আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভারতীয় বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র আগ্রাসন প্রতিরোধ আন্দোলন সম্পর্কে ডয়চে ভেলে-র সঙ্গে ৷

যারা শুনতে-পড়তে পারেন নাই, কিন্তু আগ্রহী, তাদের জন্যে শেয়ার দিলাম। ........................... বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে বিদেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আগে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা চাচ্ছে এখাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা৷ ভারতীয় চলচ্চিত্র বাংলাদেশে আবারো প্রদর্শন শুরু হয়েছে গত শুক্রবার থেকে৷ এই নিয়ে চলছে ‘‘ভারতীয় বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র আগ্রাসন প্রতিরোধ আন্দোলন''৷ কোন ধরনের সুষ্ঠু নীতিমালা ছাড়া বাংলাদেশে বিদেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পক্ষে নন কবি, গীতিকার ও গায়ক অরুপ রাহী৷ ডয়চে ভেলেকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘জহির রায়হান, আব্দুল জব্বার খান, আলমগীর কবির, খান আতাউর রহমানের মত অসাধারণ চলচ্চিত্র নির্মাতার হাত ধরে সুস্থ ধারার চলচ্চিত্রের বিকাশের যে সম্ভাবনা বাংলাদেশে সৃষ্টি হয়েছিল, সেটার পথ বন্ধ হয়ে গেছে নানা কারণে৷ আমাদের রাষ্ট্র উদ্যোগ নেয়নি৷ উল্টো রাষ্ট্রের তরফ থেকে এবং এখানকার কিছু ব্যবসায়ীর তরফ থেকে বলা হচ্ছে, বলিউড এবং টালিউডের যেসব চলচ্চিত্র ব্যবসা সফল, সেগুলো এখানে প্রদর্শনের মাধ্যমে নাকি চলচ্চিত্রের বিকাশ ঘটবে৷''৷ তরুণ এই সংগীত শিল্পী বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের পক্ষে৷ তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র বিকাশের ক্ষেত্রে একটি কার্যকর সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ না করে, শুধুমাত্র ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প বিকশিত হবে, এটা একধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারণা মাত্র''৷ প্রেক্ষাগৃহে বিদেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের বিপক্ষে নন অরুপ৷ বরং তাঁর মতে, সাধারণ মানুষ বিদেশি চলচ্চিত্র দেখতে চায়৷ কিন্তু সেগুলো প্রদর্শন করতে হবে সমন্বিত নীতিমালা'র আওতায়৷ এবং সেই নীতিমালার আওতায় সারা দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রগুলো প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে৷ ডয়চে ভেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র বিষয়ক শিক্ষার অভাবের বিষয়টিও উল্লেখ করেন অরুপ রাহী৷ এক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি৷ বিশেষ করে ভারত সরকার চলচ্চিত্র বিষয়ক শিক্ষার বিকাশে যেভাবে এগিয়ে এসেছে, সেরকম সহায়তা বাংলাদেশ সরকারের করা উচিত বলেও মনে করেন অরুপ৷ তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ ফিল্ম ইন্সটিটিউট নেই, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলচ্চিত্র অধ্যয়নের কোন সুযোগ নেই''৷ বাংলা চলচ্চিত্রকে বাণিজ্যিকভাবে বিদেশি চলচ্চিত্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সক্ষম করে তুলতে সরকারের সুনির্দিষ্ট উদ্যোগের দিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন অরুপ রাহী৷ তার আগে, বিদেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের অনুমতি প্রদানের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রকে ‘অসম প্রতিযোগিতায়' ফেলে দেওয়া হলে বলে মনে করেন তিনি৷ তরুণ এই সংগীত তারকার মতে, ‘‘এটি বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য অন্যায় একটি পদক্ষেপ''৷ Click This Link সংস্কৃতি বিনোদন | 26.12.2011 বিদেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শনে সুষ্ঠু নীতিমালার দাবি ইউটিউব লিংক : Click This Link

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.