আল বিদা
বিকেল ৬ টার দিকে হটাৎ করে গুলশান জমজমাট হয়ে যায়। উদয় টাওয়ারের সামনে গেলে এই টাওয়ারের বিভিন্ন অফিসের লোকজন, একটেল, এসসিবি, আইডিএলসি আরও অনেক অফিসের লোকজনের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে গুলশান। বৃহস্পতিবার এই আনন্দ যেন উপচে পড়ে। বিশেষ করে অফিসের ললনারা যখন কলকল করে কথা বলে আর খিলখিল করে হাসে তখন মনে হয় আকাশে যেন এক ঝাক পায়রা উড়ে গেল। মেধাবী তরুনদের দেখলে একটু হিংসাই লাগে।
আমি আবার একটু এলেবেলে কিনা।
গত সপ্তাহে আমি একটু ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত ছিলাম। বনানীর ১২ নং রোডের ডায়াগনস্টিক সেন্টার 'প্রেসক্রিপশন পয়েন্টে' যাচ্ছিলাম। নতুন এই মেডিকেল সেন্টারের ব্যাবস্থাপনা খুবই উচুমানের। তাছাড়া আমার খুব প্রিয় এক বন্ধু এখানের হেড অফ ফিনান্স।
ডাক্তার আমার জন্ডিস সাসপেক্ট করে কিছু টেস্ট দিয়েছেন। টেস্টের রিপোর্ট আনতে যাচ্ছি।
যাওয়ার পথে উদয় টাওয়ারের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু ঐ মুখরিত গুলশান তো দেখলাম না। যে নারীদের হাইহিলের শব্দে পুরো এলাকা কাপে তাদের কেমন মনমরা লাগল।
তরুনদের মনে হল ক্লান্ত। এক মেয়েকে দেখলাম হাওয়ায় উড়ে উড়ে রাস্তা পার হচ্ছে। যে আমি আগে এই মেয়ের এক্স রে করে ফেলতাম আজ কিছুই করলাম না। সব কেমন থেমে থাকা মনে হচ্ছে।
ডাক্তার রিপোর্ট দেখে বললেন সব ঠিক আছে।
আমি পুরাপুরি সুস্থ। ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হয়ে প্রথমেই গুলশান ২ এ এসে ফুচকা খেলাম। কারন জন্ডিস ভেবে এসব খাবার ভুলে গিয়েছিলাম। বাসায় ফেরার পথে উদয় টাওয়ারের সামনে দেখলাম উচছল উজ্বল তরুন তরুনীদের। তাদের হাসিতে আবারও এলাকা মুখরিত।
যাওয়ার সময় তো তাদের দেখিনি। তাহলে কি আজ অফিস দেরীতে ছুটি হয়েছে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।