শেষ বলে কিছু নেই
রাজপথে পড়ে থাকা উজ্জ্বল কলার খোসায়
অনামিকা সেন
পা পিছলে পড়ে গেলেন
তার কস্তাপেড়ে শাড়ির মৃদু লাই পেয়ে
ত্বকের লাবন্য উলুক ঝুলুক দিলে
দৃশ্যগুলো স্রেফ অন্ধ হয়ে যায়!
সেই দিব্যালোকে সেনকন্যার লজ্জা ঢাকতে
সেনা ছাউনি থেকে ঘড় ঘড় করে নেমে আসে ট্যাঙ্ক
গোটা শহর চোখ বন্ধ করে থাকে;
কেননা জলাপাই বনে হুশিয়ারি দেয়
ট্রিগারে চাপা অব্যর্থ আঙ্গুল- ‘সাবধান!’
আর দৃশ্যসমূহ যেহেতু সকলই অন্ধ
অতএব অনামিকা সেন নির্ভাবনায় ঘুরে আসেন
পরাবাস্তব উদ্যান...
সেখানে তিনি এডামের সাথে অপেল-টাপেলও খান...
এদিকে কলার খোসা সাফ করতে
রাস্তায় নেমে আসে জলসেনারা;
অন্ধ আক্রোশে খুলে দিলে দমকলের চাবি-
জল জল জল...
জলে ধুয়ে যায় লাজ-লজ্জা, ডাস্টবিনের মৃত কাক
রক্তমাখা ন্যাপকিন
স্টেডিয়াম আর বস্তা-পচা সব কবিতার খাতা
আর ঢাকা মিশে গেলে বুড়িগঙ্গার আদিগন্ত বিস্তারে
জলের শব্দে কে যেন বলে ওঠে:
‘দেখো দেখো অনামিকা সেন
কেমন ফুঁটে আছেন নীলপদ্ম!”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।