আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুলিশ আপনার বন্দ্বুঃ একটি পুলিশ-খুনি ফোনালাপ

মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন। সাংবাদিক জামাল উদ্দীনকে হত্যার পর মূল আসামি তোতার সঙ্গে পুলিশ কনস্টেবল শহীদের ফোনে যেসব কথা হয়, তার রেকর্ড সংগ্রহ করেছেন র‌্যাবের গোয়েন্দারা। ফোনালাপের একটি অংশে তোতা বলেন, ‘ও যখন মা কয়ে চিৎকার করে, আমি তখন লাথি দিয়া রেলিংটা ভাইঙ্গা ওর গলা চেপে ধরি। চিৎকার দিবি না খবরদার, তারপর ভুঁড়িটা নিয়ে নিছি। ’ কনস্টেবল শহীদের প্রশ্ন: প্রথম কী করিছিলি? তোতা: প্রথম ভুঁড়ি, তারপর চোখ, তারপর তিনটা রগ।

শহীদ: রক্ত তো পড়ে নাই বেশি? তোতা: চেপে ধরেছিলাম না। চিৎকার যাতে না পাড়ে। রক্ত যাতে না পড়ে, সেভাবেই মারছি। শহীদ: দূরে থাক, সাবধানে থাক, ধরা পড়িস না। তোতা: ধরা পড়লে কি ক্রস দিয়ে দিবে? ফোনালাপ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে কনস্টেবল শহীদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফোন নম্বরটা আমার।

তবে আমি কথা বলিনি। ’ একইভাবে খুনের পর এএসআই মাসুদুর রহমান তাঁর মুঠোফোনে তোতার সঙ্গে চার দফা কথা বলেন। ২২ আগস্ট সকালে মাসুদুর ও তোতার মধ্যে ফোনে যে কথা হয়, তার একটি অংশ এ রকম: মাসুদুর: শোন, যদি অ্যারেস্ট হোস, তাহলে বলবি তুহিন আর লিটন (জামালের সৎভাই আশরাফুল ইসলাম লিটন) এ কাজ করেছে। তোতা: তুহিন আর লিটন? মাসুদুর: হ্যাঁ। মনে করবে, লিটন জামালের সৎভাই, সে মারছে।

তোতা: হ্যাঁ হ্যাঁ, বলব, লিটন আমাকে এর জন্য ৩০ হাজার টাকা দিয়েছে। আপনার কি মনে হয়, আমি অ্যারেস্ট হব? মাসুদুর: না না, আমি নলেজে রাখছি। তুই সাবধানে থাকিস। তোতা: আমি যশোর ছেড়ে যাচ্ছি। এসব কথোপকথনের ব্যাপারে জানতে চাইলে এএসআই মাসুদুর রহমান প্রথমে সবকিছু অস্বীকার করেন।

পরে বলেন, ‘আমি আসামি ধরার কৌশল হিসেবে এসব কথা বলতে পারি। ’ আপনি তো তদন্তকারী কর্মকর্তা না, তা হলে আসামি ধরার দায় আপনার কেন? মাসুদুরের জবাব, ‘ভাই, আপনি আমার বড় ভাই, এসব লিখে আমার কোনো ক্ষতি করবেন না। ’ View this link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.