আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তালেবান এবং আল কায়েদা - পার্থক্য কি?

Speak no evil, hear no evil, see no evil.

আমরা সবাই নিশ্চই তালেবান এবং আল কায়েদা - এই দুটো নাম এর সাথে কম বেশী পরিচিত। কিন্তু মাঝে মাঝেই আমরা এ দুটোকে এক মনে করে মিলিয়ে ফেলি। প্রকৃত পক্ষে এ দুটো ইসলামের নামে যুদ্ধ করলেও এরা সম্পুর্ন আলাদা। চলুন দেখি এদের পার্থক্য টা কি। ১।

আবির্ভাব এবং নেতৃত্ব - তালেবান সৃস্টি হয়েছে মোল্লা ওমরের মাধ্যমে ১৯৯৬ এর দিকে এবং ওসামা বিন লাদেন তৈরী করেছেন আল কায়েদা ১৯৮৮ এর মাঝামাঝি। ২। সংগঠনের সদস্য - আল কায়েদা সাধারনত সুন্নী মুসলিমদের সংগঠন যারা ওয়াহাবী মতাদর্শে বিশ্বাসী। এখন অবশ্য অন্যান্য মতাদর্শের লোকেরাও এতে আছে। তালেবানরা সাধারনত আফগান এবং বিশেষত: পাস্তুন গোত্রের মানুষ।

আল কায়েদার সদস্যরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অধিবাসি ছড়িয়ে আছে কিনতু তালেবানরা শুধু আফগানি অধিবাসি। ৩। মতাদর্শ - আল কায়েদার উদ্দেশ্য পৃথিবীর মুসলিম দেশ গুলো থেকে বিদেশী সৈন্য হটানো এবং মুসলিম দেশ গুলোতে ইসলামি নিয়ম জারী করা। তালেবানদের উদ্দেশ্য আফগানিস্তানে পাস্তুন এবং দেওবান্দী চেতনার মিশ্রনে এক বিশেষ ধরনের ইসলামি নিয়ম জারী করা। ৪।

নামের অর্থ - আল কায়েদা মানে মূল (Base) বা আর তালেবান বা তালিব মানে ছাত্র (Student)।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.