তারুণ্যের শক্তিতে জাগুন এই দেশ। ছিনিয়ে আনুক নতুন সকাল নাসার বিজ্ঞানীরা মহা চিন্তায় পড়ে গেছেন। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে ১৮ থেকে ২৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসে মানুষের মাথা সবচেয়ে ভাল কাজ করে। তাই বৈজ্ঞানিক গবেষণার যা ভাল তার সবই শীতপ্রধান দেশে। অথচ বাংলাদেশ যেখানে শীতকালের আয়ু মাত্র কয়েকদিন, প্রচন্ড গরমে যেখানে মানুষ ভীষণ কাবু, বিদ্যুত নেই বলে ফ্যান চালানোই যায় না।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রগুলো কেবলই যেখানে শো পিস, সাধারণ থেকে অসাধারণ সবার মাথা যেখানে গরম সেখানে এই আবিস্কার হলো কেমন করে।
এই পর্যন্ত পড়ার পরই অনেকে অস্থির হয়ে আছেন আবিষ্কার সম্পর্কে জানার জন্য। এই আবিষ্কারটির নাম পাওয়ার ম্যাগনেট। পাওয়ার ম্যাগনেট এর বৈশিষ্ট্য হলো এরা ধাতব পদার্থের পরিবর্তে মানুষকে আকর্ষণ করে। যারা পাওয়ারফুল তারা তাদের চেয়ারে এই পাওয়ার ম্যাগনেট লাগিয়ে রাখে এবং সব সময়ই ঐ চেয়ার তাদের আকর্ষণ করে।
যে কারণে কোনো অবস্থাতেই কেউ ক্ষমতাচ্যৃত হতে চায় না। এক্ষেত্রে মানুষের কোনো দোষ বা করার কিছু নেই সবটাই পাওয়ার ম্যাগনেট এর অবদান।
সাম্প্রতিক এক কেস স্টাডিতে দেখা গেছে সমাজের প্রতিটি স্তরে এই পাওয়ার ম্যাগনেট ক্রিয়াশীল। দোকানের ম্যানেজার পদ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি সবাই এটা দ্বারা প্রভাবিত। এই ঘটনার কয়েকটি নমুনা নাসার বিজ্ঞানীরা খুজে পেয়েছেন।
এগুলো হলো:
সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী পদত্যাগ করলেও তা গ্রহণ করা হয় অনেক পরে। সাবেক সংসদ সোহেল তাজের পদত্যাগ পত্র গ্রহণের ঘটনা ঘটে অনেক দেরীতে। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এখনো দপ্তরবিহীন মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী তত্ত্ববধায়ক সরকার বাতিল করলেন পাওয়ার ম্যাগনেট এর প্রভাবে। বুয়েটের ভিসি এখনো পাওয়ার ম্যাগনেট কর্তৃক প্রভাবিত।
খালেদা জিয়া আবার ক্ষমতায় ফিরতে পাওয়ার ম্যাগনেট এর নতুন সংস্করণ উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন।
নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইরাকে বা ইরানে মানব বিধ্বংসী বোমা থাকার মতো বাংলাদেশের হাতে পাওয়ার ম্যাগনেট থাকা বিপদজনক। তাই পাওয়ার ম্যাগনেট এর যন্ত্রাংশ আমদানী বন্ধ করতে তারা বিশ্বব্যাংককে দিয়ে কৌশলগত যুদ্ধ শুরু করেছেন।
বিজ্ঞানীদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এই পাওয়ার ম্যাগনেটটি ভার্চুয়াল। খালি চোখে দেখা যায় না।
এর কোনো ওজন নেই, এর কোনো অবয়বও নেই। সেই জন্য এই পাওয়ার ম্যাগনেটটির বিষয়ে নাসার বিজ্ঞানীরা অনেক বেশি আগ্রহী। মহাকাশ গবেষণার সাথে সাথে এই পাওয়ার ম্যাগনেট উপহার দিতে চান বিশ্বে আমেরিকার প্রভাবাধীন সরকারগুলোকে যারা সারা জীবন ক্ষমতায় থাকতে চান।
বাংলাদেশের (অজানা, নাম না জানা, গরমে ক্লান্ত) বিজ্ঞানীদের আবিস্কৃত এই পাওয়ার ম্যাগনেট এখন হট আইটেম। আগামীতে এই পাওয়ার ম্যাগনেটই শাসন করবে বিশ্বকে।
(এখন যেমন করছে তথ্য প্রযুক্তি)।
এর বর্তমান নতুন ট্রায়াল চলছে বুয়েটের গবেষণাগারে। এতো আন্দোলন তাও টেনে নামানো যাচ্ছে না ভিসি কে। এবার বুঝুন পাওয়ার ম্যাগনেট এর কত্ত পাওয়ার। ???
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।