আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বর্তমান হালচালঃ মেয়েদের বাজারি করন ও সামাজিক সমস্যা?

মমমমমম যৌনতার অবাধ্ বিচরণ বর্তমান সময়ে আমরা কেবল আছি নানা সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা নিয়ে। আমাদের চারপাশে ঘোরাফেরা করছে হলমার্ক এর পুকুর চুরি, বুয়েটের ভিসি নাটক এসব নাটকের মাঝে আমরা আমাদের চারপাশের অনান্য সমস্যার কথা ভুলেই চলেছি। দোষ আমার আপনার না দোষ আমাদের রক্তের আমরা কেবল আমদের চারপাশের সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে খুব বেশী ভাবি। কিন্তু যেসব সমস্যা আমদের জীবনকে ধবংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তা আমাদের ভাবায় না। সেক্স আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্দ অংশ।

আমাদের জীবনের প্রতিটা ধাপে সেক্স জড়িত। ব্যাপারটা আজগুবি কিছু না। আমরা প্রানি জগতের একটা প্রজাতি মাত্র আর এই নিয়মে মানুষ যৌনতার বর্হিপ্রকাশ করবেই। মানুষ অনেক বিবর্তনের মাধ্যমে আজ সভ্য অবস্থায় এসে দাড়িয়েছে, এমন সময়ে এসে আমাদের মুল্যবোধকে বিসর্জন দিয়ে নগ্নতার ব্যবসা করা ঠীক কি না তা পাঠকরা উত্তর দিবেন আশা করি। আমাদের নিজস্ব একটা সংস্কৃতি আচ্ছে, যা আমাদের রক্তের সাথে মিশে আছে।

কিন্তু আজ বানিজ্যিকি করনের ধাক্কায় আমাদের সে মুল্যবোধ ধুয়ে যেতে বসেছে। নারী হল সুন্দরের প্রতিমা। তাকে অনেক সুন্দর করে সাজান যায়। আজ পুরো দুনিয়া নারিদের পিছেনে ঘুরছে। আজ ব্যবসায়ীরা নারীর শরীরকে পুজি করে ব্যবসা করে চলেছে।

আর আমাদের দেশের কিছু স্বার্থবাদী গোষ্ঠী যৌনতাকে পুজি করে আজ আমাদের সংস্কৃতিকে ধবংসের খেলায় মেতে উঠেছে। এক সময় বলা হল আমারা নাকি আমাদের দেশের মেয়েদের তাদের মত চলতে বাধা দিই। আসলে কি তাই? নারীবাদী্রা প্রচার চালিয়ে মেয়েদের রাস্তায় নিয়ে এল তাদের স্যালোয়ার-কামিজের বদলে জিন্স ও টি র্শাট পরিয়েছে। আমি কোন ধর্মান্ধ কোন ব্যক্তি না। আমি জিন্স ও টি র্শাট পরা সমর্থন করি, কারন আধুনিক সমাজে তাল মিলিয়ে চলার জন্য তাদের কে আধুনিক বেশ ভূসা পরিধান করতে হবে।

তা না হলে আধুনিক পেশায় তারা আস্তে পারবে না। তাহলে প্রশ্ন টা কোথায়? প্রশ্নটা হল যে অবাধ যৌনতার প্রবর্তন। আজ সমাজে মেয়েদের কে ব্যবহার করা হচ্ছে প্রদর্শনীর পুতুল হিসাবে। যে কোন বিজ্ঞাপ্নে আজ মেয়েদের দেহ কে ব্যবহার করা হচ্ছে। মোবাইলের বিজ্ঞাপনে দেখান উচিত মোবাইলের গুনাগুন , কিন্তু দেখান হচ্ছে সেক্সি মেয়ে কেন? সাবানের বিজ্ঞাপ্নে দেখান হচ্ছে অর্ধ্ননগ্ন মেয়ে? এর মানে কি? আজকাল ক্যাটরিনার এক সাবানের বিজ্ঞাপনে বলা আম সূত্রের কথা।

