প্রতিবাদী শাহবাগ
আঘাতের পর আঘাত সয়েছি
সেই দিন আজ শেষ
আবারো দুহাতে অস্ত্র ধরবো
বাচাবো বাংলাদেশ।
ঘাতকেরা আজো তোমার এই দেশে
দম্ভেতে পথ চলে
শহীদ মিনারে দাড়িয়ে এখনো
উচু স্বরে কথা বলে।
ওদের কপালে খড়ম ঠেকিয়ে
এবার মারবো লাথি
গোরস্থানের কবরেতে যেন
শুতে হয় রাতারাতি।
দেখবে তখনও কাফন বাধিয়া
আমিও রয়েছি পাশে
ভরে ফেল পথ সারা বাংলার
দেশদ্রোহীর লাশে।
বঙ্গবন্ধু তর্জনী নেড়ে
নাইবা ডাকুক তোমায়
তাই বলে তুমি মুক্তিযোদ্ধা
থাকবেকি তবু ঘুমায়।
আবার তোমাকে জাগতেই হবে
জেগে ওঠো মহাবীর
আকাশের পানে আরো উচু করো
তোমার উদ্ধত শির।
জেগে ওঠো সব বীর যোদ্ধা
হাতে নাও হাতিয়ার
স্বাধীন দেশের শত্রু যাহারা
করে দাও ছারখার।
অপমানের এই জ্বালা বুকে নিয়ে
কত কাল বেচে রবে
একাত্তুরের মুক্তিযোদ্ধা
কবে তুমি খ্যাতি পাবে।
আবার একটা মুক্তিযুদ্ধ
এই দেশে হতে হবে
সোনার বাংলা সত্যি হয়তো
সেইদিনই সোনা হবে।
বজ্রমুষ্ঠি করেছি যখন
আর নয় ছাড়াছাড়ি
মানবোনা আর নিরবে আমরা
তোমাদের বাড়াবাড়ি।
অত্যাচারিকে আঘাতে আঘাতে
ভূলুন্ঠিত করে
তবেই আমরা শান্ত হবো
ফিরবো আপন ঘরে।
মুক্তিযোদ্ধা কতকাল তুমি
অপমান সয়ে যাবে
মরণের ক্ষণ এসেইতো গেল
কবে স্বাধীনতা পাবে।
নয় মাস তুমি যুদ্ধ করেছ
সেই যুদ্ধ কি শেষ
সেই যুদ্ধেকি শত্রু মুক্ত
হয়েছে বাংলাদেশ!
আজো এই দেশে আনাচে কানাচে
শত্রুর চলাফেরা
আজো এই দেশ স্বাধীন কিনা
বলতে পারিনা মোরা।
একাত্তরের অপরাধী যেথা
উচু স্বরে কথা বলে
তিরিশ বছর পরেও এখনো
নির্ভয়ে পথ চলে।
সেই দেশে তুমি মুক্তি যোদ্ধা
বলো যুদ্ধকি শেষ
তিরিশ বছরে পেয়েছকি খুজে
স্বাধীন বাংলাদেশ।
বৃদ্ধ বয়সে আবারো বন্ধু
জেগে ওঠো জেগে ওঠো
আবার যুদ্ধ করতেই হবে
সম্মুখ পানে ছোটো।
আর কারো কাছে বিচার চাহিয়া
করবোনা নত শির
সবার উর্ধে উঠবো আমরা
আমরাই মহাবীর।
(জাজাফী)
এস এম হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।