আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফিতা কাইটা ফেলাইছি মামা..... (আমি আর এখন ভার্জিন নাই) !!!!!!

ব-দ্বীপ মানে বদ্‌ দের দ্বীপ না কিন্তু। দয়া করে কেউ ভুল বুঝবেন না। যদিও বাংলাদেশের অবস্থা দেখে ভুল বোঝা স্বাভাবিক।

“ফিতা কাইটা ফেলাইছি মামা। মানে? বুঝস নাই? আমি আর এখন ভার্জিন নাই।

কেমনে?” এমনি কথা হচ্ছিল আমার বন্ধু মামুনের সাথে (ছদ্মনাম)। পাচ-ছয় মাস ধরে দেখা নাই। খুব অবাক হলাম। জিজ্ঞেস করলাম বিয়ের কি অবস্থা। “কস কি।

তুই জানস না আমার এফেয়ার ভাইঙ্গা গেসে। কবে? এই তো তিন চার মাস। এইডা কি সেকেন্ড? না। থার্ড। ” এবার বুঝলাম আসল কাহিনী।

অনার্স ফাইনাল ইয়ারে এসে প্রথম প্রেমের দেখা পাওয়া আমার এই বন্ধুর তার প্রথম প্রেমিকা সম্বন্ধে কখনোই এমন মন্তব্য করার কথা না। একটা ভাল ও মনের মত মেয়ে পাওয়ার দীর্ঘ অপেক্ষার পর এক বন্ধুর সহায়তায় সে তার পরম আকাঙ্ক্ষার প্রেমিকার সন্ধান পায়। পরস্পর দীর্ঘ ছয় সাত মাসের মোবাইল আলাপের পর তাদের দেখা ও প্রেমের শুরু। সেই প্রেম বহু ঘটনার উথান পতন দিয়ে বর্তমানে ব্রেকআপ অবস্থায়। “কিন্তু সেকেন্ডটা কে? এইতো আমাদের শহরেই বাড়ি।

কয়দিন প্রেম করলি? ছারলি কেন? দুই মাস প্রেম করার পর মেয়ের বিয়ে ঠিক হল। মেয়ে আইসাই জানাইল। আর বলল তোমার যেহেতু এখনো চাকরি হয় নাই আর সাত বৎসর হইল পরা শেষ করতে পার নাই আমার আর কি করার আছ……। আমিও (মামুন)মাইনা নিলাম। কি করমু আমি অপারগ।

আর এতে আমি খুব একটা কস্টও পাই নাই। শুধু একটা আফসোস। ওর গায়ে শুধু হাত দিছি। আসলটা করতে পারিনাই। ও তাই নাকি? হ।

আর তাই তৃতীয়টার লগে এক সপ্তাহের মধ্যেই শুইয়া পরছি। দেরি করি নাই। কয় দিন টিকবে? যে কয়দিন ভাল লাগে। ” অনুভুতিটা খুব বাজে হল। মনটা একদম তেতো হয়ে গেল।

হচ্ছে কি এসব। যাকে দেখলে বুকের মধ্যে অনুভব করতাম হৃদয়ের কম্পন। তাকে একটু দূর থেকে দেখতে পারলে মনে হত হাতে পেয়ে গেছি চাদ-সূর্য। যার দৃস্টির ছোয়া একবার পেলে মনে হত আজ আমি সবচেয়ে সুখি মানুষ সেই তাকে যখন নিজের করে পেলাম তখন থেকে ধরে আছি তার হাত। এই এত বছর কখনোই মনে হয়নি আমার এ অনুভূতির সমান্তরালে আছে আরো অনেকে অনুভূতি।

কিভাবে তাকে সবচেয়ে খুশি করতে পারবো কিভাবে তাকে রক্ষা করতে পারবো প্রৃথিবীর হায়েনাদের হাত থেকে সেই চেস্টাই ছিল সবসময়। কখনো তার কাছ থেকে অবহেলা পেলে আমার ব্যাথাতুর চাহনিই ছিল তার প্রতি আমার চরম প্রতিশোধ। অথচ কখনোকি চিন্তা করেছি উপভোগ করতে হবে তার শরিরের সৌন্দর্য। নোংরার মত ধরে রাখতে হবে তা ক্যামেরায়। আর তার অবহেলা পেলে বা মনযোগ হারিয়ে গেলে তা ছরিয়ে দিতে হবে সবার কাছে।

কখনোকি ভেবেছি আমার ব্যাথাতুর চোখ কখনোই তার মনে কোন দাগ কাটবেনা। বরং হয়ে উঠবে তার জন্য হাস্যকর বিষয়। এতদিনের সাধনার পর একদিন হয়ে উঠব তার “ভাল বন্ধু”। কখনো ভাবিনি। ভাবতে হবেও না।

কিন্তু যে মেয়ে দুই মাস কি একমাসের সম্পর্কে নব্য প্রেমিককে শরীর দিয়ে দেয় আর বিয়ের সময়ে কি করার আছে চিন্তা করে বিয়ের পিড়ীতে বসে, প্রশ্ন তার কাছে, কি জবাব দিবে নতুন সঙ্গীর কাছে। তার স্পর্শ কি তোমাকে নিয়ে যাবে চেতনার গহীন অতলে? ভালবাসার গভীর আবেগ তুমি কিভাবে অনুভব করবে? কিংবা প্রশ্নটা আমার বন্ধুর কাছে। সেকি পারবে তার ভবিষ্যত সঙ্গীনিকে কাছে পেয়ে অনুভব করতে চরম আরাধ্য এক সম্পদকে নাকি অনুভব করবে একদলা মাংসপিন্ড হিসেবে। জানিনা তাদের অনুভুতি কি হবে। শুধু এটা বুঝতে পারছি আমরা সবাই নোংরা হয়ে যাচ্ছি।

নোংরামিকে প্রশংসা করছি, নোংরামিকেই দিচ্ছি সকল কিছুর উপরে অবস্থান। আর যখন কেউ এটাকে নোংরামি বলে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাচ্ছে তখন এটাকে আধুনিকতার নানা নাম দিয়ে সাজিয়ে করছি যুক্তিযুক্ত আর প্রদর্শনকারিকে আক্ষায়িত করছি বিভিন্ন অপমানকর নামে। সত্যিই আমরা এখন নোংরামির অনেক ফিতা কাটছি। (এই পোস্টটির বিষয়বস্তু বা শিরোনাম কারো ভাল নাও লাগতে পারে তবে কেউ মাইনাস দিলে চুপিচুপি না দিয়ে যথাযথ কারনটি দয়া করে ব্যাখ্যা করে যাবেন)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.