মোষ্ট ওয়েলকাম দেখলাম, সত্যি অসাধারন। বাংলাদেশে এমন সিনেমা ভাবা যায় না। যারা বলছিল ফাউল তাদের আগে দেখা উচিৎ বাংলাদেশে এর থেকে ভাল সিনেমা হইছে কিনা। হলিউডের সাথে আমাদের তুলনা করলে তো হবে না, আমাদের নিজেদেরকে নিজেদের সাথে তুলনা করতে হবে।
মোষ্ট ওয়েলকাম এর কয়েকটা জিনিষ একে অন্য সিনেমা থেকে আলাদা করেছে।
১. সিনেমা HD প্রিন্ট, বৃষ্টি পরা নাই। সাউন্ড ও ভাল।
২. মারামারিতে ইয়া ভিশুমাইইই এর বদলে হলিউডের মত শব্দ ব্যবহার হইছে।
৩. বাংলা সিনেমায় সবচেয়ে বিরক্তকর যেটা, সেটা হল নায়িকা যখন কথা বলে না (কিংবা বলে) তখন কিছু অবোধযোগ্য শব্দ (উহু, হুম এ জাতীয়) ব্যবহার করে। এ সিনেমায় তা নেই।
৪. নায়ক-নায়িকার ড্রেস আপ ভাল।
৫. বাংলা সিনেমার জন্য বলিউডের নায়িকা এনে আইটেম গান ছিল আরো একটা চমক।
৬. কাহিনী সহজ সরল, শুধু একশ্রেনী না বরং সব শ্রেনীর জন্য বোধগম্য।
৯. গাড়ী গুলা ছিল অসাধারন। এছড়াও স্পিড বোট, হেলিকপ্টার, মোটরসাইকেল, প্লেন, বাস এর ব্যবহার একে অন্য মাত্রা দিয়েছে।
১০. নায়িকা ধনীর দুলাল কিন্তু আমাদের সমাজে যেটা স্বাভাবিক সেটাই দেখাইছে। (অন্য সিনেমার মত নায়িকা মিনি স্কাট পরে কলেজে যায়, এটা দেখায় নি। )
১১. সবাই ভালই অভিনয় করেছে। অনন্ত এর স্পিড দেখেছিলাম তাই বলবো এ সিনামায় সে স্পিড এর থেকে হাজার গুন ভাল অভিনয় করেছে, কথা বলেছে।
১২. বাইরের লোকেশন গুলা খুবই সুন্দর এছাড়াও দেশেরও কিছু চমৎকার লোকেশন দেখাইছে।
১৩. গানের চিত্রায়ন ছিল অসাধারন।
১৪. মেকাপ ও ভাল ছিল। অন্য বাংলা সিনেমার মত উইগ এর ব্যবহার হয় নাই। (কপালের উপরে মাঝখানে সাদা, কানের কাছে সাদা ওই উইগটা, যা কতাটা সিনেমায় ব্যবহার হইছে হিসাব ছাড়া, সেটা হয় নাই। )
১৫. এর আগে বাংলাদেশে যারা নয়ক হয়ে গেছে (মান্না, জসীম, আমিন খান, ওমর সানী, রুবেল ) তাদের সাথে তুলনা করলে নায়কের ফিগার ভাল।
১৬. নায়িকারা ও গানের সাথে যারা নেচেছেন তারা সবাই স্লিম, কোন হস্তীনী পাই নি।
লেখাটা আরো প্রকাশিত এখানে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।