মাজহার সরকার মুগ্ধতার ঘোরে কিছুক্ষণ তাকিয়ে দিগন্তে_____________
লাবণ্যের জলাশয়ে মুখ ধুয়ে তোমার ওপরেই রেখেছি চুম্বক ঠোঁট, অভিলাষী গোলাপি জিভ। অমাবস্যার চাঁদ যেমন স্থির চেয়ে দেখে সমুদ্রের টলটলে বুক, তেমনি পান করেছি বোতলভরা স্বচ্ছ সুগন্ধি। প্রদীপ্ত রাংতা, সোনা ও চাঁদি ।
আলোময় দুজন মাখামাখি বিকীর্ণ হয়েছি কিছুক্ষণ...
গায়েগায়ে গলাগলি, দীর্ঘসূত্রের আলিঙ্গন পরস্পরে, আমরা দুজন যেন বসন্তের শস্য। পুরো শহর খুঁজে অসংখ্য আলোর বন্যায় দেহ ছুঁইয়ে রেখেছি।
রাধিকার কপালের টিকি, বাহুর বাঁকে ঝুমকা দোলে, ম্যাডোনার খোঁপা খুলে ভ্রমর ,ঢেউয়ের মতো নেমে গেছে কোমরে। বরফ-ব্যথা গলছে তরল উল্লাসে, আর নাচওয়ালির কেবিনে চূড়ায় উঠে যায় দখিনা বিজলির ডানা। ঝলমলে দীপ্তি।
দুলছে বিহার, সংগীতের বেদি, গগণস্পর্শী চিৎকার ,____রঙিন আলোকচ্ছটায় শিকার হয়ে যাচ্ছে সব যুদ্ধবাজ চন্দ্রচূড়।
আমি ছোবল মেরে নিয়ে গেলাম মনোহর বিশাখা নক্ষত্র এক।
তার দুকূল বয়ে গেছে দুদিকে। তার মাঝে বাতি জ্বালানো বাগানে নাটাই হাতে ওড়াই তারকা-ঘুড়ি। স্ফুলিঙ্গ জ্যোতি আর পোড়াই আতশবাজি।
ক্রমশ বিস্তৃত হই স্তব্ধতায় উত্তল খোলসে। ঘোলা জলভাঙ্গায় সাঁতার দিয়ে গিয়ে উঠি ফুলশয্যা রাতের ডাঙায়।
অস্ফুট হয়ে যায় গুঞ্জন, আলোড়িত এতক্ষণ, প্রদীপের সলতেয় ভাসা ভাসা অপহৃত ভুবন।
শুভ্র বালিশের পাশে পড়ে থাকে রঙিন বালা আর মেঘনাদের খোলা তরবারি।
মাজহার সরকার,সোনেলা রোদের সাক,পার্ল পাবলিকেশন্স,একুশে বইমেলা ২০১২। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।