হাঁ কেন তুলে নিলে না পালিকা উড়ন্তিকা ? স্বর্গভ্রম প্রেমো মানচিত্রের তেরেসার জমিতে , আমিতো পুরো পৃথিবীকে জমা করে হেনরির শূভ্র আঙুলে, নীলাভ টিপ পোষ্টার লাগাতাম যুগ্ন ভ্রুর সন্ধিস্হলে । স্নেহে লালিত মনসিড়িটির চূড়ায় দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে আছি, কেন উড়িয়ে নিলে না ম্যান্ডেলার ডানায় ? আমিও টেনে আনতাম কৃষ্ণ হ্রদে চুইয়ে পরা ভেজা গোধূলি, এবাদির কাজলে লেপ্টে দিতাম তন্ময় পলকের মৌটুসী আখি। যদি দিতে এই আমাকে জলপাই পাতার নিমন্ত্রন, আমি আরাফাত ধূঁলোয় দাঁড়িয়ে হাত বাড়াতাম আলোর চেয়েও দ্রুতময়, তুলে আনতাম লক্ষতম বছর পরে জন্ম নেবে যে সুন্দরম বিবর্তনের ফুল, অনুরাগ সেই পুষ্প পূজোর মাথাইর পায়েলে সাজিয়ে দিতাম দেবী-চরণ। যদি করতে এই আমাকে সবুজ গর্ভাশয়ের আহ্বান, বৃত্তাকার জন্ম পরিধিকায় আমিই আবর্তিত হতাম বারবার, একজন লুথারকিং , একজন অং সান, আমার স্নায়ুতে দ্রবীভূত হত মহাত্মার অহিংস দর্শন । অথচ আমার সময়কে বন্ধী রেখেছে অসময়ের কফিন, এইসব শতাব্দীর শিরায় ঢুকেছে আর্তনাদ পারদ ! গলে গলে বাষ্পের ধোঁয়া উড়ায় প্রতিদিন, এখনকার হেলানো মন্দিরে ঢুকেনা মধুকরী রোদ ! এখন প্রতিনিয়ত বিষোয়িত সহবাস, এখানে জোস্নার রং চুষে নেয় ধাতব সন্ত্রাস ! এখন প্রিয়তমার ঠোঁটে রক্ত শিশির, এখানে কবিতার বিষন্ন বাক্যবলীতে অশ্রুবিন্দু ! এখন বিভাজিত নাব্যতা কাঁদে হাহাকারে, এখানে দুষ্ট মামনিটা ঝুলে সীমান্তের কাটাতারে ! এখন দুষিত মৃত্তিকায় আটকে পরে শষ্যবীজ়, এখানে ধূসর ধূলোয় স্নান করে সবুজ ধানশীষ ! এখন প্রিয় জননীর শরীরে নোংরা ক্ষত, এখানে ভাগ্য-প্রতিমা ক্রুসবিদ্ধ প্রত্যহ অবিরত।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।