প্রচলিত শব্দের ভিন্নার্থ বা ব্যঙ্গাত্মক অর্থ বের করার আশৈশব নেশা প্রবলতর হয়ে ওঠে বছর কয়েক আগে। অনেক ভাষাতেই এ-বিষয়টির ব্যাপক চর্চা আছে। পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত ছাপা হয় জানা শব্দাবলির অভিনব অর্থ। নেহাতই খেলা এক ধরনের।
দেশে এক বন্ধুকে এক সময় পাঠিয়েছিলাম এই ব্লগে প্রকাশিতব্য 'অভিধানের' কিয়দংশ।
ভেবেছিলাম, কোনও পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করার ব্যবস্থা সে করবে। তা সে করতে পেরেছিল কি না, প্রবাসে বসে তা জানতে পারিনি। সেই বন্ধুটির সঙ্গে যোগাযোগ ক্ষীণতর হতে হতে বিলীন হয়ে গেছে।
সবিনয়ে বলে রাখি, এই লেখাটি লঘু রসসৃষ্টির লঘু প্রয়াস। তাই ব্যাকরণ- বা ভাষাগত শুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা যুক্তিযুক্ত হবে না।
'বঙ্গাভিধান' নাম দিলেও লেখাটিতে কিছু ক্ষেত্রে আমাদের সকলের জানা ভিনদেশী কিছু শব্দের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। এছাড়া কিছু শব্দের অতি প্রচলিত ব্যঙ্গার্থ (বিশেষজ্ঞ - বিশেষভাবে বা বিশেষ ব্যাপারে অজ্ঞ, নিমাই - সমতলবক্ষা মহিলা) যুক্ত করা হয়নি এতে।
একেক কিস্তিতে দশটি করে শব্দার্থ দেয়া হবে।
বণানুক্রম বজায় রাখা হয়নি সচেতনভাবে।
'পাবলিক যদি খায়', শুধু তবেই 'টু বি কন্টিনিউড'।
ব্যঙ্গ বঙ্গাভিধান
১. অপরূপ: বাজে চেহারা (তুলনা: অপকর্ম - খারাপ কাজ)
২. প্রজাপতি: রাজা
৩. তটস্থ: তীরবর্তী
৪. অর্থহীন: দরিদ্র (একইভাবে অর্থহীনতা - দারিদ্র্য)
৫. পিলখানা: ওষুধের দোকান
৬. কুঁড়েঘর: অলসের বাসস্থান
৭. সফলকাম: সাকসেসফুল ইন্টারকোর্স
৮. কবরী: সমাধিস্থলের পরিচারিকা
৯. মায়াবিদ্যা: জন্মনিয়ন্ত্রণ বিষয়ক বিজ্ঞান
১০. নিরবকাশ: নিঃশব্দ কাশি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।