আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেকড়. গঠনতন্ত্র

একটি ত্রিমাত্রিক পাঠশালা শেকড় একটি সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও চলচ্চিত্র বিষয়ক সংগঠন, সিরাজগঞ্জ। গঠনতন্ত্র ১। নাম ঃ এই সংগঠন ‘শেকড়, একটি সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও চলচ্চিত্র বিষয়ক সংগঠন’ সংক্ষেপে ‘শেকড়’ নামে পরিচিত হবে। ২। প্রতিষ্ঠাকাল ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ৬ জৈষ্ঠ্য ১৪১৭, ২০ মে ২০১০ইং / ৬ অগ্রাহায়ণ ১৪১৭, ২০ নভেম্বর ২০১০ইং ৩।

বৈশিষ্ট্য ঃ এটি অসামপ্রদায়িক প্রগতিকামী জাতীয় আত্নানুসন্ধানী সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও চলচ্চিত্র বিষয়ক সংগঠন। ৪। কার্যালয় ঃ শেকড় এর কার্যালয় সিরাজগঞ্জ শহরে অবস্থিত থাকবে। ৫। প্রতিক ঃ ৬।

পতাকা ঃ ৭। মূলনীতি (উদ্দেশ্য, আদশর্, লক্ষ্যে) ঃ ক. আবহমান সাংস্কৃতিক জীবনের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের আত্না অনুসন্ধানী ও সমকালীন মুক্তচিন্তায় এক গৌরবময় সাংস্কৃতিক জাগরণে এক নতুন যুগ সৃষ্টির সময় নির্মাণ করতে শেকড়, একটি সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও চলচ্চিত্র বিষয়ক সংগঠন। খ. একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার লোকায়ত জীবনের ভেতর থেকে যে চিরায়ত সাংস্কৃতিক চেতনার স্ফুরণ ঘটেছিল, মুক্তিযুদ্ধের সেই অন্তঃসলিলা বিস্মৃত চেতনার পুনরাবিস্কার শেকড় এর আহুত শক্তি চেতনার উৎস। গ. তথাকথিত ঐতিহ্য রক্ষা বা লোক সংস্কৃতির প্রতি আনুকুল্য প্রদর্শন নয়, শেকড় লোকায়ত ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক সত্ত্বাকে মূলধারার সংস্কৃতি হিসেবে ব্যক্ত করবে এবং বিকাশমান বিজ্ঞান-প্রযুক্তির সংস্কৃতির ধারার অনুসৃতি, রসায়ন ও নবায়ন ঘটাবে। ঘ. শেকড় আমাদের জাতীয় চৈতন্য ও সংস্কৃতি প্রবাহের ধারাকে প্রতিনিয়ত সনাক্ত করবে এবং আমাদের সংস্কৃতিক ধারার উত্তরণের গতিপথ নির্ধারণে ভূমিকা নেবে।

ঙ. শেকড় আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে আমাদের ভাবগত ও রাষ্টীয় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করবে এবং ইতিহাস রুপান্তরের প্রকল্পকে মানুষের ধ্রুব সৌন্দর্য চর্চার অংশ বলে মনে করবে। চ. শেকড় অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধেও জাতীয় সংকটে সাংস্কৃতিক শক্তিকে হাতিয়ার করে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে । ছ. এখানে পশ্চাদপদ ধ্যানধারণার প্রতি বিরোধী অবস্থান নিশ্চিত এবং প্রগতিমঞ্চের গতানুগতিক সেন্সরগুলিকেও পাশ কাটানো সম্ভব হবে। জ. সংখ্যালঘু , নারী, মেহনতী মানুষ ও দেশীয় শিল্পপুঁজির স্বপক্ষে অবস্থান পরিস্কার থাকবে। ঝ. ধর্ম বর্ণ সমপ্রদায় জাতিসত্ত্বা নির্বিশেষ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নিবিড় ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তুলবে।

