[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/
কোন আড্ডা নেই, বন্ধুদের সাথে বসে তাস পেটানো নেই, কোন মিষ্ঠি হাসির পানে চেয়ে চেয়ে সময় কাটানো নেই, নেই নেই কোন আত্মীয় বা স্বজনের বাসায় বসে পোলাও কোর্মা মিষ্টি গলধঃকরণ। কেটে গেল ঈদের পরবর্তী দিনটি স্বাভাবিক ঐতিহ্য ভুলে গিয়ে এভাবেই নেই এর সাথে সাথেই শুয়ে বসে।
ঈদের মানে গতকাল রাত্রে ১১ টায় ফাঁকা রাস্তায় ছুটে চলল কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে বাস। মনে আছে যাওয়ার দিন পাক্কা ১৬ ঘন্টা লেগেছিল , তাই অবাকই হলাম কক্সবাজারে চোখ রগতাতে রগতাতে যখন বাস থেকে নামছি আর ঘড়িতে দেখছি বাজছে ৪:৪৫। ইস এই সময় যদি মেইনটেন হতো সারাবছর।
নেমে সেই অাঁধার বিদায়ী ভোরে একটা ব্যাপার খারাপ লাগল, রিকশাওয়ালাদের খাই খাই ভাব প ুরোদমে হাজির , পাল পাল লোক যে এই দুদিন থেকেই সমুদ্রের পারে ছুটে আসতে শুরু করেছে। আমি রিকশার প্রকৃত ভাড়া জানি এবং কিঞ্চিত তাদের ভাষা আওড়াতে পারি অথবা যেসব এলাকার নাম বলছিলাম যা সচারচর নব পর্যটকদের চেনার কথা নয় বিধায় রিকশা পেতে পেতে সূর্য মামার প্রথম হাসি টা দেখেই ফেললাম। না হলে কেন বলুন তো ১২ টাকার রিকশা ভাড়া ৩০ টাকা দিলে যেতে পারে, বলেও বসে।
সকালে একটা নির্ভেজাল ঘুম দিতে পারলাম আবাসনের অগাছালো ঘরখানিতে প্রবেশ করে। মাকড়শাদের দূরন্ত চঞ্চলতায় এবং জাল বোনানোর মত্ততায় মনে হয় ভাটা ঘটালো আমার অনুপ্রবেশ।
ঘুম তো ভাঙবেই । ভাঙার পর পকেটে সেই যে বিমানের টিকেট কেটে এক পাপ করেছিলাম সে পাপের ফল ছাপার অক্ষরে লেখা টিকেটখানি খোঁচাচ্ছিল । ক্যান্সিল ফ্লাইটের টিকেটটার টাকাগুলো আনতে তাই বের হয়ে গেলাম একটু বেলা হতেই। কিন্তু না , রবিবারের আগে দেবেনা। কিন্তু বলেছিল যে কোন দিন ...এই তো কথার দাম।
ঢাকা থেকে গিয়েও নেয়া যাবেনা। একান থেকে কাটা এখান থেকেই নিতে হবে সরকারী কর্মদিবসে। আচ্ছা আমাকে না হয় কক্সবাজারে ফিওে আসতে হবে ঢাকায় গেলের , নেয়া যাবে ওতগুলো টাকা, কিন্তু যে লোকটা ফিরবেনা অথবা অন্তত অনেকদিন পরে ফিরবে , যার এখানে তেমন কেউ নেই যাকে দিয়ে নেবে, তার কি হবে। সেদিন তো বলেই দিলো বিমান কেনসিলড- এক কথায় । পরবর্তী সব সমস্যা ভাবার কাজ কি আর তাদের! হায়রে বিমান বাংলাদেশ!
একটু গরম মাথা নিয়ে গাড়ী ঘুরিয়ে ছুটলাম নতুন সী বীচে, সাগর এর চেহারাটা দর্শন করার ইচ্ছে হচ্ছিল।
ওমন কোন দিন হইনি , গাড়ী তো অনেকদিন ধরেই চালাই, পার্ক টা ঠিকই ছিল। মাইন্ড যে এবসেন্টমাইন্ড হয়ে ছিল, সে আর তখন কি করে বুঝব। স্টার্টও বন্ধ করিনি হ্যান্ড ব্রেকটা টেনেই ড্রাইুভিং সিট থেকে নেমে বাম হাত দিয়ে দরজাটা অজান্তে যেই ধাক্কা দিলাম তখন হুশ হলো , লক হয়ে গেছে । চাবী ভিতরে। উপায়! মাথা কাজ করছেনা।
সব ডোর লক অফিসের মাইক্রোখানার। ফোন লাগালাম অফিসে , ড্রাইভার কে দেখে এসেছি। ৩০ মিনিট লাগবে চাবী নিয়ে আসতে । এতক্ষণ গাড়ীর ইঞ্জিন কাঁদতেই থাকবে । কিছু করার যে নেই।
ধোঁয়া টানতে টানতে সাগওে লাখ লাখ মানুষের দাপাদাপি আর সাগরের মিষ্টি হাসি দেখতে দেখতে মাথা কাজ করতে শুরু করল। ফিরে এসে চোখে পড়ল এবার পেছনের একটা জানালার লক খোলা । ভাবছি ওখান দিয়ে ভিতরে ঢুকলে কেমন হয়? আবার গাড়ী চোর বলে কেউ হৈ রৈ চৈ চৈ না করলেই হয়। না গাড়ীর কান্না সহ্য হচ্ছিল না। ঢুকেই পড়লাম জানালা গলে।
৫ মিনিট পরেই ড্রাইভার চলে এসছিল অবশ্য।
দুপুরে নতুন ডন ছবি দেখতে দেখতে ঘুম যে ডাক দিচ্ছিল আদর করে সে ডাকটার ভালই সারা দিলাম বিকেল টু সন্ধ্যা পর্যন্ত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।