স্যাম বিশেল এক ইহুদি শয়তানের নাম, মার্কিনদের আদরে লালিত এক জানোয়ারের নাম। যে আমার নবীকে নিয়ে ব্যাঙ্গাত্বক চলচ্চিত্র নির্মান করেছে। সারা বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মুসলমান যেখানে এমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে, হঠকারিতার বিরুদ্ধ ফুঁসে উঠেছে সেখানে আমাদের দেশের মন্ত্রী মার্কিন দূতাবাসে হামলার নিন্দা জানালেন অথচ চলচ্চিত্রটির বিরুদ্ধে কোন কথা বললেন না! শেম। । তাই বলে কি আমরাও চুপ করে থাকব? দিনের পর দিন সয়ে যাব এমন নিপীড়ন! ইসলাম বিরোধী মার্কিন শক্তি সামান্য অজুহাত দিয়ে একের পর এক মুসলিম অধ্যুষিত দেশ গুলোয় হামলা চালাচ্ছে।

ইসলামের গৌরবময় ঐতিহ্যকে কৌশেলে সন্ত্রাস-এ রূপ দেয়ার চেষ্টা করছে, বিশ্ব দরবারে মুসলমানদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে জঙ্গি হিসেবে। আমরা উমরের মত সাহসী হতে না পারি, আলীর মত মেধা ও শক্তি আমাদের না থাকতে পারে; তাই বলে কি অমরা বিবেক খানিও হারিয়ে ফেলেছি! আমরা কি বুঝতে পারছি না লিবিয়ায় মেরিন জাহাজ পাঠানোর মানে কি? আমদের বিবেক কি বলে দিচ্ছেনা আরেকটি মুসলিম দেশের উপর মার্কিনদের কু'নজর পড়েছে। নাকি আমরা বাক শক্তি হারিয়ে ফেলেছি? জানি আমরা পারবোনা ইসলাম বিরোধীদের টুটি চেপে ধরতে, ওদের সেচ্ছচারিতার উচিত্‍ জবাব দিতে। সে শক্তি ও সাহস আমরা হারিয়ে ফেলেছি পরাজয়ের ভাসমান স্রোতে। তাই বলে কি আমাদের কিছুই করার নেই শুধু সয়ে যাওয়া ছাড়া? আমরা না বীরের জাতি, রক্ত দিয়ে এ দেশকে স্বাধীন করেছি! আর ইসলামকে নিয়ে এমন অবমাননার বিরুদ্ধে কি সামান্য কলম তুলে দাড়াতে পারবোনা? এ দেশে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা আছেন।

আমরা কি পারবোনা তাদের এই মেসেজটা দিতে 'ইসলাম নিয়ে ফাজলামো যেখানেই হোক বাংলাদেশ তা সহ্য করবে না'। আসুন প্রতিবাদী হয়ে উঠি। দেশকে ভালবাসি, নিজের ধর্মকে ভালবাসি। অনলাইন ও প্রিন্টিং মিডিয়া কাঁপিয়ে তুলি নিজেদের প্রতিবাদের স্বাক্ষরে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সাথে আছেন।

। ।