আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাতকাহন : মুক্তবাজার অর্থনীতি ও বাংলাদেশ-পর্ব ৩



শাক হিসেবে বাংলার মেয়েরা ১৫০টিরও বেশি গাছ-গাছালি উৎপাদন ও ব্যবহার করত্। ো হিনচে শাক, পালং শাক, লাল শাক, প্রভৃতি সে সবেরই কয়েকটি। প্রকৃতির বিচিত্র দান এবং সন্তান-সন্ততি ও সমাজকে খাওয়ানোর জন্য নারীর এ বিপুল ব্যবহারিক জ্ঞানকে অস্বীকার করে জৈববিদরা পুষ্টি সমস্যার সমাধান হিসেবে হাজির করেছে ভিটামিন-এ-র অলৌকিকতাকে। ২ সত্যিকারভাবে আমাদের আর কোনো নিজস্বতা নেই। আমাদের বেলের সরবতের জায়গা দখল করেছে কোকাকোলা আর পেপসিকোলা।

একটা সময় ভারতে থমস্ আপ, চাপা কোলা কোম্পানি ছিলো দেশীয় এবং তারা খুবই ভালো ব্যবসা করতো, একসময় আজকের কোকাকোলা এসে ভারতের বাজার দখল করলো। তারপর একসময় আবিষ্কার হলো থমস আপ নেই, কৈই গেলো-কৈই গেলো খুঁজতে খুঁজতে একসময় সময় তাকে কোকাকোলার পেটের ভেতর আবিষ্কার করা হয়। আজকাল পেটেন্টের কথা উঠছে। গাছপালা, বীজ, প্রাণের যে কোন ধরণের পেটেন্ট। আজ নাগাদ আমাদের কৃষক বীজ তার নিজের ঘরে রাখে।

এক জায়গার বীজ অন্য জনে নেয়, অন্য জায়গায় যায়। কোনরূপ বুদ্ধিজাত সম্পত্তির অধিকার ছাড়া বীজের আদান প্রদান চলছে। এ বীজ লেনদেনের মধ্যদিয়ে কৃষক প্রায়ইশ নতুন নতুন বীজ আবিষ্কার করেছ। যেহেতু কোনো পেটেন্ট নেই তাই একের বীজ অন্য জন নিয়ে আবাদ করেছে। এভাবে আমাদের কৃষির স¤প্রসারণ হয়েছে।

কিন্তু এখন আর তা নেই। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বলছে তাদের এ জাতীয় কাজের জন্য আমাদের দাম শোধ করতে হবে। তারা যদি কিছু আবিষ্কার কওে তাহলে তার জন্য পেটেন্ট বা বাজারে বিক্রির একচেটিয় তাদের দিয়ে দিতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বাজারে বীজের ওপর একচেটিয়া প্রদানই যদি পেটেন্টের উদ্দেশ্য হয় বা বুদ্ধিজাত সম্পত্তির অধিকার দেবার কারণ যদি বীজের অবাধ লেনদেন বন্ধ করে দেয় তাহলে সেটা কিভাবে অবাধ বাণিজ্য হলো ? এ জাতীয় প্রক্রিয়া বরং অবাধ বাণিজ্যের বিপক্ষে, অন্যায্য।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।