আমসূত্র বলে আসলে কিছে নেই। কামসূত্র এর থেকে এখন নকল করে এসেছে আম সূত্র। কি দেখছি আমরা। মিডিয়া ব্যবসায়ীদের ভুমিকাঃ পাঠকগন এত গেল শুরুর কথা। আজকাল টিভি চ্যানেল এবং বাংলার সবান, সোডা ও টুতপেস্টের কম্পানিরা শিল্পী, নাচিয়ে, গাইয়ে, অভিনেত্রী ও সর্বোপরি সুন্দরী খুজে বের করার গুরু দায়িত্ব নিয়ে বসেছে।

সুন্দরি বের করার নামে মেয়েদের নিয়ে যে কাহিনী করা হয় তা শুনলে আমি বলতে পারি যে আপনারা নিজেদের বোন বা মেয়েকে সুন্দরী হতে দেবেন না। এখানে মেয়েদের অর্থ সম্পদের লোভ দেখিয়ে তাদের দেহের ব্যবচ্ছেদ করা হয়। একটা মেয়েকে নতুন করে তৈরি করা হয়, মূখোশধারীদের মনোরঞ্জনের জন্য। যার প্রমান আমরা হর হামেশা দেখতে পাই। আজকাল অবাধ যৌনতায় সমাজ ছেয়ে গেছে।

মেয়েদের এইভাবে তৈরি করা হচ্ছে। আমার সামনে এক বিচারক এক মেয়েকে বলল যে, এই মেয়ে তোমার সব ঠিক আছে কিন্তু কোমরের নিচে বাকটা ভালোনা, তোমাকে সামনে ও পিছনে দু জায়গায় ই ভালো লাগাতে হবে। আর ভোগী পুরুষদের অভাব নেই এই সমাজে, তারা অর্থের বিনিময়ে হোক আর ফাঁদে ফেলে হোক মেয়েদের কে নিয়ে রাত কাটাচ্ছে। অনেক মেয়ে আছে বাধ্য হয়ে, আবার অনেকে আছে লোভে। আজ কাল নাটকে যা দেখায় তা আসলে দেখার মান আছে কিনা আপনারায় বিচার করেন? সমাজে অনেক কিছু ঘটবে তার সব কিছু নাটকে আনতে হবে কেন? এই তো সেদিন দেখলাম যে এক নাটকে দেখান হচ্ছে যে একটা মেয়ে বসে বসে সিগারেট টানছে এর নায়ক বিভিন্ন এংগেল থেকে তার ছবি তুলছে(ক্যামেরায় বুকের সাইজটাই দেখাল ) এগুলো দিয়ে কি মেসেজ দেই আপনারা বলেন? নাইট ক্লাব ও ফ্যাশ্ন হাউসঃ আজকাল ঢাকাতে নাইট ক্লাব ও ফ্যাশন হাউস গুলো সামাজিক অবক্ষয়ে এক অপ্রিনামদরশি ভুমিকা রেখে চলেছে।

তারা নিজেদের ব্যাবসার জন্য অবাধ যৌনতার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আমি একবার এক বন্ধুর সাথে ঢাকার এক নামীদামি নাইট ক্লাবে গিয়েছিলাম। সেখানে ১০০০০ টাকা এন্ট্রি দিয়ে আমরা গিয়েছিলাম। একপাশে মদ এর একপাশে প্রায় উলংগ মেয়েছেলেদের নাচানাচি। কে কার গায়ে হাত দিচ্ছে তার ঠীক নেই।

