আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অগভীর ভাবনা ৬

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

এক প্যাকেট ভুষি দিয়েন তো ভাই। আমি আব্দারটা শুনে চমকে তাকাই, চমকে উঠবার মতোই ঘটনা, আমি যে মুদির দোকান থেকে দুধ কিনছি সেখানে কেউ এসে ভুষি চাইছে এটাই আশ্চর্য হয়ে যাওয়ার ঘটনা। তার উপরে সুবেশী দুই নারী এসে ভুষি চাইলে চোখ কপালে উঠে যাওয়ার কথা। তবে কিছুক্ষণ পর বুঝলাম মেয়েরা ভুল করতে পারে না। ইদানিং এখানে যেমনটা দেখছি তাতে দেশে ভুষিখোরের মাশরুম গ্রোথ হয়েছে, মহিলার বাসায় এমন কয়েকজন থাকাটাও বিচিত্র নয়।

দোকানদার প্যাকেট দিলো। মহিলাও খুশী, নিয়ে চলে যাচ্ছে। ইদানিং মেয়েরা স্বাস্থ্য সচেতন, নিয়মিত ভুষি খায়। কোষ্ঠ পরিস্কার থাকলে স্কীন ভালো থাকে, চেহারায় জেল্লা বাড়ে, ফাইবার অভাবে ভুগছে দেশ, মোটামুটি সবারই কোষ্টকাঠিন্য। এমন অবস্থা এখন দেশে, লোকজন ফাইবারের সহজ উৎস হিসেবে ফডাইবার অপটিক ক্যাবলের লাইনও মাটির নীচ থেকে তুলে খেয়ে ফেলছে।

বিটিসিএল এই নিয়ে ভীষণ চিন্তিত। তারা বিজ্ঞাপন ছাড়তে পারে অচিরেই, ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল খেয়ে কোষ্ঠ কাঠিন্য উপকার হয় না। সেখানে নেচে কুঁদে মডেলরা বলবে বাঁচতে হলে জানতে হবে। ভীষণ রকম বিভক্ত একটা দেশে বেঁচে আছি। রাস্তায় দুই মহিলা পপকর্ণ বিক্রেতা মারামারি করছে, মারামারি বলা ঠিক হবে না, চুলোচুলি, একজন অন্যজনের চুল ধরে আছে, টানছে, এবং এই দৃশ্য চোখ বড় বড় করে গিলছে সমস্ত বাসের জনগণ।

তারা উল্লসিত, মেয়েদের রেসলিং কেনো জনপ্রিয় এটা বুঝা যায়। মেয়েদের রেসলিং আদতেই উত্তেজক, স্বল্পবসনা সুতনু নারীরা একে অপরকে ধাওয়া করছে, লাথি মারছে, প্রতিটা দর্শক ভাবছে আহা এমন একটা লাথি যদি আমার পিঠে পড়তো। যৌনতার বাজারদর ভালো। তবে যেই দুই পপকর্ণ বিক্রেতা লড়ছে, তাদের শরীর জিরজিরে। বাংলাদেশের বিভক্তি বুঝা যায়, আমাদের দেশে দুই শ্রেণীর মানুষ এমন হার জিরজিরে।

এবং খুব সহজ ভাষায় বললে দুটোরই কারণ অর্থনৈতিক। অর্থনৈতিক কারণেই অপুষ্টিতে ভুগা দুটো ভিন্ন শ্রেণীর মানুষ বাংলাদেশে বেঁচে আছে। এক পাল্লায় এই দুই মহিলা, তাদের নিয়মিত অন্ন সংস্থান হয় না, দৈনিক আয় দিয়ে সুষম খাদ্য জোগার করা সম্ভব হয় না তাদের পক্ষে, সঙ্গত কারণেই তারা এমন ক্ষীণতনু। অন্য পক্ষে আছে নামকরা মডেলগুলো, তারাও কাঠি, তবে তাদের অর্থনৈতিক দারিদ্র নেই, তারা পয়সার ধান্দায় চিকনা। তারা নিয়মিত উপবাসে থাকে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।