আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হতাশার কাব্য-১

ধন্যবাদ :)

যাক অবশেষে সকল পোস্ট এর পেইজ এ পোস্ট করবার অনুমতি পেয়েছি। এটা আমার সর্বপ্রথম পোস্ট ছিল সামু তে। এডিট তেমন করলাম না, প্রথম পোস্ট হিসেবে ভুল ভ্রান্তি একটু ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি তে দেখবেন সবাই, আশা করছি। প্রথমে বলে নিচ্ছি, এটা আমার প্রথম পোস্ট। নামকরণ ব্যাপার টায় আমি তেমন পটু নই।

লেখা লেখির ব্যাপার এও নয়। সবে মাত্র শুরু করেছি। যদিও বেশ কিছু দিন আগেই আমি সামু তে যোগ দিয়েছিলাম কিন্তু লেখা হয়ে ওঠেনি। আসলে, যোগ দেওয়ার পর পর জীবনে কিছু একটা পেয়েছিলাম। যার কারণে পি সি,নেট এসব থেকে বেশ দূরে ছিলাম।

বলা যায়, অন্য একটি জীবনে চলে গিয়েছিলাম। যেখানে মনের কথা গুলো গুছিয়ে বলতে হত না। কেউ একজন অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে থাকতো আমার অগোছালো কথা গুলো শুনবে বলে। কিন্তু দুঃখজনক বলুন আর দুর্ভাগ্য বলুন, সে এখন আমার পাশে নেই। তাই কিছু টা হতাশা নিয়েই আমার পূর্ববর্তী ছন্নছাড়া জীবনে ফিরে আসলাম।

যার কারণে আমি আমার প্রথম পোস্ট এর নাম হতাশার কাব্য দিয়েছি। যদিও এখানে কাব্যের ছোঁয়া নেই বললেই চলে। এখন পর্যন্ত তো নেই। সামনে থাকলেও থাকতে পারে। এখানে ফিরে আসার (ফিরে আসা বলবো না।

শুরু করাই বলবো। যেহেতু এর আগে শুরু করবো বলেও করা হয়নি। ) আরেকটি কারণ হচ্ছে আমার জীবনের আরেকজন প্রিয় মানুষ। সে ব্লগ লিখতে বলাতেই এখানে ফিরে আসা। যাই হোক, আসলাম ফিরে।

অনেক কথা বলতে ইচ্ছে করে,পারি না। মানুষ টি নেই। সবার সাথে তো আর সারাক্ষণ গর গর করে সব অগোছালো কথা গুলো বলে ফেলা যায় না। সবাই তো আর নীরব স্রোতা হয়ে আমার কথা গুলো শ্রবণ করবে না। বিরক্তি বলে তো কিছু একটা আছে।

একটা সময় সে জিনিস টা চেপে বসবেই তাদের ওপর। যেমন এতো টুকু পড়ার পর আপনাদের অনেকেই বিরক্ত হয়েছেন হয়তো। নিজের জন্য লিখি আমি। লিখতে আমার বেশ ভালো লাগে। কিন্তু আমার একটা সমস্যা আছে।

কিছু শুরু করি বেশ উৎসাহ নিয়ে কিন্তু চালিয়ে যেতে পারি না। আপনাদের সহযোগিতা পেলে চেষ্টা করবো চালিয়ে যেতে। নিজের কিছু কথা যখন অন্য কেউ বেশ মনোযোগ নিয়ে পড়ছে বলে মনে হয় আমার, তখন বেশ উৎসাহ পাই। তেমন টা হয়েছে বলেই ব্লগ এ আসার সাহস পেয়েছি। যাই হোক, অনেক তো বলে ফেললাম নিজের কিছু কথা।

যেটা লিখতে চেয়েছিলাম সেটা থেকেই দূরে সরে যাচ্ছিলাম। ফিরে আসি সে কথায়। হতাশা-বর্তমান যুগের কিশোর-কিশোরী/যুবক- যুবতী দের বেশ ভালো একটি বন্ধু। কিছু হলেই হল। কথা নেই বার্তা নেই।