দিন দিন ফ্যাশান হাউস গুলো এমন পোশাক আঞ্ছে যে তাতে শরীরটা আরো ভালো ভাবে বোঝা যায়। একটা মেয়ে কাপড় পরলে যদি তার সব অংগ বোঝা যায় তাহলে তার কি কোন মানে আছে। থাকলে আপনারা বলেন? ছেলেদের ভুমিকাঃ একটা মেয়ে একা নষ্ট হয় না তার পিছেনে ছেলেরাও দায়ী। ছেলেরা মেয়েদের ভোগের বস্তু বানানোর জন্য তাদের কে কুপথে চালিত করে। আমাদের সমাজে একটা মেয়ের পক্ষে গাঁজা কিনে খাওয়া সহজ না।

এক্ষেত্রে একটা ছেলের সাহায্যের প্রয়োজন পড়ে। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে আমাদের ও মা –বোন আছে। এরকম ও হতে পারে যে আমার বোনকেও কোন এক ছেলে এই খারাপ পথে চালিত করছে। ছবির হাটি গেলে দেখতে পাই যে এখন মেয়েরা ছেলেদের সাথে বসে গাঁজা টানছে। সমাজ কোন পর্যায় গেলে এটা সম্ভব তা আপানারা ভাবেন? সমস্যাঃ ছেলেরা কেউ তাদের সেক্সকে ব্যাংকে জমা দিয়ে আসেনি।

রাস্তায় একটা মেয়ে বাজে পোশাক পরে গেলে তারা তাকাবেই। মেয়েরা সেক্সি পোশাক পরবে আর ছেলেরা দেখলেই দোষ এটা কেমন কথা কই কোন ছেলেকে তো দেখলাম না যে প্যান্টের চ্যেন খুলে(...............বের করে) চলছে। তাই বলে মেয়েদের দেখলেই যে কমেন্ট কতে হবে এমন নয়। সবাই সমান না, রস্তায় বের হলে ৯ টা ছেলে মেয়েদের উত্তেজিত পোশাক দেখলে কিছে না বললে ও ১ জন কিছু করে বসলে তার দায় কে নেবে? দায় ছেলে মেয়ে উভয়কে নিতে হবে। এমনকি আমেরিকাতে ও মেয়েদের শালীন পোশাক পরে চলেতে বলা হয়, আর আমাদের দেশে বলা মাত্রই বলবে তুমি শিবির, জামাত এটা কেমন কথা।

আমি তো আমার রাস্তায় এমন ভাবে ছাড়ব না যে লোকে শকুনের মত করে দেখবে। এই অবাধ যৌনতার কারনে আজ সমাজে পরকীয়া, ধর্ষণ, ইভটিজ নানা সমস্যা। শালীন্তা নিয়ে কেউ কিছু বলে না। সবাই বলে যে মেয়ে তুমি ন্যাংতা হ্যে বের হবা, ছেলেরা সব ব্যাংকে জমা দিয়ে আসবা। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবরতন আনতে হবে।

ম্যেদের তাদের সম্মআন নিজেদের রক্ষা করে চলতে হবে। মনে রাখতে হবে কারো ভোগের সামগ্রি হয়ে উপরে ওঠা যায় না। উপ্রে উঠতে হলে মেধা দিয়ে, কাজ দিয়ে উঠতে হয়, কাম দিয়ে নয়। আজ মেয়েদের বোঝান হচ্ছে যে বিদ্যা নয় তোমাদের শরীর দিয়েই তোমারা সব পাবে। আজ ইভ টিজের প্রধান কারন আজে বাজে হিদনি সিনেমা, রগরগে নাটক, নগ্ন পোশাক এর সাথে কিছু বিকৃত মনোভাব।

টাইস নামের এক পোশাক আছে মেয়েদের তা পরলে মেয়েদের পায়ের পাতা থেকে কোমর এর প্রতিটা ভাজ বোঝা যায়। আমার প্রশ্ন এর ই কোন দরকার আছে। কই ছেলেদের তো এরকম পোশাক দেখি না? আসলে আজ নানা ভাবে আমাদের মেয়েদের বাজারের পণ্য করে তোলা হচ্ছে আমরা বুঝতে পারছিনা। আমাদের এসবের বিরুদ্ধে দাড়াতে হবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.