বাঙলা আর হিন্দি গানের জন্য www.bdmusiczone.com
এই খবরটা পড়ে আমার হাসি আর ধরে রাখতে পারলাম না । বিএনপি নাকি একটা রাজনৈতিক দল। তারা নাকি আবার সিএসির পদত্যাগ চায় । হিহিহহিহি এবার খবর টা পড়েন
কোনো বাধা ছিল না। না পুলিশের, না সরকারি দলের কর্মীদের।
তবুও আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশিন থেকে চার কিলোমিটার দূরে রাজধানীর বাংলামোটরে থেমে গেল বিএনপির পূর্ব ঘোষিত পদযাত্রা। ভোলা-৩ আসনের উপনির্বাচনের ফল বাতিল, পুনর্নির্বাচন এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অপর দুই কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) অভিমুখে এ পদযাত্রার ডাক দেওয়া হয়।
পদযাত্রা শুরুর আগে মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ থেকে ৯ মে প্রতিটি জেলার জেলা নির্বাচন কার্যালয় অভিমুখে মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সমাবেশ শেষে বিকেল সোয়া চারটার দিকে মুক্তাঙ্গন থেকে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর বিশাল মিছিলটি নির্বাচন কমিশন অভিমুখে রওনা হয়। কিন্তু প্রচণ্ড গরমের কারণে কিছু দূর যেতে না যেতেই মিছিলের আকার ছোট হতে থাকে।
কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাও মিছিল ছেড়ে চলে যান। একপর্যায়ে সাড়ে তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বিকেল পাঁচটার দিকে মিছিলটি বাংলা মোটরে এসে পৌঁছালে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
যুবদল মহানগর উত্তরের নেতা ইয়াকুব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘ পথ হেঁটে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা মুক্তাঙ্গনে এসে পৌঁছান। এরপর প্রচণ্ড গরমে নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত প্রায় সাত-আট কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া অনেক নেতা-কর্মীর পক্ষেই সম্ভব ছিল না। বিশেষ করে নারীদের জন্য ছিল একেবারেই অসম্ভব।
তিনি বলেন, প্রথমে মুক্তাঙ্গনে জড়ো না হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউ বা এর আশপাশে জড়ো হলে ভালো হতো।
বিএনপির এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছিল। যাত্রাপথের প্রতিটি মোড়েই ছিল পুলিশ, দাঙ্গা পুলিশ, জলকামান। তবে মিছিল শুরু হওয়ার মুহূর্তে রাস্তা আগলে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ সরে যায়। মিছিলটি প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট, মত্স্য ভবন হয়ে শাহবাগের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
শাহবাগ মোড়েও (শিশুপার্কের সামনে) জলকামান, রায়ট কারসহ বিপুল পরিমাণ দাঙ্গা পুলিশ মিছিলকে বাধা দিতে রাস্তার দুই পাশ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে ছিল। পরে মিছিলটি কাছাকাছি এলে রাস্তার এক পাশ থেকে সরে দাঁড়ায় পুলিশ।
একপর্যায়ে দীর্ঘ হাঁটায় ক্লান্ত কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সাদেক হোসেন খোকা কর্মীদের মোটরসাইকেলের পেছনে বসে মিছিলের সামনে এগোতে থাকেন। আরও কয়েকজন নেতা উঠে পড়েন দলীয় কর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীদের মোটরসাইকেলের পেছনে। মিছিলের নেতৃত্বদানকারী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল পর্যন্ত এসে থেমে যান।
সেখানে কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে তিনি এক কর্মীর মোটরসাইকেলে করে চলে যান।
বিএনপির নেতা ও সাংসদ শহীদ উদ্দীন চৌধুরী বাংলামোটর ঘিরে থাকা পুলিশকে জানান, তাঁরা মিছিল নিয়ে আরও সামনে যেতে চান। পুলিশ মিছিলটি সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তা ছেড়ে দেয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেকেই রাস্তার ওপর বসে পড়েন। অনেকে মিছিল ছেড়ে চলে যান।
এ অবস্থায় মিছিলটি আর সামনে অগ্রসর হয়নি। সেখানেই কেন্দ্রীয় নেতারা সড়ক বিভাজকের ওপর দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়। এদের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হতে পারে না। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছি।
নির্বাচন কমিশনের সব সদস্য পদত্যাগ না করলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে। ’
পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার কৃষ্ণপদ রায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা তাঁদের কোথাও বাধা দিইনি। তাঁদের কয়েকজন নেতা বলেছিলেন, শিশুপার্কের সামনে শেষ করবেন। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। পরে শিশুপার্কের সামনে এসে কয়েকজন নেতা আরও সামনে এগোতে চাইলে আমরা তাঁদের ছেড়ে দিই।
তাঁরা নিজেরাই বাংলামোটরে এসে কর্মসূচি শেষ করেছেন। ’
যেদল মিজিল করে নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয় পর্যন্ত যেতে পারেনা তারাও নাকি ....................খিক খিক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।