আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চেয়ার

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
মানবীয় অভিজ্ঞতায় এই চেয়ারটির অস্তিত্ব থাকলেও মহাযানপন্থি বৌদ্ধ দার্শনিকদের ধারনায় এই চেয়ারটির অস্তিত্ব নেই! কেননা, চেয়ারটির inherent existence বা পরম্পরাগত অস্তিত্ব নেই! Emptiness বৌদ্ধ দর্শনের একটি প্রধান ধারনা। শূন্যতার ধারনাই মহাযান বৌদ্ধধর্মের অনটোলজি বা সত্তাবিদ্যা। বুদ্ধ বলেছেন, form is emptiness; emptiness is form. কী অসাধারণ উপলব্দি! এটিই পরমমন্ত্র।

প্রজ্ঞাপারমিতাসূত্রে আমরা এই পরমমন্ত্রটি পাই। যা হোক। বৌদ্ধধর্মে ‘শূন্যতার’ ধারনা চূড়ান্ত নাস্তিবাদ বা নিহিলিজম নয়। আক্ষেপ এই-উনিশ শতকের ইউরোপীয় পন্ডিতগন বৌদ্ধ দর্শন সম্বন্ধে এই আত্মঘাতী ধারণাই চারিয়ে দিয়েছেন-প্রাচ্যের বিরুদ্ধে পলিটিক্স করেছেন আর কী! যা হোক। পরে তাদের জ্ঞান বাড়লে তারা বুঝতে পারলেন যে, While nihilism concludes that reality is unknowable, that nothing exists, that nothing meaningful can be communicated about the world, the Buddhist notion of emptiness arrives at just the opposite, namely that ultimate reality is knowable, that there is a clear-cut ontological basis for phenomena, and that we can communicate and derive useful knowledge from it about the world. Emptiness (sunyata) must not be confused with nothingness. Emptiness is not non-existence and it is not non-reality. বুদ্ধের জীবনের সার্থকতা এখানেই যে তাঁর বার্তা সভ্য জগতে প্রায় অবিকৃতভাবেই পৌঁছেছে।

বুদ্ধ আসলে তাঁর জীবনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বর্ননাই দিয়েছেন- অযথা সৃষ্টিতত্ত্ব ও ধর্মতত্ত্ব নিয়ে মাথা ঘামাননি । এইসব বিষয়ে তাঁকে কখনও প্রশ্ন করা হলে তিনি নিরুত্তর থাকতেন। তাঁর উৎসাহ ছিল প্রধানত মনোবিজ্ঞান, নৈতিকা ও উচ্চমার্গীয় নীতি ও আদর্শ নিয়ে। এক. জগৎ সর্ম্পকে কোনও ধরনের ভাবনা কি আশা বা ভয় নয়-বরং প্রতি মুহূর্তে জগৎকে আমরা কী ভাবে দেখতে পারি। দুই. হৃদয়মনের তৃষ্ণায় বা বিতৃষ্ণায় নয়- বরং আমরা কী ভাবে আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্মকে বাস্তবসম্মত করে তুলতে পারি।

তিন. আমরা কীভাবে জ্ঞানদীপ্ত, দয়ালু ও বাস্তবসম্মত ভাবে বাঁচতে পারি। চার. জাগ্রত চেতনার অভিজ্ঞতা কি? এই ছিল বুদ্ধের মূল ভাবনা। এই চারটি পয়েন্ট আমি নিয়েছি স্টিভ হাগেন রচিত ‘বুড্ডিইজম ইজ নট হোয়াট ইউ থিঙ্ক’ বইটি থেকে। এখন বৌদ্ধধর্মের প্রেক্ষপট হিসেবে ড: বিনয়েন্দ্রনাথ চৌধুরীর ‘বৌদ্ধ সাহিত্য’ বইটি থেকে পাঠ করা যাক। “...বুদ্ধের পরিনির্বাণের (অর্থাৎ মৃত্যুর) অনতিকাল পরেই তদীয় শিষ্যগন বুদ্ধবাণী সংগ্রহ করিয়া সংরক্ষণের জন্য সচেষ্ট হন।

