একি আজব কারখানা...........
কথিত আছে, কবি সাহিত্যিক রা হচ্ছেন একটি সমাজের সভ্যতার মানদন্ড। যে সমাজে কোন লেখক নেই, কোন কবি নেই, সেই সমাজ সৃষ্টিশীলতাকে বিদায় জানিয়েছে।
"কত গুনীজন, বিদগ্ধ প্রান তোমার ছবি আকে,
সত্যজিত আর মৃনাল সেন, কত ভুলবে কাকে
তবুও হৃত্বিক, সুকান্ত মরে, জানতে পারেনা লোকে... "
পাশের দেশ ইন্ডিয়ার দিকে একবার দেখুন। সেই দেশের বন্ধুবান্ধব রা বড় আফসোস করে। আমাদের দেশে কবি সাহিত্যিকদের যে সন্মান দেয়া হয়, তাদের দেশে এর ছিটে ফোটাও নেই।
তাদের কবিদের মাঝে আত্মহত্যা করার প্রবনতা বেশি। কত সুকান্ত মরে যায়, আধুনিকতার চাপে ফিরে তাকানোর কোন সুযোগ নেই। সুনিলের মারা যাবার খবর এনডিটিভিতে ছোট একটা নিউজেই সারা। আমার সন্দেহ আছে কতদিন পর আমরা আরেকজন সুনিল বা সমরেশ কে পাবো পশ্চিমবাংলার সাহিত্যে। তাদের ভবিষ্যত সত্যজিত বানানোর জন্য সত্যজিত রায় ফিল্ম ইন্সটিটিউট আছে, শিল্পী বানানোর জন্য শান্তিনিকেতন আছে।
কিন্ত লেখক তৈরি হবার কোন সুযোগ নেই। খাতা কলম কে বিদায় জানিয়ে তারা এখন বোকা বাক্সতে বন্দী।
যে দেশে গুনের সমাদর নেই, সেই দেশে গুনী জন্মায় না।
আমরা গুনের কদর দিতে জানি।
আমাদের বাংলাদেশে এক হুমায়ুন আহমেদ মারা যাবার পর একটানা সাত দিন পত্রিকাগুলি তার রচনা প্রকাশ করে।
টিভিতে একের পর এক দেখা যায় তার নাটক। আমাদের দেশে জাহানারা ইমাম কে বলা হয় বংগজননী। এক হুমায়ুন আজাদ তার লেখার ক্ষমতা দিয়ে কাপিয়ে দিতে পারে মৌলবাদের ভিত। ব্লগ খুললেই প্রথম পাতাতেই পাওয়া যায় কবিতা, ছোট গল্প। একজন ইমন জুবায়েরের মৃত্যু আমাদের সবাইকে কাদায়।
বইমেলা আসলেই একটা উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয় লেখক -পাঠক সমাজে। লেখকদের আমরা সন্মান করি। টেকনোলজি যতই এগিয়ে যাক, আমদের সাহিত্যের দ্বার কখনো বন্ধ হবার নয়। আমাদের কবি সাহিত্যিক বানানোর জন্য অসাধারন একটা প্রকৃতি আছে, সমৃদ্ধশালী একটা সংস্কৃতি আছে, বিশাল একটা পাঠক সমাজ আছে। আমাদের সাহিত্যের ভবিষ্যত হারিয়ে যাবার নয়।
আসছে ফেব্রুয়ারিতে সকল লেখক পাঠকদের স্যালুট, বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব দরবারে ছড়িয়ে দেবার জন্য । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।