৮। কার্যক্রমঃ ক. বিলুপ্তপ্রায় ও প্রচলিত দেশীয় সংস্কৃতির প্রচলন ও প্রসারে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ও কর্মকান্ডের আয়োজন করবে। খ. সমকালীন মননশীল সংস্কৃতির ধারার বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কর্মকান্ডের আয়োজন করবে। গ. কালপযোগী ও সমসাময়িক বিভিন্ন সৃজনশীল বিষয়, ব্যক্তির জীবন ও সৃষ্টি নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কর্মকান্ডের আয়োজন করবে। ঘ. নিয়মিত স্বরিচত সাহিত্য আড্ডাসহ বিভিন্ন বিষয়ের পাঠচক্র, আলোচনা, সভা, সেমিনার, নিত্য শিল্প-সাহিত্য- বিজ্ঞান-চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতির আড্ডা গড়ে তুলবে।

ঙ. ‘শেকড়’ নামে একটি নিয়মিত সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক পত্রিকা ও ‘শেকড় প্রকাশন’ নামে একটি দায়িত্বশীল প্রকাশনা থাকবে। চ. শেকড় সর্বপরি জাতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিজাত-অনুকূল শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির বহুমাত্রিক চর্চায় উদ্যোগী হবে। ছ. শেকড় এর প্রতিটি সদস্য শেকড় এর চেতনাদর্শকে তাদের সামগ্রিক জীবনে প্রতিফলনে সচেষ্ট থাকবে এবং আমদের জাতীয় সত্ত্বা সম্পৃক্ত যে কোন সাংস্কৃতিক উদ্যোগ ও কর্মকান্ডে আত্মিকভাবে সহযোগিতা করবে। জ. শেকড় এর সকল সদস্য সংগঠনের প্রতি নিবেদিত প্রাণ ও আচরণে সংযত হবে। ঝ. সামাজিক শিল্পচেতনার বিকাশ সমাজ বিকাশের প্রতিচিত্র বলে, শেকড় আত্মসত্ত্বার পথ ধরে নতুন দিনের জন্য নতুন শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি সৃষ্টির পাঠশালা গড়ে তুলবে।

৯.সাংগঠনিক কাঠামোঃ ক. উপদেষ্টা পরিষদঃ সংগঠনের মর্যাদা বিকাশ ও চেতনাদর্শ সমুন্নত রাখতে শেকড় এর চেতনা সম্পৃক্ত প্রগতিকামী মননশীল সামাজিক মর্যাদাবান ব্যক্তিবর্গের সমন্নয়ে নূন্যত ৮ (আট) সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হবে। পদাধিকার বলে মাননীয় জেলা প্রসাশক উপদেষ্টা হিসাবে থাকবেন। খ. কার্যনির্বাহী পরিষদ: সংগঠনের সার্বিক পরিচালনার জন্য ১১-১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদ থাকবে। কার্যনির্বাহী পরিষদ সংগঠনের সর্বোচ্চ পরিষদ হিসেবে বিবেচিত হবে। কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রত্যেক সদস্যকে অবশ্যই সাহিত্য-সাংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও চলচ্চিত্র চর্চার কোন শাখায় বিশেষভাবে আগ্রহী ও সংগঠনের কাযক্রমে নিয়মিত অংশগ্রহণকারী সক্রিয়, গ্রহণযোগ্য হতে হবে।

কার্যনির্বাহী পরিষদ নিম্নরুপঃ সভাপতি ১ জন সহ-সভাপতি ১-২ জন সাধারণ সস্পাদক ১ জন যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ১ জন সাংগঠনিক সম্পাদক ১ জন অর্থ সম্পাদক ১ জন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ১ জন যুগ্ন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ১ জন তথ্য ও গবেষনা দপ্তর সম্পাদক ১ জন কার্যনির্বাহী সদস্য ২-৫জন মোট সর্বোচ্চ ১৫ জন গ. সদস্যঃ সংগঠনের মূল ভিত্তি স্বরুপ সকল কর্মকান্ডে সক্রিয় থাকবে। ১০. দায়িত্ব কর্তব্যঃ ক. উপদেষ্টা পরিষদঃ উপদেষ্টা পরিষদ সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দান করবেন এবং সাংগঠনিক কাঠামোর সক্রিয় অংশ হিসাবে বিবেচিত হবেন। সংগঠনের বিস্তার, চেতনা বিকাশ ও আর্থিক বিষয়াদির পরামর্শ প্রদান করবেন। উপদেষ্টাগণ যে কোন সভায় সংগঠনে উপস্থিত থাকতে পারবেন এবং প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারবেন। সংগঠনের আভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ যে কোন সমস্যা নিরসনে সভা ডেকে নিষ্পত্তি করতে পারবেন।

