ছাত্র সাংবাদিক
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দেশের আপামার জনসাধারণের ব্যাপক সমর্থন নিয়ে ক্ষমতা গ্রহন করেন। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে হল দখল ও আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র্র করে দেশের সবচেয়ে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের যে সহিংসু ঘটনা ঘটছে তা দেশের জনগণ নির্বাক হয়ে তাকিয়ে দেখা ছাড়া উপায় খুজে পাচ্ছে না। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্র্রুপের সংঘর্ষে গোলাগুলি,ধাওয়া-পাল্টা ধাওযার ঘটনা,হত্যা-খুনের পাশাপাশি ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের খেলায় মেতে উঠেছে। এতে দেশের প্রতিটি ক্যাম্পাস অস্তিতিশীল হয়ে পড়েছে। কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে।
সরকারের বয়স মাত্র্র দুইমাস হতে না হতেই ছাত্রলীগের তান্ডবে ক্যাম্পাস রনক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে কিন্ত সরকার ছাত্রলীগকে সামলাতে কি পারছে না ! নাকি পরোক্ষভাবে সরকারের কোন মহল এর পেছনে ইন্ধন যোগাচ্ছে?এটি জনসাধারণের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে । এভাবে চলতে থাকলে সরকার বেমিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। সরকারকে অবশ্যই আরো বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সাম্প্রতিককালে ঢাকা বিম্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যদি এভাবে চলতে থাকে আর সরকার কোন কার্যকরী পদক্ষপ না নেয় তাহলে দেশের বারটা বেজে যাবে বলে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।