এই অনুভূতি টি একটি মানুষ কে ঘিরে ধরবেই। এবং দুর্বল পেলে তো কথাই নেই। একেবারে অন্য সব অনুভূতি কে কলুষিত করে দিবে। এটা কেন হল না,ওটা কেন হল না, এটা পারলাম না, ওটা পারলাম না ইত্যাদি ইত্যাদি যত না পারা, না হওয়া আছে, সব মাথাচাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়াবে। এবং অবসরে সেসব নিয়ে ভেবে ভেবে হতাশায় ডুবে যাবে।

আমি কেন হতাশা নিয়ে লিখছি তার কারণ ও একটাই। আমি নিজেও হতাশ। তাই ভাবলাম যেহেতু এ জিনিসটা আমার সত্ত্বায় বেশ ভালো ভাবেই মিশে গিয়েছে সেহেতু এটা নিয়েই আমার প্রথম পোস্ট লেখা যায়। আমাদের একটা বেশ বড় সমস্যা হল আমরা খুব সহজেই হতাশ হয়ে পরি। আর ভার্চুয়াল জগত এ আমরা খুব বেশি জড়িয়ে গিয়েছি বলে, এখানে হা হুতাশ করে মরি।

আর আমাদের মাঝে এর কারণে ডিপ্রেশন জিনিস টা বেশ ভালো ভাবে ভর করে। হতাশা দূর করতেও আমরা ভার্চুয়াল জগত কেই বেঁছে নেই। যদিও এখানে এর সমাধান মিলবে না। সব কিছুর জন্য ভার্চুয়াল জগত এর উপর নির্ভর করা টা আমাদের স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে আমরা পারি বাস্তব জীবনের বন্ধু দের সাথে সমস্যা শেয়ার করে সেটা থেকে পরিত্রাণ না হোক অন্তত একটু ভালো লাগার অনুভূতি তো পেতে পারি।

এটা ঠিক বন্ধু রা অনেক সময় হয়তো এসব সমস্যা হেসে উড়িয়ে দেয়। সেটাই স্বাভাবিক। সবাই ই কোন না কোন ভাবে এ সমস্যায় আছে। তাই কারও কাছে তেমন সমাধান মিলে না। নিজে থেকে হতাশা কাটিয়ে উঠতে পারা শিখতে হয়।

যেটা বয়স এর সাথে সাথে এবং অভিজ্ঞতার সাথে সাথে শিখে নেই আমরা। কিন্তু সময় তো থেমে থাকে না। ততদিনে আমাদের মানসিকতার বেশ পরিবর্তন আসে এবং নিজেকে বদলে নেই, কারণে হোক আর অকারণে হোক, মানুষ বদলায়, সমাজের পারিপার্শ্বিকতা মানুষ কে বদলে দেয়। পরিস্থিতি মানুষ কে বদলে দেয় এটা ঠিক, কিন্তু মানুষ বদলাবেই, তার অনুভূতি গুলো তাকে বদলে ফেলে, তার হতাশা গুলো তার সহ্য ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। নিশ্চুপ নীরবতার মাঝে মানুষ বদলে যায় ধীরে ধীরে।

কেউ খেয়াল করে না। সবাই খেয়াল করে হঠাৎ করেই। তখন সবাই বলে, যে মানুষ টি বদলে গিয়েছে। যদিও সবার কারণেই যে মানুষ টি বদলে গেলো, এটা কেও কখনও খেয়াল করে না। এটাই দুনিয়ার নিয়ম।

একটা ব্যাপার যখন হচ্ছে তখন খুব কম মানুষ সেটা সমাধান করতে তৎপর হয়। বেশিরভাগ মানুষ হয়ে যাওয়ার পর ঘটনা টি খেয়াল করে এবং তার সমাধানের চেষ্টা করে। কিন্তু, আফসোস, সময় মত বেশিরভাগ মানুষ ফিরেও তাকায় না সেদিকে। তাই দেখা যায় যাদের কারণে বা যে কারণে একজন মানুষ বদলে গেলো, বদলে যেতে বাধ্য হল, তারা বা সে কারণটি পরবর্তীতে সে মানুষটিকে বদলে গিয়েছে বলে দোষারোপ করে। এবং এ ব্যাপারটি যত দেখছি, ততই অদ্ভুত লাগছে আমার কাছে।

এমন কত কিছুই চুপ চাপ দেখে যাওয়া ছাড়া কিছু করার থাকেনা।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।