খ. কার্যনির্বাহী পরিষদঃ সভাপতিঃ সভাপতি সংগঠনের প্রধান হিসেবে গণ্য হবেন। তার সঠিক নির্দেশনা মোতাবেক সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে সংগঠনের সকল পরিচালিত হবে। তিনি গঠনতন্ত্রের প্রতিটি ধারার যথাযথ ব্যখ্যা ও প্রয়োগ নিশ্চিত করবেন। তিনি সভা আহবান করার জন্য সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দিবেন। সাধারণ সম্পাদক সভা আহবান না করলে তিনি স্বয়ং সভা আহবান করবেন।

প্রয়োজনে কার্যনির্বাহী পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন নিয়ে কার্যনির্বাহী পরিষদ ভেঙ্গে দিতে পারেন। সহ সভাপতি: সহ সভাপতি সভাপতির সকল কাজে সহায়তা করবেন। সভাপতির অনুপস্থিতিতে তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। সভাপতি পদত্যাগ করলে অথবা দায়িত্ব অর্পণ করলে তিনি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হবেন। সাধারণ সম্পাদক: সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

তিনি সংগঠনের সকল কার্যক্রমের অনুমোদন, সমন্বয়, সংযোগ ও পরিচালনা করবেন। সভাপতির অনুমতিক্রমে তিনি সংগঠনের সকল সভা আহবান ও পরিচালনা করবেন। বার্ষিক কার্যবিবরণী সভায় কার্যাবলীর রিপোর্ট পেশ করবেন। যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক: যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদকের সকল কাজে সহায়তা করবেন। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন।

সাধারণ সম্পাদক পদত্যাগ করলে অথবা তিনি ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক হবেন। সাংগঠনিক সম্পাদক: সাংগঠনিক সম্পাদক যৌথভাবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পদকের সাথে সকল কর্মকান্ডের তদারকি করবেন। তিনি নিস্ক্রিয় ও নিস্পিৃহ সদস্যদের সক্রিয় করা ও সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যে সাধারণ সম্পাদরেক নিকট পরামর্শ, রিপোর্ট দেবেন এবং অনুমোদনক্রমে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। অর্থ সম্পাদক: অর্থ সম্পদক সংগঠনের যাবতীয় আয়-ব্যয় ও অর্থ সংরক্ষণের হিসাব পরিচালনা করবেন। তিনি তহবিল সংগ্রহের পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন, সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের অনুমোদন সাপেক্ষে তা বাস্তবায়ন করবেন।

বিভিন্ন সম্পাদক মন্ডলীর আয়-ব্যয়ের সমন্বয় করবেন ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট হিসাব পেশ করবেন। তার নিকট জমাকৃত ৫০০ টাকার অধিক হলে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করবেন। অর্থ সংক্রান্ত নথি সংরক্ষণ করবেন। সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক এবং নিজ স্বাক্ষরে অর্থ সম্পাদক টাকা উত্তোলন ও ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করবেন। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক: প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজের পরিকল্পনা ও পরিচালনা করবেন।

সংগঠনের যাবতীয় প্রকাশনার প্রকাশক হবেন। সকল প্রকার চিঠিপত্রাদি গ্রহণ করে সভাপতি, সাধারন সম্পাদকের নিকট প্রেরণ করবেন। আভ্যন্তরীণ চিঠি/নোটিশপত্রাদি আদান প্রদান করবেন। তথ্য, গবেষণা ও দপ্তর সম্পাদক: তথ্য, গবেষণা ও দপ্তর সম্পাদক সংগঠনের যাবতীয় প্রকাশনা, বার্ষিক রিপোর্ট সহ সকল অনুষ্ঠানের স্মৃতি ও তথ্যাদি সংরক্ষণ করবেন। বিভিন্ন সম্পাদক মন্ডলীসহ সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল নির্বাহীগণ তাদের এক্তিয়ারভূক্ত কাজের নথিপত্রের প্রতিলিপি যথাসময়ে তথ্য, গবেষণা ও দপ্তর সম্পাদকের নিকট প্রেরণ করবেন।

