প্রত্যাশা করি কুসঙ্গের চেয়ে সৎ সঙ্গ ঢাকার গুলিস্তানে যারা যাতায়ত করেন তারা নিশ্চয় ঘোড়ার গাড়ি দেখে থাকবেন । যান্ত্রিক বাহনের সঙ্গে রীতিমত পাল্লা দিয়ে ছুটে চলা ঘোড়ার গাড়িটি যাতায়তের বাহন হিসেবেই মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছে। মানুষ্য কর্তৃক পশুর প্রতি এ এক নির্দয় আচরন। ইঞ্জিন চালিত গাড়িগুলো সরিবদ্ধভাবে ছুটে চলছে ,পাশাপাশি নির্জিব প্রাণীটিও ছুটে চলে মানুষকে কাঁধে নিয়ে। থামতে বললে থামে,চলতে বললে চলে।
না চললে লাগাও পিঠে চাবুক। গোলাপ শাহ মাজার থেকে সদরঘাট ,আবার সদরঘাট থেকে গোলাপ শাহ মাজার। এভাবেই চলে বিরতিহীনভাবে ঘোড়ার শৃঙ্খলিত জীবনের সারাদিন। ঘোড়ারা অসুস্থ হলে কিংবা খারাপবোধ করলে বলতে পারেনা যে এখন যাবো না কিংবা বাসায় যেয়ে বিশ্রাম করবো। অবিরত ছুটে চলা এই প্রাণীটি মানুষের কাছে শুধুমাত্র অর্থ আয়ের উৎস ছাড়া অন্যকোন গুরুত্বই বহন করেনা।
তাছাড়া অন্য কিছু ভাবার সময় বা সুযোগ কিংবা মূল্যবোধ খোঁজা মানে হাস্যকর ব্যপার তাদের কাছে এটি। যখন যন্ত্রিক সভ্যতার বিকাশ ঘটেনি তখন থেকেই ঘোড়া এবং গরুর গাড়ি ছিল মানুষের যাতায়তের বাহন। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এর প্রচলন থাকলেও বহুকাল পূর্বেই তা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যদিও কোন কোন দেশের অঞ্চলভেদে কিছু প্রচলন আছে তবে তা অত্যান্ত মার্জিত রূপে। এমন সরু এবং নিত্য যানজট লেগে থাকা রাস্তা টেলে ঘোড়াকে যারা বাহন হিসেবে পয়সা রুজি করার মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে তারা আর যাই হোক সভ্য সমাজের মানুষ নয়।
সভ্য নগরীতে অসভ্য আচরনের মানুষ এরা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।