নৈঃশব্দের মাঝে একাকী ধ্যানী ঋষি আমি একাল ওকাল ত্রিকাল পেরিয়ে মহাকালে অর্পিত প্রেয়সীর বাহুপাশ ছাড়িয়ে- শতাব্দীবৃদ্ধ বটবৃক্ষের রূপছায়া। জটা ধরা রুক্ষ চুল- তিলক চন্দন আর মাটির পাত্রের ঘ্রাণে জড়িয়ে গেছে মেঘে ঢাকা কালপুরুষ- শত আলোকবর্ষে ঘুরে খুঁজেছে অমোঘ কায়া। ঝলসানো সময়ের রুক্ষ ঝিলিক সফেদ বলাকার ডানায় এঁকে দেয় অসহ বিষের দাগ, স্বাক্ষী থাকে শুধু ঝড়ো হাওয়া- শির পেতে নেয়া নির্জন কলঙ্কজায়া। অদম্য কামে দংশে উঠে নাগিনী ফোঁস ফোঁস শব্দের জোয়ারে বাঁধ ভাঙে প্রিয়ার - চাঁদ উঠে মধ্যগগনে। গুমরে উঠা অব্যক্ত প্রেম ঝরে পরে নিমিষে উপহাসে মানবীর মন- গুপ্তঘাতক প্রাণে। নতজানু মস্তকে তীব্র বেদনা অতঃপর... অতঃপর ছুটে চলা গহীন শুণ্য পথে। শুণ্যপথ ধরে সময়ের জাহাজ আধেক মাস্তুল নিয়ে অন্তর্যাত্রা শেষে নোঙর ফ্যালে পবিত্র শহরে- একাকীত্বের সমাধি বেদীতে, বাধানো ফুল আর ঈশ্বর বন্দনা শেষে কালো রশ্মির রঙ বিষম কালো হয়ে আসে, তারপর...... গভীর আলিঙ্গনে জড়িয়ে যাই আমি অন্ধকার একাকীত্বের মাঝে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।