রাতের আকাশের নগ্নতা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি কিন্তু পারি না মনের আকাশ দেখতে। ক'দিন ধরেই মনটা এলোমেলো হয়ে আছে। কি করছি, কি ভাবছি ঠিক ঠিকানা নেই। ভেতরে ভেতরে পুরো থমথমে অবস্থা।
লম্বা একটা বাস জার্নি করে এসেছি।
এখন গুলশান দুই এ। আজ কথাকলির সাথে দেখা করার কথা। দেখা করার কথা বললে ভুল হবে, কারণ এখনও ওকে জানানো হয়নি আমি দেখা করতে আসছি।
ভাবছি ওর সামনে জাস্ট দাঁড়িয়ে যাব। দেখেই হয়ত চমকাবে না।
আর সব মানুষের মত পাশ কাটিয়ে যাবার জন্যে পা বাড়াবে। ঠিক সে মুহূর্তে ব্রেন একটা ধাক্কা দেবে। তখন আমার দিকে ২য় বারের মত তাকাবে। বুকটা ধক করে উঠবে। আশ্চর্য, আনন্দ আর অভিভূত এই তিন অনুভুতি একসাথে কাজ করবে।
ঠিক সে মুহূর্তের ওর মুখের অভিব্যক্তি দেখতে হবে।
###
অনেক ক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছি। প্রায় তিন ঘন্টা চব্বিশ মিনিট। সন্ধ্যার অন্ধকার এখনও জেগে বসেনি। একটু পর ওর ডিউটি শেষ হবার কথা।
ওর ফোন।
-এই কি খবর?
: ভাল।
-তুমি কই? অফিসে?
:না। গুলশান দুই এ।
-কি?
:হুম ! গুলশান দুই এ..
(এখানে অবশ্য মিথ্যা বলা যেত।
কিন্তু কেন যেন মিথ্যা বলতে ইচ্ছে করল না। যে অবাক করা মিষ্টি মুখটা দেখতে চেয়েছিলাম, সেটা হয়ত বাস্তবের সাথে নাও মিলতে পারে। আর তাছাড়া ওকে কখনও মিথ্যা বলিনা। )
আমার পেছন থেকে একটা মিষ্টি কন্ঠের আওয়াজ, এই পান্ডা, গুলশান দুই এ কি কর? তোমার না সিলেট ছাড়া বের হবার সময় নেই।
কথাকলি যখন খুব খুশি হয়, তখন আমাকে পান্ডা বলে ডাকে।
ও একবার বলেছিল, ওর পান্ডা খুব ভাল লাগে। তাই বিছানায় একটা বড় পান্ডা পুতুল নিয়ে ঘুমায়।
সে যাই হোক, আমরা কেউই কথা বলছিনা। দুজনে পাশাপাশি হাটছি। গুলশান দুই এ.... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।