তার তত্ত্বাবধানে সংগঠনের সামগ্রিক তথ্যাদির একটি আর্কাইভ গড়ে উঠবে। সংগঠনের উন্নতি ও সমৃদ্ধিকল্পে তিনি গবেষণা ও কর্মকান্ডের উদ্যোগে গ্রহণ ও পরিচালনা করবেন। সংগঠনের যাবতীয় অফিসিয়াল চিঠি/নোটিশপত্রাদি লিপিবদ্ধ করবেন। কার্যনির্বাহী সদস্য: কার্যনির্বাহী সদস্যগণ পরিষদের সকল কাজে সহায়তা করবেন। কোন পদ শূন্য হলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক উক্ত পদে আসীন হবেন।

সংগঠনের কোন নতুন কর্মদ্যোগ অথবা প্রয়োজনীয় সমন্বয়কের দায়িত্ব গ্রহণ ছাড়াও কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক আরোপিত দায়িত্ব সমূহ পালন করবেন। গ. সদস্য: সদস্যবৃন্দ সকল সাংগঠনিক কাজে শরিক হবেন। সমন্বয়কের দায়িত্ব গ্রহণ ছাড়াও তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সমূহ পালন করবেন এবং তিনি তার কাজের জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদের নিকট জবাবদিহি করবেন। সংগঠনের সামগ্রিক বিকাশে সচেষ্ট থাকবেন। নিয়মিত সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবেন।

১১. সদস্যপদ লাভ ও বাতিল: ক. শেকড় এর গঠনতন্ত্রের বিধৃত চেতনা সম্পন্ন ১২ বছর উর্ধ বাংলাদেশের যে কোন ব্যক্তি সদস্যপদ লাভের যোগ্য হবেন। খ. সদস্য প্রার্থীকে ২০ টাকা মূল্যে নির্ধারিত আবেদন পত্রে আবেদন করতে হবে। গ. আবেদন পত্র জমা দেবার পর কম পক্ষে ছয় (৬) মাস পর্যবেক্ষণকালীন প্রাথমিক সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবে। পরে কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে সাধারণ সদস্যপদ (ভোটাধিকারী) দেয়া যাবে। ঘ. প্রাথমিক সদস্যের মাসিক চাঁদার পরিমাণ ৫ টাকা, সাধারণ সদস্যের ১০ টাকা, কার্যনির্বাহী পরিষদের ২০ টাকা, এবং উপদেষ্টা পরিষদের মাসিক অনুদানের পরিমাণ ৫০ টাকা।

ঙ. শেকড় এর উদ্দেশ্য আদর্শ লক্ষ্য কার্যক্রম ও মর্যাদা বিকাশে একনিষ্ঠ নিবেদিত সদস্যকে সাধারণ সদস্যদের মতামতের প্রেক্ষিতে জীবন সদস্যপদ দেয়া যাবে। চ. বিনা অনুমতিতে কোন সদস্য পর পর তিনটি সভায় অনুপস্থিত ও চার (৪) মাসের চাঁদা পরিশোধ না করলে তার সদস্যপদ বাতিলযোগ্য হবে। ছ. প্রতি বছর নির্ধারিত সময়ে সাধারণ সদস্যপদ নবায়ন করতে হবে। নবায়ন ফিস ২০ টাকা। জ. নিস্পৃহতা, নিস্ক্রিয়তা, অনকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি ও নেতৃত্ব অমান্যসহ যে কোন সদস্যের প্রতি ঔদ্ধত্ব ও অসদাচরণ তছরূপসহ সংগঠনের চেতনাদর্শ, গঠনতন্ত্র ও সংগঠন বিরেধী যে কোন কার্যকলাপে লিল্পতা ইত্যাদি কারণে সদস্যপদ বাতিল যোগ্য হবে।

