আন্দোলন মোকাবেলায় স্ট্রাইকিং ফোর্স
র্যাব-পুলিশ-বিজিবি তিনগুণ, ধ্বংসাতœক কাজে ম্যান্ডেটরি সাজা, ক্যামেরা বসছে স্পটে
বিরোধী দলের পূর্বেই ছিল ঘোষণা: ঈদের পরে ভয়াহ আন্দোলন। ঈদ আনন্দে যারা বেগম জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করতে যান, তাদেরও তিনি জানিয়ে দেন যে, আন্দোলন আসছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, হরতালের পর হরতল দেয়া হবে। দাবি মানতে বাধ্য করা হবে সরকারকে। অবশ্য মির্জা ফকরুল বেলছেন, মওদুদ আহমদের বক্তব্য একান্ত তার ব্যক্তিগত।
এখনো আন্দোলনের ধরণ দল ঠিক করেনি। দেশবাসী শঙ্কিত। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে সতর্ক সরকার। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে রমজান এবং ঈদে কড়া নিরাপত্তার যে গোপন আদেশ দেয়া হয়েছে, তা অব্যাহত আছে। আন্দোলন মোকাবেলায় সরকারি পদক্ষেপের মাঠে আছে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দলের প্রতিটি অঙ্গ সংগঠনকে মাঠে নামানো, নির্ধারিত স্পটে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো, ব্যাব-পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো, দাঙ্গা পুলিশের অতিরিক্ত কয়েকটি ইউনিটকে রাজধানীতে আনা এবং আধা সামরিক ফোর্স বিজেবিকে স্টান্ডবাই রাখা।
এর বাইরে ধ্বংসাতœক কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংক্ষিপ্ত আদালতে বিচার করা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং-এর আওতায় এসব কর্মকে নিয়ে ম্যান্ডেটরি শাস্তি প্রয়োগের প্রস্ততি আছে। মোটামুটি বিরোধী দল প্রস্তত না হলেও সরকার মোকাবেলায় শতভাগ প্রস্ততি নিয়ে রেখেছি।
দেশবাসী সংঘাত চায় না। পরিস্থিতির অবনতি কাম্য নয়। এখন আন্দোলনে যাবার মতো রাজনৈতিক ইস্যুও নেই।
দ্রব্যমূল্যের এখনকার অবস্থা বা রমজানে ছিল সহনীয়। বিদ্যূৎ সংকট প্রায় নেই। দেশে খাদ্য ঘাটতির বদলে খাদ্য উদ্বৃও করেছে। বিদেশী রেমিট্যান্স বাড়ছে। ফরেন রিজার্ভ উপচে পড়ছে।
তৈরি পোষাক রফতাননীতে দেশ প্রথমবারের মাতো টার্গেটও অতিক্রম করেছে। দেশে সন্ত্রাস বোমাবাজী, ছিনতাই, সামাজিক অস্থিরতা নেই।
এমনি অবস্থায় সমস্যা শুধু একটাই, আর তা হচ্ছে নির্বাচনকালীন কোন সরকার বা কি ধরনের সরকার থাকবে ক্ষমতায়। সরকারি দল এবং জোট বলছে, পার্লামেন্টে এসে এ নিয়ে বিরোধী দল যে কোনো ধরনের প্রস্তাব দিতে পারে। কিন্তু বিরোধী দল পার্লামেন্টে যেতে চায়না, তারা রাজপথেই জ্বালাও-পোড়াও-ভাঙচুর করে দাবি আদায় করতে চায়।
তারা চায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকুক আগের মতো।
কিন্তু ১৫তম সংশোধনীতে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বাতিল হয়ে গেছে। কারণ এমন অনির্বাচিত সরকার সংবিধানের মূল চেতনার পরিপন্থি। প্রধানমন্ত্রী সংঘাত পরিহার করে নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে তা নিয়ে যে কোন রকম সংলাপের আহবান জানিয়েছেন। তিনি ব্রিটেন সফরের সময় বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, নির্বাচনকালীন অনির্বাচিত কোন সরকার রাখার বিধান সংবিধানে নেই।
ওই সময় নির্বাচিত সংসদ সদস্যরাই সরকার চালাবেন। বিএনপিও সেই মন্ত্রিসভায় থাকতে পারবে। এখান থেকেই আরোচনা শূরু হতে পারতো।
এদিকে মির্জা ফখরুল প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আরও একটু খোলাসা করার আহবান জানান। কিন্তু নেপথ্যের নাটগুরু, কায়েমী সবার্থবাদী সাম্রাজ্যবাদ এবং অতি উৎসাহী এনজিও চক্রের পরামর্শে বোধকরি খালেদা জিয়া তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করলেন।
তিনি এ জন্য আন্দোলনের কথাই জোর দিয়ে বললেন। যদিও এতে জনদূর্ভোগ ছাড়া খালেদা জিয়া বা তার নাম সর্বস্ব ১৮ দলের জোটের জন্য কোনো শুভ সংবাদ বয়ে আনবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন না। বরং কঠোর অবস্থানে থাকায় সরকার চেনা-জানা সব নেতাকেই ম্যান্ডেটরি সাজার আওতায় নিয়ে যেতে পারেন। তখন আম-ছালা দুটোই যাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।