মমমমমম
আমাদের চারপাশে নানা ঘটনা ঘটে চলেছে। আমরা চোখ বন্ধ করে ছুটে চলেছি। আমরা দিন দিন কেমন যেন মূক বধির হয়ে যাচ্ছে। মূক বধির রা অনেক ভালো আছে যে তারা কিছু শুনতে পাই না ও বলতে পারে না। কিন্তু আমরা দিন দিন ওদের থেকে অধম হয়ে যাচ্ছি।
আমরা সব জেনে বুঝে চুপ করে বসে আচ্ছি। দিনের পর দিন আমদের উপর এমন সব জিনিস চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে যা একেবারেই ঠিক না। তার পর ও আমরা কিছু বলতে সাহস পাচ্ছি না। আমাদের একদল মানুষ প্রতিবাদ করছে বুঝে আর বাকিরা করছে না বুঝে। আমি আজকে আমি বর্তমান সরকার এর কিছু নীতির বিশ্লেষন করব।
আমি জানি না আপনাদের কেমন লাগবে।
১ ইউটিউবঃ আমাদের বর্তমান সরকার ইউটিউব নামক ভিডিও শেয়ারিং ওয়েব সাইট বন্ধ করে দিয়েছে। সরকার এর পিছনে কারন হিসাবে বলছে এই সাইটে আছে মহানবী হযরত মোহাম্মদ ও ইসলাম্লা ব্যঙ্গ করে বানান সিনেমা ইনোসেন্স অফ ইসলাম নামক ছবিটি। আমি ছবিটি দেখেছি। সত্যই ছবিটি লজ্জাজনক যা আসলে কোন ছবির মধ্যে পড়ে না।
এটা ইসরাইলি পরিচালকের বিকৃত চিন্তা ভাবনার ফসল। যার মূল্য অমেরিকাকে ইতিমধ্যে দিতে হয়েছে। মুসলিম বিশ্ব আর যা হোক ধর্মের ব্যাপারে খুবি প্রতিক্রিয়াশীল। এটা স্বাভাবিক কারন আপনি কারো বিশ্বাস , মূল্যবোধকে আঘাত করে কিছু করলে তার প্রতিদানে ফুলেল কিছু পাবেন না। এটা কেবল মুসলিম বিশ্বে নয়, ইংল্যান্ড ৪০০ বছর পর পোপকে তাদের দেশে প্রবেশ করতে দিয়েছে? কেন জানেন? কারন রোমান ক্যাথলিক পোপ একবার প্র্টেস্ট্যান্টদের নিয়ে বাজে কথা বলেছিল।
বলে রাখি যে ইংল্যান্ডের মানুষরা প্র্টেস্ট্যান্ট। ঘটনা যাই হোক না কেন এর পিছনে ইউটিউবের কোন হাত নেই। এখানে শেয়ার করা হয়েছে মাত্র। সরকার এক ঢিলে বহুপাখি ইউটিউব বন্ধের মাহ্যমে একদিকে যেমন প্রমান করছে যে আমরা ইসলামের প্রতি সহনশীল, অন্যদিকে অবাধ তথ্য প্রবাহে বাধা প্রদান করছে। আমরা বর্তমানে ইউটিউবের কারনে সরকারের অনেক তথ্য জেনে যাচ্ছি।
পিলখানার অনেক অডিও আমরা শুনেছি এর মাধ্যমে, বুয়েট কেলেংকারির সচিত্র প্রতিবেদন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের জীবন্ত ভিডিও আমরা ইউটিউবের মাধ্যমে পেয়ে যাচ্ছি। সংবাদ মাধ্যম নানা প্রতিকূলতার জন্য প্রতিবেদন না করতে পারলেও এই সাইটের মাধ্যমে সাধারন মানুষ কিন্তু ঠিকই জেনে যাচ্ছে কুকীর্তি , তাই সরকারের মাথা ব্যাথা কি করে এই সাইট বন্ধ করা যায়। এবারে মোক্ষম সুযোগ পেয়ে গেছে। ইসলামের দোহাই দিয়ে পুরা অফ করে দিছে। এই সাইতে আছে অসংখ্য জ্ঞানের বিষয় যা প্রতিদিন হাজার ব্যক্তির উপকার সাধন করে চলেছে।
শুধুমাত্র একটা ভিডিওর জন্য পুরো সাইটকে বন্ধ করে দিতে হবে কেন? আর এসব করে কি লাভ? আজ ইউটিউব, কাল ফেসবুক যখন যা ইচ্ছা তাই বন্ধ করে দেবে এটা কেমন কথা। এটা আসলে একটা টেস্ট কেস, এর পর যে মুক্ত লেখালেখির উপর হাত দিবে না তার গ্যারান্টি কি? এরপর বলবে যে ব্লগ সাইটকে ও নিয়ম নীতি মেনে চলতে হবে যাতে করে সরকারের দুর্নাম না হয়? আসুন ভালো করে ভাবি ভিতরের ঘটনা কি? কেন কার স্বার্থে এসব করছে সরকার।
২ অনলাইন সাংবাদিকতার নিতিমালাঃ সরকার আজ নিজের চোখে অন্ধকার দেখছে। সর্ষের ভিতর ভুত খুজে বেড়াচ্ছে। সরকারের শুরুর দিকে সে অসংখ্য টিভি চ্যানেলের অনুমতি দিয়েছিল।
