আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রেকর্ড রেকর্ড খেলা !!!

দিলের দরজা ২৪/৭ খুইলা রাখি মাছি বসে মানুষ বসে না। মানুষ খালি উড়াল পারে! এক দিন আমি ও দিমু উড়াল, নিজের পায়ে নিজে মাইরা কুড়াল...


গত ডিসেম্বরেই একবার রেকর্ড করলাম এখন আবারো রেকর্ড! একটা কিছু পাইলেই হইল কচলাইতে কচলাইতে তিতা না করা পর্য্যন্ত নিস্তার নাই। বিশ্ব রেকর্ড করার জন্য কেউ জাতীয় সংগীত গায় না, জাতীয় সংগীত গায় মানুষ অন্তরের হতে দেশ মাটি কে ভালোবেসে। কয়দিন পর পর এইসব রেকর্ড গড়ার খেলা কর্পোরেট ধান্দাবাজির মত মনে হয়। আর যে রেকর্ড কালকেই আরেকজন টুশ করে ভেঙ্গে ফেলতে পারে তেমন ইদুর দৌড়ে দৌড়ানোর কী মানে হয় কে জানে! প্রকৃতির সপ্তম আশ্চর্য্য আশ্চর্য্য তামাশা বন্ধ হইছে এখন শুরু হয়েছে আমাদের বিশ্বরেকর্ড বিশ্বরেকর্ড খেলা।



" জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে বিশ্ব রেকর্ড " লিখে গুগল করলাম দেখি ডিসেম্বরে একই রেকর্ড একবার করে ফেলেছি আমরা, অন্তত পত্রিকা অলারাতো তাই লিখে রেখেছে ( Click This Link ) তাহলে এখন আবার তিনমাস পর আমাদের একই রেকর্ড আবার করতে হবে কেন, সমস্যাকি! পত্রিকা পড়েই জানলাম ১৬ ডিসেম্বর ৩ লাখ + মানুষ জাতীয় সংগীত গেয়ে রেকর্ড গড়েছে তাহলে এখন আবার কিসের রেকর্ড করবো আমরা? আবার গুগলে গেলাম, দেখিতো এই সব রেকর্ড কেমনে কি হয়! প্রথমেই ধাক্কা খেলাম বৃহত্তম মানব পতাকার রেকর্ডটা পাকিস্তানের! ( Click This Link ) লেখা পাঞ্জাব ইয়ুথ ফেস্টিভাল ফেব্রুয়ারী ২০১৪ তে ২৮, ৯৫৭ জন পতাকা বানিয়ে রেকর্ড করেছে। ( Click This Link ) স্ক্রল করে নিচে নামতেই চোখে পড়ল, "Records change on a daily basis ..." হায়, আরেকটু নীচে যেতেই দেখি ১৯৭১ সালের যুদ্ধ লেগে রয়েছে। রেকর্ড আমার রেকর্ড আমার করে কে কার রেকর্ড হারিয়ে দিয়েছে তর্কাতর্কি চলছে। ফিরে আসি গুগল লিঙ্ক গুলোতে, দেখি নানান পদের বিশ্ব রেকর্ড করা যায়। পতাকা বানানোর রেকর্ড, পতাকা নাড়ানোর রেকর্ড, পতাকা ওড়ানোর রেকর্ড ... কত কি রেকর্ড! গুগল ঘুরে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের পেইজে যাই।

দেখি পতাকার রেকর্ডটা ভারতের ( Click This Link ) ভারত গত বছরের মে মাসের ৬ তারিখে ১২১, ৬৫৩ জন মিলে তাদের জাতীয় সংগীত গেয়ে রেকর্ড করে রেখেছে। কমেন্টের যায়গায় এবার দেখি বাংলাদেশ ভারত পকিস্তানের ত্রিমুখী লড়াই, রেকর্ড আমার রেকর্ড আমার রেকর্ড আমার! কমেন্ট থেকে জানলাম গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশে এক লাখের বেশী হয় নাই মানুষ। তাইলে আমাদের পত্রিকা অলারা তিনলাখ লিখল কেন? কে সত্য বলে কে জানে?

ছোটবেলায় শুনতাম কমলাপুর রেল স্টেশন হইল এশিয়ায় সেরা রেল স্টেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড। বড় হয়ে এর কোন সত্যতা কোথাও পাই নাই। একটা আলু বড় সাইজের হলেই সেইটা বিলাতি আলু।

একটা মরিচ ঝাল বেশী হলেই সেটা বোম্বাইয়া মরিচ। পশ্চিমাদের ভেলেন্টাইন ডে হয়ে যায় বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। একই ভাবে, মাদার্স ডে বা ফাদার্স ডে সব কিছুর আগেই "বিশ্ব" লাগিয়ে ফেলি ধুম ধাম। কিছু একটা পেলেই হল, অমনি তিল থেকে তাল বানিয়ে হুজুকে মেতে যেতে আর দেরী নাই।

ভারতে দেখলাম সাহারা গ্রুপ, পাকিস্তানেও কোন ফোন অপারেটরের নাম যেনো দেখলাম, বাংলাদেশে রবির মত হয়তো আরো কেউ সাথে মন্ত্রী সান্ত্রী সবাই।

অদ্ভুত এক তামাশা, বোকা মানুষের ইমোশন নিয়ে চালাক মানুষেরা আরো কত কি যে খেলা দেখাবে কে জানে!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.