পন্ডিতেরা মনে করেন, গৌতম বুদ্ধ আনুমানিক ৪৮৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে পরিনির্বাণ লাভ করিয়াছেন। বৌদ্ধ ঐতিহ্যমতে তিনি ৮০ বৎসর জীবিত ছিলেন। এই হিসাবে তাঁহার জন্ম হয় খ্রিস্টপূর্ব ৫৬৩ অব্দে। উনত্রিশ বৎসর বয়েসে সমস্ত রাজৈশ্বর্য ও ভোগ বিলাস ত্যাগ করিয়া সিদ্ধার্থ গৌতম সন্ন্যাসজীবন গ্রহন করেন এবং উরুবিল্বে (বুদ্ধ গয়া) বোধিতরু মূলে ছয় বৎসর তপস্যান্তে পরম সত্যজ্ঞান উপলব্দি করিয়া ও মানুষের দুঃখমুক্তির উপায় উদ্ভাবন করিয়া জগতে বুদ্ধরুপে খ্যাত হইলেন। তারপর দীর্ঘ ৪৫ বৎসর উত্তর ভারতের বিভিন্ন স্থানে পরিভ্রমন করিয়া ধর্ম প্রচার করিলেন ।

(পৃষ্ঠা,১)” এশিয়ায় বৌদ্ধধর্মটি বিস্তারের মানচিত্র ২ সাধারন মানুষের ধারনার বাইরে-এরা কী ধরনের দার্শনিক বিষয় নিয়ে মাথা ঘামায়। এদের গুরুই আজ থেকে আজ থেকে ২৫০০ বছর আগে বলেছিলেন -form is emptiness; emptiness is form. তখন বৌদ্ধধর্মের ‘শূন্যতার’ ধারণা প্রসঙ্গে বলছিলাম। তা হলে শূন্যতা কি? আমরা এই চেয়ারটির দিকে তাকাই। চেয়ারটি কী ভাবে শূন্য ? যেহেতু কেউ বসে নেই। এটি শূন্যতার সাধারন মানে।

তারপরও তো চেয়ারটি শূন্য নয়। প্রথমত, এটি বস্তু, এর আকার আছে, রং আছে এবং এটি স্থান জুড়ে আছে। তা সত্ত্বেও মহাযানপন্থি বৌদ্ধ দার্শনিকগন বলবেন, চেয়ারটি শূন্য। কেন? কারণ এটির inherent existence বা পরম্পরাগত অস্তিত্ব নেই। inherent existence বা পরম্পরাগত অস্তিত্ব কি জিনিস? বয়ান করি।

চেয়ারটি যে আছে - তাতে কোনই সন্দেহ নাই। কিন্তু এটির অস্তিত্ব অন্যসব বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। ঘটনা এইখানেই। There is nothing in a cup that is inherent to that specific cup or to cups in general. Properties such as being hollow, spherical, cylindrical, or leak-proof are not intrinsic to cups. Other objects which are not cups have similar properties, as for example vases and glasses. The cup's properties and components are neither cups themselves nor do they imply cupness on their own. The material is not the cup. The shape is not the cup. The function is not the cup. Only all these aspects together make up the cup. Hence, we can say that for an object to be a cup we require a collection of specific conditions to exist. It depends on the combination of function, use, shape, base material, and the cup's other aspects. Only if all these conditions exist simultaneously does the mind impute cupness to the object. If one condition ceases to exist, for instance, if the cup's shape is altered by breaking it, the cup forfeits some or all of its cupness, because the object's function, its shape, as well as the imputation of cupness through perception is disrupted. The cup's existence thus depends on external circumstances. Its physical essence remains elusive... আসলে এইসব কারণেই বৌদ্ধধর্মটি-বিশেষ করে মহাযানপন্থা-গত আড়াই হাজার বছর ধরে বিচ্ছিন্ন দার্শনিক গোষ্ঠীরই মতবাদ হয়েই রয়েছে। সাধারণ বৌদ্ধরা যে কারণে বুদ্ধদেবের পূজোআচ্চাই করে থাকে- এতসব দার্শনিক মাথা ঘামায় কে? তাদের কাছে চেয়ার- চেয়ারই ...।

এদের কাছে চেয়ার-চেয়ারই একদলের কাছে দার্শনিক তর্কবিতর্ক ভারি পছন্দে। কাজেই, এই দলটিও রয়ে যাবে ... স্টিভ হাগেন রচিত ‘বুড্ডিইজম ইজ নট হোয়াট ইউ থিঙ্ক’ বইটির ডাউনলোড লিঙ্ক http://www.mediafire.com/?5kzdmtjuztt
 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।