শেষ পর্ব একটু আলাদা হয়েই থাকুক। এই পর্বে নানান বিষয় নিয়ে কথা চলতে পারে এবং সাথে থাকতে পারে নানান ছবি।
ফেমাস স্টারবাক্স এর কফি দোকানের সামনে কয়েকটা চেয়ার পাতা। কফি নিয়ে বসা যায়, টেবিলে কফি এবং হাতে সিগারেট থাকলে জোস ভাব আসে! বামে ঘাড় ঘুরাতেই দেখি এমন পোষ্টার! আমার বেশ কয়েক বন্ধু থাইল্যান্ডে গিয়ে এই জরিমানা দিয়েছে! টানতে থাকাবস্থায় ধরলেই ফাইন ২০০০ বাথ, কম টাকা নয়! টাকার মায়া কার না আছে?
নিখুঁত করে গড়ে তুলেছে সারা শহর।
যাতায়তের ব্যবস্থা চমৎকার। পথে পথে ভাবছিলাম, এত দালান কোঠায় কারা থাকে?
কিছুদিন আগে আমাদের দেশের একজন বিচারক টোল না দিয়ে পার হয়ে যাচ্ছিলেন এবং শেষ আবার টোল সুপারভাইজারকে গ্রেফতার করে জেলে প্রেরন করেছিলেন! ইস, কি ক্ষমতার বাহার! থাইল্যান্ডে এমন চিন্তা রাজাও করেন বলে মনে হয় না! তিনিও টোল দিয়েই পথে চলেন। আইনকে সন্মান করার একটা প্রতিযোগিতা সবার মাঝেই বিদ্যমান।
বন্ধুর গাড়িতে শহর দেখার মজাই আলাদা!
প্রতিটা জায়গাতেই এমন পূজা করার স্থান বিদ্যমান, কি মেসেজ পার্লার, কি স্কুল, কি কলেজ, কি মার্কেট! তবুও ওদের মৌলবাদী বলা হয় না! ধর্ম এবং উদারতার কি সহবস্থান!
মেনি কিউর, পেডি কিউর, ফেশাল, ফুট ম্যাসাজ, বডি ওয়েল ম্যাসাজ! কি চান, আসেন, সব কিছু আপনার প্রয়োজনে রেডি!
এত বিশাল ফ্লোরের মার্কেট, দেখে শেষ করাই ভার! এখান থেকে শুনেছি বাংলাদেশের নায়ক নায়িকারা মার্কেট করে থাকেন! রবিনসন্স! আমাদের নায়ক সাকিব খান নাকি এখান কার জিনিষ ছাড়া অন্য কিছু পরেন না! আহ!
কোথায়ও তাড়াতাড়ি যেতে মটরবাইকের তুলনা নেই! ছেলেমেয়ের পার্থক্য এখানে নেই! মেয়েদের/মায়েদের এভাবে মটর সাইকেলে বসা এখন আমাদের দেশেও প্রচলিত হয়ে যাচ্ছে।
উড়াল মেট্রো রেল আমার কাছে সব চেয়ে ভাল লেগেছে।
আমাদের দেশেও নাকি এই ট্রেন আসছে (আবশ্য চুরি বা কমিশন পেলে)!
দ্রব্য মুল্য আমার কাছে থাইল্যান্ডে বেশি মনে হয়েছে! ইন্ডিয়াতে এর চেয়ে ভাল কোয়ালিটির মাল অনেক সস্থা! বোম্বে কিংবা কলিকাতাতেও আজকাল অনেক বড় বড় দোকান গড়ে উঠেছে!
থাই এক সুন্দরীর সাথে আমাদের এক পাবনার বন্ধু! তিনিও আমাদের সাথে ক্রুজে গিয়েছিলেন, সেখানেই আমার সাথে পরিচয়! একটা কথা না বললেই নয়, থাইল্যান্ডে আমাদের পাবনা/সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের মানুষের সংখ্যাই বেশী। লন্ডনে যেমন সিলেটের!