ঝ. নির্দিষ্ট সময়ের কোন সদস্য কৈফিয়তের উপযুক্ত জবাব প্রদান না করলে সদস্যপদ বাতিলযোগ্য হবে। ১২. মেয়াদ ও কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন: ক. কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদ হবে ২ বছর। দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় কার্যনির্বাহী পরিষদ ভেঙে ৫ সদস্যের একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করতে হবে। আহবায়ক কমিটি ৬০ দিনের মধ্যে সভার মাধ্যমে নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন পরিচালনা করবেন। খ. সাধারণ সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে অথবা সাবযেক্ট কমিটির মনোনয়নের মাধ্যমে কার্যানির্বাহী পরিষদ গঠিত হবে।

গ. সম্মেলনে যথাযথ আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সাবজেক্ট কমিটি গঠিত হবে। সাবজেক্ট কমিটি সাধারণ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে কার্যনির্বাহী পরিষদ মনোনয়ন দেবেন। ঘ. কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য স্থানীয় বা শাখার কোন সাহিত্য- সাংস্কৃতিক সংগঠনের পদ গ্রহন করতে পারবেন। ঙ. উপদেষ্টা মন্ডলী ও সাধারণ সদস্যদের মধ্যে থেকে আহবায়কসহ সক্রিয় ও গ্রহনযোগ্য সাধারণ সভায় মনোনীত সদস্যগণ সাবজেক্ট কমিটির সদস্য হতে পারবেন। চ. কার্যনির্বাহী পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য পদত্যাগ করলে সভাপতি কার্যনির্বাহী পরিষদ ভেঙ্গে দেবেন।

ছ. অন্তবর্তীকালে সভাপতি কার্যনির্বাহী পরিষদ ভেঙ্গে দিলে আহবায়ক কমিটি গঠিত হবে এবং আহবায়ক কমিটি যথানিয়মে কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন পরিচালনা করবেন। ১৩. উপদেষ্টা পরিষদ গঠনঃ একই সম্মেলনে সাবজেক্ট কমিটি উপদেষ্টা পরিষদ সংস্কার ও গঠন করবেন। ১৪. বিশেষ দায়িত্ব অর্পণ ও উপ কমিটিঃ সাংস্কৃতিক চর্চার বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত কর্মদ্যোগের প্রয়োজনে উপ কমিটি গঠন ও একজন উপযুক্ত সদস্যকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সমন্বয়কের দায়িত্ব অর্পণ করা যাবে। যে কোন সময় সভা ডেকে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সামগ্রিক সদস্যদের মধ্য থেকে সমন্বয়কের দায়িত্ব অর্পণ ও পরিবর্তন করা যাবে। প্রয়োজনে কো-আপ পদ্ধতিতে সমন্বয়কের দায়িত্ব যাবে।

১৫. সভা: ক. দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভাঃ কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণের ৩০দিন পূর্বে দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভার জন্য ৫-১০ দিন পূর্বে নোটিশ প্রদান করতে হবে। খ. বার্ষিক কার্যনির্বাহী সভা: বছরের শেষে বার্ষিক কার্যবিবরণী সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভার ৭ দিন পূর্বে নোটিশ প্রদান করতে হবে। সভায় বছরের বার্ষিক কার্যক্রমের রিপোর্ট, সার্বিক আয়-ব্যায়ের হিসাব নিরীক্ষণ ও প্রতিবেদন পেশ করা হবে।

গ. জরুরী সভা: কার্য পরিচালনা ও সাংগঠনিক বিশেষ পরিস্থিতি ও প্রয়োজনে কমপক্ষে ২৪ ঘন্টার নোটিশে কার্যনির্বাহী পরিষদ ও ৩ দিনের নোটিশে সাধারন সভা আহবান করা যাবে। এজেন্ডা : সকল সভায় এজেন্ডা থাকতে হবে। নোটিশ : সদস্যদের অবগতির জন্য সংগঠনের সকল কার্যক্রমের চিঠি/ নোটিশপত্রাদি নির্দিষ্ট বোর্ড থেকে সংগ্রহ করতে হবে। কোরাম : সকল সভায় এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম পূরন হবে। ১৬. তহবিল সংগ্রহ : ক. সদস্যদের ভর্তি ফি, মাসিক চাঁদা ও উপদেষ্টা পরিষদের মাসিক অনুদান।