যার বেশির ভাগই ছিল দলীয় লোকদের জন্য। সরকার ভেবেছিল যে সবাই তার গুনগান করে বেড়াবে। বাস্তব বলে ভিন্ন কথা। মিডিয়া ব্যবসা এম্ন এক জিনিস যে এখানে আপনি যদি দলদারি করে বেড়াতে চান তাহলে আপনার চ্যানেল এর টি আর পি পড়ে যাবে। তাই সরকারে যে সব চামচা টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স নিয়েছিল তারাও আজ সরকারের বিরুদ্ধে বলছে।
এখন মুক্ত তথ্য প্রবাহের যুগ এখানে ব্যবসা করতে হলে আপনাকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও খবর প্রচার করতে হবে, আর চ্যানেল গুলো করছে ও তাই। চ্যানেল ৭১ ছিল সরকারের সবচেয়ে তাবেদার লোকের কিন্তু সেই ৭১ আজ তার বড় সমালোচক। তাই এগুলোকে আইনের ভিতর আনতে সরকার মরিয়া। অনলাইন নিউজপেপার তো একধাপ এগিয়ে, তারা ২৪ ঘণ্টা আপডেট দিয়ে চলেছে। কোথাও কিছু হলে তার বিবরণ অনলাইনে চলে আসছে সবার আগে।
কাগুজে প্রত্রিকা গুলো কথা শোনে কিন্তু অনলাইন তো কারো কথার উপর নিরভর করে না। তাই এদের বাগে আনতে হলে এমন একটা নিয়ম দরকার যে যার মাধ্যমে গলা টিপে ধরা যায়। আর করছে ও তাই। নিয়মে বলা আছে যে বন্ধু দেশকে নিয়ে বাজে কিছু লেখা যাবে না। ধরুন যে সীমান্তে বিএসেফের মানুষ হত্যার কোন খবর প্রচার করা যাবে না।
এটা কি কোন যুক্তি হতে পারে। লাইসেন্স নিতে সাড়ে ১২ লাখ টাকা লাগবে । কেন? কার স্বার্থে এসব করছে সরকার। আর এই সব বস্তাপচা নিয়ম করার ক্ষেত্রে লিড দিচ্ছে বিডিনিউজ ২৪। কারন বিডীনিউজ তাদের দালাল।
তারা চাইনা যে অন্য কোন অনলাইন মিডিয়া আসুক। কেমন করে একটা সংবাদ মাধ্যমের সাইটে রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপন থাকে টা আমার মাথায় আসে না। এখন মুক্ত বিশ্বে এসে এসব নিয়ম দিয়ে মানুষ্কে বঞ্চিত করার কোন অধিকার সরকারের নেই। আমরা এমনিতেই অনেক বঞ্চিত একটা জাতি, আমাদের সরকার আমাদের গনমানুষের জন্য কিছু করে না, তারা নিজেদের মসনদ নিয়ে ব্যস্ত। এরপর যদি আমদের মত প্রকাশের জায়গায় হাত দিয়ে আমাদের গলা চেপে ধরে তাহলে ব্যাপারটা মোটেও ভাল হবে না।
৩ হল্মার্কের ২০ বছরঃ এইতো কিছুদিন ধরে বাংলার মানুষ আছে হলমার্কের অর্থ কেলেংকারি নিয়ে। যে ব্যক্তি জালিয়াতি করে এতগুলো টাকা নিয়ে গেল তার কোন কিছু হল না কেন? এই ব্যক্তিকে তো আগেই জেলে ভরে রাখা উচিত ছিল। হলমার্ক ২০ বছর সময় চেয়েছে ঋণ পরিশোধ করার জন্য। হাস্যকর কথা, যারা জালিয়াতি করে টাকা নিয়ে গেছে তারা আবার কথা দিয়েছে আর আমাদের সরকার বলছে তারা পরিশোধ করে দেবে। আমারা বসে বসে আঙ্গুল চুষতেছি।
বরাবরের মত এবার ও সরকারের যাদের নাম আসছে এসব কেলেংকারির সাথে তারা দুদক থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে আসবে যে তারা সুফি আর আমরা দেখব । কার স্বার্থে হলমার্ককে ২০ বছর দেওয়া হল? জানতে ইচ্ছা হয় না আপনাদের।
এখন সময় জেগে ওঠার, আর যদি আমরা যুব সমাজ জেগে না উঠতে পারি তাহলে আমরা সারা জীবন চোরের জাতি হিসাবে থেকে যাব। মাথা উচু করে গর্ব করে বলার মত কিছুই আমদের থাকবে না। তাই আসুন এর একবার গর্জে উঠি বাংলাদেশকে বদলে দিই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।