ব্যাংককের পথশিশু, এখনো চোখে স্বপ্ন আছে, একদিন বড় হয়ে যেতে পারে! আমাদের দেশে মন্ত্রীর ছেলে মন্ত্রী হচ্ছে যে হারে তাতে আর কারো চান্স দেখি না!
ব্রামুনগ্রাদ হসপিটাল। একটা থাই ঐতিহ্য। সার্ভিস না দেখলে বিশ্বাস করবেন না, কি করে সারা বিশ্বের মানুষের চিকিৎসা করে যাচ্ছে। অসাধারন সেবা দিয়ে থাকে।
আমাদের রাজা, মন্ত্রী এবং ধনী প্রজারা এখানে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। তবে আমি দেখেছি, এই ধরনের আরো বেশ কিছু হসপাতাল ব্যাংককে আছে, যাদের সেবাও আন্তর্জাতিক মানের।
সিয়াম প্যারাগনে স্মার্ট টিভিতে (আমাদের এক বন্ধু টিভি কিনেছিল) আমি আমার রেসিপি সাইট দেখছিলাম, থাই সেলসম্যানকে বুঝিয়ে বলাতে এবং দেখিয়ে দেয়াতে বেশ খুশি হয়েছিল!
ইট কাঠে এখনো সবুজ হারিয়ে যায় নাই! রাস্তার ফুটপাতে এখনো প্রচুর সবুজ।
থাই গ্যার্লস!
জায়গা মত গেলে এমন করে মাল কিনতে পারবেন! মাটিতে শুয়ে, বসে! যেন আমাদের চকবাজার!
সারা বিশ্বের পর্যটকদের জন্য থাইল্যান্ড একটা আর্দশ জায়গা! যেমনে খুশি চলেন, আপনারে কেহ কিছু বলবে না, যা খুশি খান, হোটেলে যারে ইচ্ছা নিয়া উঠেন! হা হা হা…। তবে আইন ভাঙলেই পুলিশ মামা এসে আপনাকে থানা হাজতে নিয়ে যাবে।
যত যুক্তি দেখান, কাজ হবে না। ইংরেজী না জানা পুলিশ শুধু বলবে, আই ক্যান নট! আই ক্যান নট! আই ক্যান নট!!
সবাইকে শুভেচ্ছা।
(সাম্মুতে সব পর্ব ও ছবি দিতে পারি নাই। মুলত ব্যাংকক আড্ডায় আমার খাবার দাবারের প্রতি আগ্রহ ছিল বেশী। সেই সব ছবি নিয়ে আমার পারশোন্যাল রেসিপি সাইটে বেশ কয়েকটা পর্ব করেছি।
যারা সম্পূর্ন এই পোষ্ট সহ সব পর্ব গুলো দেখতে চান তাদের নিমন্ত্রন জানিয়ে গেলাম আমার রেসিপি সাইটে)
ব্যাংকক আড্ডাঃ পর্ব ৮ (শেষ, নানাবিধ বিষয় ও ছবি)
বাকী লিঙ্ক গুলো সেখানে।
ব্যাংকক আড্ডাঃ পর্ব ৭ (বন্ধুর বাড়িতে বাংলা খাবার)
ব্যাংকক আড্ডাঃ পর্ব ৬ (প্রতিদিন সকালের নাস্তা ও অন্যান্ন বিষয়)
ব্যাংকক আড্ডাঃ পর্ব ৫ (একটি আদর্শ রেস্টুরেন্ট, দুনিয়ার সবার জন্য!)
ব্যাংকক আড্ডাঃ পর্ব ৪ (রাস্তার/ফুটপাতের খাবার)
ব্যাংকক আড্ডাঃ পর্ব ৩ (হোটেলে বাংলাদেশী খাবার)
ব্যাংকক আড্ডাঃ পর্ব ২ (ডিনার ইন দ্যা ক্রুজ)
ব্যাংকক আড্ডাঃ পর্ব ১ (ডিনার ইন দ্যা ক্রুজ) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।