খ. পত্রিকা, প্রকাশনা, বিজ্ঞাপন ও বিবিধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে আয়। গ. রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিবিশেষের কাছ থেকে সংগঠনের চেতনা পরিপন্থি নয় এরকম দান, অনুদান, সহমর্মিতা সাপেক্ষে চাঁদা ও বিভিন্ন প্রকার সাহায্য গ্রহণ। ঘ. যেকোন আর্থিক সাহায্য গ্রহণ এবং সংগঠনের পত্রিকা ও প্রকাশনা বিক্রয় বাধ্যতামূলক ভাবে নির্ধারিত রশিদের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হবে। ১৭. হিসাব পরিচালনা : ক. আর্থিক লেনদেন সমূহ দেশের কোন বাণিজ্যিক ব্যাংকে সংগঠনের নামে রক্ষিত হিসাবের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। খ. ব্যাংক হিসাব সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদকের স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে।

সভাপতি অথবা সাধারন সম্পাদকের যে কোন একজন এবং অর্থ সম্পাদক এই দুইজনের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা যাবে। গ. কোন কার্যানুষ্ঠানের আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি কার্যানুষ্ঠান সমাপ্তির ১ সপ্তাহের মধ্যে অর্থ সম্পাদকের নিকট হিসাব পেশ করবেন। ১৮. নিরীক্ষা (অডিট): ক. বার্ষিক কার্যবিবরণী সভায় বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাব নিরীক্ষণ ও প্রতিবেদন পেশ করা হবে। খ. যে কোন কার্যানুষ্ঠানের হিসাব পরবর্তী সভায় নিরীক্ষা করা হবে। গ. জরুরী অবস্থায় উপদেষ্টা পরিষদ নিরীক্ষা কার্য পরিচালনা করবেন।

ঘ. সাধারণ সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে অথবা সাবজেক্ট কমিটির মনোয়নয়নের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠিত হবে। ১৯. আইন: ক. কার্যনির্বাহী পরিষদের গঠনতন্ত্র অনুসৃত সংখ্যাগরিষ্ট সিদ্ধান্তই সংগঠনের আইন বলে বিবেচিত হবে। খ. গঠনতন্ত্রে বর্ণিত হয়নি এমন কোন বিষয়ে সমস্যার উদ্ভব ঘটলে কিংবা কোন প্রশ্ন দেখা দিলে কার্যনির্বাহী পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সিদ্ধান্ত সে বিষয়ে চূড়ান্ত বলে গৃহীত হবে। গ. শেকড় দেশের সংগঠন বিষয়ক প্রচলিত সাধারণ নিয়ম-রীতি ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আইনকানুন সমূহের অন্তর্ভূক্ত থাকছে। ২০. গঠনতন্ত্রের ব্যাখ্যা ও সংশোধন: ক. সম্মেলনে নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনতন্ত্রের ব্যাখ্যা প্রদান করবে।

খ. অন্তর্বর্তীকালে এজেন্ডাভূক্ত সাধারণ সভায় কার্যনির্বাহী পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদ যৌথভাবে গঠনতন্ত্রের ব্যাখ্যা দান করতে পারবেন। গ. গঠনতন্ত্রের মূলনীতি (উদ্দেশ্য, আদশর্, লক্ষ্য) ও কার্যক্রমের মৌলিকতা ক্ষুন্ন না করে গঠনতন্ত্র পরিবর্তন সংশোধন ও পরিবর্ধন কেবল মাত্র বার্ষিক সাধারণ সভায় সংগঠনের দুই-তৃতীয়াংশ সাধারণ সদস্যের অনুমোদন সাপেক্ষে করা যাবে। গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির আহবায়ক কর্তৃক ২০.১২.২০১০ তারিখে শেকড় একটি সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও চলচ্চিত্র বিষয়ক সংগঠন এর প্রথম মাসিক সাধারণ সভায় গঠনতন্ত্রটি পঠিত হয় এবং সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। (আতিক নিষিক্ত) আহবায়ক ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।