আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্লগে থাকা না থাকা

আমরা যদি না জাগি মা, কেমনে সকাল হবে...

(সামান্য কিছু পাঠকের কাছে এটা একটা ব্যক্তিগত কৈফিয়ত। যেখানে দেওয়াটা রীতির মধ্যে পড়ে, সেখানে যেহেতু আমি লিখছি না, তাই কৈফিয়তটা এখানেই দিলাম। দুঃখিত!) কেন ছাড়লাম আমারব্লগ- এমন একটা প্রশ্ন করতে দেখলাম কাউকে কাউকে। স্বেচ্ছায় আমি আমারব্লগ ত্যাগ করেছি। কেউ কেউ ভেবে নিয়েছেন, সমালোচনার ভয়ে বোধকরি এই সিদ্ধান্ত আমার।

সমালোচনাকে আমি ভয় পাই না। পাওয়ার কোনো কারণও নেই। যা হোক, কেন চলে আসলাম- এই প্রশ্ন অনেকের। এর মধ্যেই আমারব্লগে দেখলাম, নতুন নতুন নিক নিয়ে অতিচেনা কয়েকজন লোক তুচ্ছতাচ্ছিল্য-গালিগালাজের উৎসব বসিয়েছে। ওসব কোনো ব্যাপার না।

আসল কথা হল, কেউ কি তার একটা লেখা প্রথম আলোতে না ছেপে সংবাদ বা সংগ্রামে ছাপতে চাইবে? যেখানে পাঠক বেশি, লেখকও সেখানেই যাবে, সেখানেই ছাপতে চাইবে তার লেখা। নানা কারণে আগে থেকেই আমারব্লগে আমি থাকতে চাইছিলাম না। সেজন্য আমার একটা উপলক্ষ দরকার ছিল, একটা ছুঁতো দরকার ছিল। সেটা আমি পাওয়া মাত্রই চলে এসেছি। দু-তিন জায়গায় ব্লগিং আসলেই কঠিন, একই লেখা দু জায়গায় দেওয়াটাও বিরক্তিকর।

তবে হ্যাঁ, আমারব্লগ কর্তৃপক্ষের হাস্যকর আওয়ামী মানসিকতার বাইরে অন্য আরেকটি ব্যাপারও আছে। যে ইস্যুতে অমি রহমান পিয়ালও ক্ষেপেছেন দেখলাম। আসলে শুরুতে একরকম ধারণা দেওয়া হয়েছিল যে, রাজাকারদের আস্তে আস্তে বিদায় দেওয়া হবে। পরে দেখি যে, ঘটনা সেটা না। সামহোয়্যারইনের রাজাকারবিরোধী সৈনিকেরা আমারব্লগে গিয়ে রাজাকারের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছে।

ব্লগ জমানোর জন্য রাজাকারের পায়ে ধরতে দ্বিধা করছে না। এও কি সম্ভব? ফাহমিদুল হকের একটি পোস্টে এই মানসিকতা সম্পর্কে সামান্য এসেছিল। সামহোয়্যারে যে ফজলে এলাহির ওপর অনেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ে, আমারব্লগে তার জন্য রীতিমতো আলাদা একটি বিভাগ খোলা হয়েছে। স্বয়ং ওয়েবমাস্টার সুশান্ত পর্যন্ত বিগলিত হয়ে তাকে জড়িয়ে ধরছেন। আহা, কী শোভা কী মায়া গো....ওমা, তোমার প্রাণে...


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.