সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com
মানস সরোবর কোথায় অবস্থিত?
তীব্বতের দুহাজার কিলোমিটার দূরে লাসায়।
এইটুকু জানতাম। এইটুকু জানাও সহজ। মনস সরোবর নিয়ে প্রচলিত আছে নানা উপকথা মিথ।
স্বাদু পানির এই হ্রদের পানি খেলে মোক্ষ লাভও নাকি হয়।
ফাদার গাস্তঁ রোবের্জের কর্মশালায় একটা মুভি দেখানো হলো। মুভির নাম মানস সরোবর। ডিরেক্টর অনুপ কুরিয়ান। 1998 সালে তিনি পুনে ফিল্ম ইনসটিটিউট থেকে ডিপ্লোমা করেছেন।
অপেক্ষাকৃত নতুন এই পরিচালকের মুভিটি ফাদার নির্বাচন করেছিলেন নিউ মুভির একটা উদাহরণ হিসাবে। মুভিটা নিয়ে ফাদার বেশ কিছু দরকারি কথা বলেছেন, তার নিজের করা একটা সমালোচনাও হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন।
ফাদারের মতে, এটা নিউ মুভির একটা উদাহরণ। এই মুভিকে তিনি রেজিস্টেনেসর উদাহরণ হিসাবে হাজির করেছন। মুভি তৈরি হয়েছে খুব কম বাজটে।
শোনা গেল, ক্যামেরা বিক্রির টাকা দিয়ে এর এডিটিং খরচ জোগানো হয়েছিল। অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কাজ করেছেন স্বতপ্রনোদিত হয়ে। ডিরেক্টর গল্পের কাঠামো ঠিক রেখে অভিনেতা অভিনেত্রীদের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। ফাদার বলেন, এই সিনেমাটি বোধহয় ভারতের প্রথম সিনেমা যার প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভারতীয় হলেও মিউজিক পুরোটাই করেছেন আইরিশ কম্পোজাররা। আর এটি মুভিটির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।
এতে আছে কেরালার গ্রাম, শহর, হাইটেক, ম্যাট্রিমোনিয়াল, নিরেুদ্দেশ যাত্রা, প্রেম, কনসালটেনিস, অরুন্ধতী রায়, স্পিরিচুয়ালিটি আরও কতকিছু। বহুধাবিভক্ত অনেক ক্রস ইসু্য নিয়ে কাজ করা হয়েছে এতে। ফলে মুখিটার বিন্যাস হয়েছে জটিল।
গল্পটা সহজ করে বলা ঠিক না। তারপরও বলি, মুভিটা দুই ভাই ও এক নারীর গল্প।
বড় ভাই রবি রাও। ছোট ভাই জর্জ নায়ার। তাদের বাবা কেরালান মা বাঙালি। ছোটনা বাবার পদবি নিয়েছে, বড়টা নিয়েছে মায়ের পদবী। কিন্তু বড়টা ঘরছাড়া, উইয়ার্ড আবার একই সঙ্গে শিল্পীমন।
তার সঙ্গে ম্যাট্রিমনিয়াল সূত্রে পরিচয় হয় মালতির। কিছুদূর এগিয়ে তারা ব্যাক করে। অন্যভাই জর্জ নায়ার মাতৃভক্ত। সে স্বভাবে কুল। সে কনসালটেনিস সূত্রেমালতি নায়ারের সঙ্গে পরিচিত হয়।
তার সঙ্গে এক ধরনের ঘনিষ্টতাও হয় তার। সাডেনলি, শহরে আসে রবি। না দুইভাইয়ের কোনো যোগাযোগ নাই। রবি নিখোঁজ এক বছরের বেশি সময়। তার খবর জানার ও দেবার জন্য জর্জের মোবাইলে বারবার মায়ের ফোন আসছে।
অ্যান্ড সাডেনলি,জর্জ কামস টু নো দ্যাট মালতি ওয়াজ দি গার্ল রিলেটেড টু রবি। কিন্তু নানা টানাপোড়েনের পর মালতি রবিকে ফলো করতে হিমালয়ান ল্যান্ডের দিকে যাত্রা করে। সেখানেই মানস সরোবর।
হয়তো সেখানেই মানস সরোবর।
কত কিছু যে আছে এই মুভিতে।
তিব্বতি বৌদ্ধসাধু। কেরালার কৃষক, মালতি নামের এক হাতি, রান্নাবান্না কত কিছু। গল্প বর্ণনায় কমপ্লেক্স অথচ সফল এক পদ্ধতি বেছে নেয়া হয়েছে।
আই লাইকড ইট।
[link|http://www.manasarovar.info/story.htm|AviI Z_
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।