লাইফবার্গ প্রথম প্রেমের মত যেদিন সামু’র প্রেমে পড়লাম, সেই দিনটি এখনও মনে পড়ে। ২০১০ এর জুলাই এর কোনও এক শুক্রবার। তারপর তো আর কথাই নেই। পড়তেই থাকলাম, পড়তেই থাকলাম। শেষে একদিন খুললাম একটা আই ডি।
অনেক শখ করে লিখতে বসলাম। কিন্তু কি লিখবো? আমি তো লেখক নই। মানে যা আসে তাই লিখি। তারপর দেখলাম এভাবে লেখা লিখে রাখা আর আমার বাসার খাতায় লেখা এক-ই কথা।
কারনটা তো মনে হয় সামু’র সবার-ই জানা।
সেই বিখ্যাত সেইফ, জেনারেল, ওয়াচ, ইত্যাদি, ইত্যাদি। অনেক দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করে ছিলাম। কবে আমার লেখা যাবে প্রথম পাতায়। দু কলম লেখক হয়েছি সেই অধিকার-এ না, শুধু চাইতাম যে আমি যা চিন্তা করি তা যেন অন্যরা দেখতে পায়।
আপনারা বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, আমি সত্যি সত্যি ভেবেছিলাম এবং বিশ্বাস করেছিলাম যে আমি বুঝি ০৭ দিন পর সেইফ হব।
এর পর অনেক ০৭ দিন গিয়েছে, অনেকবার মেইল করেছি। অনেক অনুনয় করেছি। কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না। পরে একদিন উপলব্ধি করেছিলাম, এখানে যে হারে সবাই কথা নিয়ে মারামারি করে সেখানে আমার মত এক গোবেচারা’র লেখা কেউ পড়লেই বা কি, না পড়লেই বা কি? আর সেইফ হওয়া বুঝি আরাধ্য কিছু। আমি এখনও জানিনা, কেন সামু আমাকে সন্দেহ করেছিল।
আমাকে কি কারও মাল্টি নিক ভেবেছিল? জানিনা।
১ বছ্রর ৩ মাস। আসলে এতদিন এ হয়রান হয়ে গিয়েছি। ভেবেছি আর বুঝি আমাকে দিয়ে হবেনা। কিন্তু কেমন করে জানি, আমি এখন সেইফ।
এখনও মনে পড়ে, আমার ব্লগে যারা এসেছেন, তাদেরকে কিভাবে এনেছিলাম। তারপর একদিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, আমি কারো ব্লগেই কোনওদিন মন্তব্য করবোনা। থাক, সেই কষ্টের কথা বলে কথা বাড়াতে চাই না।
ধন্যবাদ সামু। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে সেইফ করার জন্য।
কিন্তু এখন কেমন যেন মনে হয়, আগের সেই লেখকটাকে আর দেখতে পাই না।
যেন সেই উৎসাহী লেখকটা মারা গিয়েছে এতদিনে... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।