সকল ক্ষমতার উৎস একমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রব্বুল আ’লামীন
একটি দৃশ্য বারবার চোখে ভাসছে। একটি ডাক বারবার কানে আসছে। একটি চিৎকার ,একটি আর্তনাদ , বারবার কলজে ছিদ্র করে দিচ্ছে ! তাই না লিখে পারলাম না।
অবরোধ দিবসে দুপুর ৩টা সাড়ে ৩টার পর আমরা পল্টন পৌঁছি। পল্টন তখন রণাঙ্গন ! ধোঁয়ার কুন্ডলি আকাশে উঠেছে।
বিকট দিড়িম দিড়িম বোম ফাটার শব্দে অন্তরাত্মা কেঁপে উঠছিল। আমরা তখন নির্বিকার, নিষ্ক্রীয়, অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে আছি। পুলিশের ভয়ংকর আক্রোশ আমাদের , পৃথিবীর কোটি কোটি মুসলিমের , হৃদয় বিচূর্ণ করে দিচ্ছিল।
কত দেখব, কত দেখা যায়, আহত-অর্ধমৃত মানুষের মিছিল দেখতে দেখতে একসময় এতে অভ্যস্ত হয়ে গেলাম। কিন্ত আবার হৃদয়ে নাড়া দিল একটি দৃশ্য, একটি ডাক, একজন আহত বা অর্ধমৃত ! যেন হৃদয় ধরে ঝাঁকুনি দিল, সাঁড়াসি দিয়ে চেপে ধরলো পাঁজড়ের হাঁড়গুলো।
লোকটার এক চোখ গুলিবিদ্ধ। কউ যেন সেটা বের করে টিপ দিয়ে গলিয়ে কপালে-গালে মেখে দিয়েছে। দুইজন লোক তাকে দ্রুত বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছিল তাকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি ’রণক্ষেত্র’ ছেড়ে পালাতে চান না, কিন্তু তাকে জোর করে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
শাহাদাতের তামান্না তাকে উম্মাদ করে তুলেছিল। বীরপুরুষ করে তুলেছিল। তিনি যাচ্ছিলেন, আর চিৎকার দিয়ে ডাকছিলেন, ‘আমরা সবাই আজ শহীদ হয়ে যাবো। আপনারা সামনে যান। ’ !
জানি না তিনি কি শহীদ হয়েছেন , নাকি ইতিহাসের নিকৃষ্টতম একটি পৈচাশিক আক্রমণের ভয়াল চিহ্ন কপালে ধারণ করে এখনো জীবিত আছেন।
আমাদের প্রাণের দাবীগুলোতো এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। হে মহানবীর ! রণভঙ্গ দেয়ার প্রশ্নই আসে না ! আপনাকে আবার নামতে হবে, ভয়ংকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আপনার তো বিরামের অবকাশ নেই।
(অনন্ত মহাকালযাত্রী)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।