সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি
আমি ভাষার কথা বলছি। মানুষের ভাষা। ভাষাই বলে দেয় কে সভ্য, কে বর্বর । কে শিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিত। জিহ্বার নিচেই লুকানো থাকে মানুষের প্রকৃত পরিচয়।
একটি সুন্দর বাক্য যেন সুদৃঢ় একটি বৃক্ষ। যার শেকড় মাটির অনেক গভীরে প্রোথিত। যার ডালপালা আকাশের সুনীল সীমানায় বিস্তৃত। ফুল, ফল এবং সুশীতল ছায়া দিয়ে যে বৃক্ষ অনন্তকাল দাঁড়িয়ে থাকে কল্যাণের প্রতীক হয়ে।
আর মন্দ কথা ?
সে তো খড় কুটোর মতই নগণ্য।
যার কোন স্থিতি নেই।
পথে- প্রান্তরে, বাসায় কিংবা অন্য কোথাও কারো সাথে সাক্ষাত হল। তখন একটু অভিবাদন,, আন্তরিকতার পরশ মাখানো দুটি কথা সহজেই নির্মান করতে পারে সাম্য, মৈত্রী,ভালবাসার এক অনন্য সেতু।
কাউকে সুন্দর সম্বোধনে ডাকা, তার সুন্দর নামের প্রশংসা করা মানব চরিত্রের মহত গুণ বলেই জানি। এতে খুব সহজেই অন্য মানুষের মন জয় করে নেয়া যায়।
আর কাউকে মন্দ. অশালীন, ও বিকৃত নামে ডাকার কথা কি সভ্য মানুষেরা চিন্তা করতে পারে? হোকনা সে শত্রু কিংবা বিপরীত আদর্শে বিশ্বাসী কেউ।
প্রকৃত মানুষদের অভিধানে কোন অশ্লীল শব্দ নেই। বরং উগ্র, অশিক্ষিত , অমার্জিত স্বভাবের কেউ অনর্থক বাক্যবাণে আহত করলেও তারা তার জবাব দেয় সুন্দর ভাষায়, অন্ততঃ খারাপ ভাষায় নয়।
মানুষের সাথে মানুষের তর্ক বিতর্ক হতেই পারে। তবে যারা শুদ্ধ মননের অধিকারী, তাদের বিতর্কের মাঝেও রয়েছে শৈল্পিক এক সৌন্দর্য।
তারা কথা বলে শাণিত যুক্তির মাধ্যমে, মার্জিত পন্থায়। তবে মূর্খরা বেশী বাড়াবাড়ি করলে তারা বলে তোমাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।
ভিক্ষুকের হাতে যখন কিছু দিতে পারিনা কিংবা দেয়ার ইচ্ছা থাকেনা, তখন আমরা বলি - মাফ করবেন। কিন্তু কেন? এটাই সামাজিকতার ভাষা, সভ্যতার ভাষা।
আমার নিজের কাছেই আমার প্রথম জিজ্ঞাসা, আমি কি সভ্য, সুশীল ও সামাজিক মানুষ হতে পেরেছি???
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।