যখন বিশ্ববিদ্যালেয় পড়তাম, প্রায়ই আমাদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলচ্চিত্র উৎসব হতো। দেখা গেল কাল সকালে পরীক্ষা আজ সন্ধ্যায় সব দল বেঁধে অডিটোরিয়ামে সিনেমা উৎসবে যোগ দিচ্ছি। কিসের পরীক্ষা! সে হবে পরে ক্ষণ! সেই দিনগুলি যেন ভুলতেই বসেছিলাম। হঠাৎ আবারও সেই পুরনো দিনগুলো ফিরে পেয়েছি। কিভাবে? কোনো থিয়েটারে নয়, ঢাকায় কোনো চলচ্চিত্র উৎসবও চলছে না।
ইটস মাই এইচবিও (হোম বক্স অফিস)। খুলে বললে আমার কম্পিউটারে। এক সপ্তাহ ধরে সিনেমা দেখছি...
অড্রে হেপবার্নের মাই ফেয়ার লেডি দিয়ে শুরু, এরপর একে একে দেখলাম রোমান হলিডে, কাসাবলাঙ্কা, দ্য সাউন্ড অব মিউজিক, অলিভার টুইস্ট, দ্য বাইসাইকেল থিপ, পিয়ানোর মতো চমৎকার কিছু ছবি।
এক একটা ছবি দেখছি আর এক একবার একেকটা ভিন্ন জগতে ঢুকে যাচ্ছি। আমাদের দেশে কেন এমন ছবি হয় না! আমাদের নির্মাতারা কি এসব ছবি ভুলেও কখনো দেখেছেন? এমন গল্প, কাহিনী, কোরিওগ্রাফি, দৃশ্যায়ন, অভিনয়.... মন ভরে যায়।
তখন আমার বয়স কতই বা হবে? দশ বারো বছরের কিশোর। আমাদের শৈলকুপায় একটা ভাঙাচোরা সিনেমা হল ছিল। নাম কিছুক্ষণ। ছবিও `কিছুক্ষণ'ই দেখা যেত। এক টিকিটে দুটি বাংলা সিনেমা দেখাতো।
সেটা শুরু হতো মঙ্গল বুধ বা বৃহস্পতি বারে। যখন সিনেমা হলে হাতে গোনা ৩০-৪০ জন লোক দেখা পাওয়া যেত। তবে মাত্র সাত টাকা ছিল টিকিট। সামনের সারি, কাঠের বেঞ্চ। তাতেই চলত।
তিন টাকা গোছালে আর চারটাকা গোছানোর প্রস্ততি শুরু হয়ে যেত। কিভাবে কিভাবে যেন সেটা যোগাড়ও করে ফেলতাম। ব্যস। সাত টাকা মানেই তখন একটা সিনেমার টিকিট। এভাবেই চলত সিনেমার পোকা এক কিশোরের সিনেমা দেখার অভিযান।
যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজে পড়ার সময় মনিহার সিনেমা হল, চিত্রা, এগুলোতে নিয়মিত দর্শক আমি। ভার্সিটিতে এসে শুরু হল চলচ্চিত্র উৎসব। অডিটোরিয়ামে সব ক্লাসিক মুভি দেখানো হতো। সেসব গোগ্রাসে গিলতাম...
চাকরি করে এখন আর সিনেমা দেখার সুযোগ হয়ে ওঠে না। তবুও মাঝে মাঝে স্টার সিনেপ্লেক্সে ঢু মারা হয়।
কিন্ত ঘরে বসে সিনেমা... সেটা যেন ভুলেই গিয়েছিলাম।
ছবিগুলো দেখে খুব ভালো লাগল। এভারগ্রিন ক্লাসিক মুভি...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।