চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চোখে দৃষ্টি নেই মেয়েটির। তাই পৃথিবীর নির্মমতা দেখতে পান না। কিন্তু অনুভব করেন পৃথিবীর মানুষের নিষ্ঠুরতা। নির্মমতার শিকার ১৭ বছরের মেয়েটি এখন দৃষ্টিহীন চোখেই আনমনে একদিকে চেয়ে থাকেন। দুশ্চিন্তার ছাপ অবয়বে স্পষ্ট।
এই দুশ্চিন্তার কারণ হচ্ছে তার গর্ভের সন্তান। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির ছেলের অবৈধ সম্পর্কের ফসল এই সন্তান। ক্ষমতার দাপটে এখন দিতে চান না স্বীকৃতি। এ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তরুণীটি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার একবরপুর-ক্যাপড়াটোলা গ্রামের ঘটনা এটি।
এ ঘটনায় ওই মেয়ের বাবা বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, জন্মের পর থেকেই তার মেয়েটি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তবু গ্রামের আহসান হাবিব চাঁদ মেম্বারের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সুযোগে চাঁদ মেম্বারের ছেলে মো. বশির ওই মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ধর্ষণ করে। পরে একই প্রলোভনে আরো একবার ধর্ষণের শিকার হন মেয়েটি।
এতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
এজাহারে বাদী আরো উল্লেখ করেন, বিষয়টি আহসান হাবিব চাঁদ মেম্বারকে জানালে তিনি উল্টো তাদের ভয়ভীতি দেখান এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। ২৭ এপ্রিল দায়ের করা হয় মামলাটি। একইদিন ধর্ষণের শিকার মেয়েটি জবানবন্দি দিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুদ্দীনের কাছে।
সেখানে ভিকটিম মো. বশিরকে দায়ী করেছেন।
সরেজমিন ক্যাপড়াটোলা গ্রামে গেলে মামলার বাদী অভিযোগ করেন, এখনো চাঁদ মেম্বার তাকে ভয়ভীতি দেখানো অব্যাহত রেখেছেন। পাশাপাশি নিজের ছেলের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। তবে আহসান হাবিব চাঁদ তার ছেলেকে এলাকার একজন 'ভালো ছেলে' বলেই দাবি করলেন। ছেলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, 'সে আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পারবে না।
তাকে আমি আত্মগোপনে থাকতে বলেছি
সূত্র: যায়যায়দিন. ৪ মে/২০১১
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।